রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২

Logo
Add Image

জাতীয়

সিলিন্ডার গ্যাস ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ২০২৫-১০-১১ ১৬:৪৮:২৫

News Image

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের জ্বালানি খাতে চলমান সংকটের পেছনে রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের অদূরদর্শিতা ও অনিয়মকে দায়ী করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান। তিনি বলেন, এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা এখন সময়ের দাবি, কারণ এর বর্তমান উচ্চমূল্য শিল্প ও গৃহস্থালি— উভয় ক্ষেত্রেই চাপ সৃষ্টি করছে। তাঁর মতে, “প্রতি ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার টাকার মধ্যে থাকা উচিত।”

 

আজ ১১ অক্টোবর, ২০২৫ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক নীতি-আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

 

ফওজুল কাবির খান বলেন, “এলপিজির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দাম। এখন ১২০০ টাকার সিলিন্ডার কিছু জায়গায় ১৪০০–১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মনোভাব অপরিহার্য। বিদেশে টাকা পাচারের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে এই খাতকে টিকিয়ে রাখতে হবে।”

 

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি কোনো স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়, বরং এটি পরিকল্পিত সংকট। “কিছু রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী অবৈধ সংযোগ দিয়ে গ্যাস ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করেছে। এই অব্যবস্থাপনা থেকেই আজকের ঘাটতি তৈরি হয়েছে,” যোগ করেন উপদেষ্টা।

 

বাপেক্সের সক্ষমতা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাপেক্সের জন্য নতুন রিড করা হচ্ছে, কিন্তু অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। ফলে বাধ্য হয়েই আমাদের এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। তবে স্বল্পমেয়াদে ঘাটতি পূরণে এলপিজি হতে পারে কার্যকর বিকল্প।”

 

এ সময় তিনি এলপিজির দাম কমলে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও এর ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব বলে মত দেন। “যদি ভোক্তা পর্যায়ে দাম এক হাজার টাকার মধ্যে রাখা যায়, তাহলে এলপিজি শুধু গৃহস্থালিতে নয়, বিদ্যুৎ খাতেও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে,” বলেন তিনি।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। তাঁরা এলপিজি খাতের ভবিষ্যৎ নীতিমালা, নিরাপত্তা মানদণ্ড, বাজার কাঠামো, পরিবেশগত টেকসই ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে মতামত দেন।
 

Logo
Logo





Logo

আরো পড়ুন

Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭