শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

Logo
Logo

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:

বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, দেশের মাঠ প্রশাসনের একটি বড় অংশ নিরপেক্ষতা হারিয়ে বিএনপির পক্ষাবলম্বন করছে। এ ধরনের একপক্ষীয় প্রশাসনের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। 

 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় সফররত মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা দেখছি, মাঠপর্যায়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে, অথচ প্রশাসন সেসব ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে। কোথাও কোথাও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ সংঘটিত হলেও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না এবং নির্বাচনের সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

 

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারের দাবি তুলে ধরা হয়। নাহিদ বলেন, “আমরা কূটনীতিকদের জানিয়েছি যে, এনসিপি কেবল নির্বাচনের জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রের গঠনগত সংস্কারের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে। আমাদের তিনটি প্রধান দাবি—সংবিধানিক সংস্কার, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন। এসব দাবি পূরণ না হলে সেই নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব কি না, তা পুনর্বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “আমরা ন্যূনতম কিছু পরিবর্তন চাই না। আমাদের লক্ষ্য রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার। বিচার ব্যবস্থার রোডম্যাপ, প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার কোনো অর্থ হয় না।”

 

নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন, পুলিশ এবং আমলাতন্ত্রকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল হতে হবে। না হলে আগামী নির্বাচন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না।”
 

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে ৫০৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক ওয়াইবিএইচজে দাতো জাকারিয়া বিন শাবান রাতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই অভিযানে মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির ডকুমেন্টস পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৯ জন অভিবাসী নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয় নাগরিক ছিল। যাচাই-বাছাই শেষে ৫০৬ জন অভিবাসী নাগরিককে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সকলের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।

 

অভিযান এবং পরিদর্শনের সময় কিছু বিদেশি নাগরিক ছিল যারা ঘর, টয়লেট, স্টোররুম এবং অন্যান্য স্থানে লুকিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেছিল। আটক অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ছিল পরিচয়পত্র না থাকা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন, অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা, অচেনা কার্ডধারী এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী অন্যান্য অপরাধ।
 

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলআইন ডেস্ক:

তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া একটি চিঠিতে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা কমপক্ষে ৯০ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসির ঘোষিত সময়সীমাকে অবাস্তব ও সময়ের প্রেক্ষাপটে অযৌক্তিক উল্লেখ করে তারা এই অনুরোধ জানিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের দপ্তরে গিয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, তাজনূভা জাবীন এবং সদস্য মনিরুজ্জামান লিখিতভাবে এই আবেদন জমা দেন। চিঠির শিরোনাম ছিল: "নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন"।

 

এনসিপি দাবি করেছে, ২০০৮ সালের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ও সংশ্লিষ্ট আইনগুলো একনায়কতান্ত্রিক সরকারের সময়ে তৈরি, যা বর্তমানে গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করে রাখছে। দলটির ভাষ্য অনুযায়ী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যালয় স্থাপন, নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য সংগ্রহ ও অন্যান্য জটিল শর্ত পূরণ করতে একটি নতুন দলের জন্য তিন মাসের অতিরিক্ত সময় একান্তই প্রয়োজন।


চিঠিতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যেই অতীতের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটবিহীন নির্বাচন, জাল ভোট ও রাতের ভোটসহ নানা অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থা হারিয়েছে জনগণ। ফলে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান পরিবর্তনের ধারার সূচনা ঘটে, যার ভিত্তিতে এনসিপি গঠিত হয়েছে। তাই নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ পেতে যথাযথ সময় পাওয়া তাদের সাংবিধানিক অধিকার।


গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি প্রতিবেদনসহ সুপারিশমালা পেশ করলেও, তা এখনও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। এনসিপি দাবি করে, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন আইন প্রণয়ন বা বিদ্যমান আইনের সংস্কার ছাড়া নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালানো যুক্তিসঙ্গত নয়।


এ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "নতুন দলগুলোর জন্য বর্তমান নিবন্ধন বিধিমালা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কমিশন যে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং তড়িঘড়ি করে জারি করা হয়েছে। আমরা সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি মৌলিক সংস্কারের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি।"


ইসি গত ১০ মার্চ নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ এপ্রিল। এনসিপি বলছে, এই সময়সীমা অপ্রতুল এবং নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সময় বাড়ানো জরুরি।
এদিকে, ইসি সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি কমিশনের সভায় আলোচনা হবে। দলটির সঙ্গে কমিশনের বৈঠক রোববার (২১ এপ্রিল) নির্ধারিত রয়েছে।

 

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি পাওয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যেই বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সেখানেও ঋণের কিস্তির বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে বলে জানান তিনি। 


অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপনের পর জুনেই আইএমএফের বাজেট সহায়তার কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। এরপরও ঋণ না পেলে বাজেট সহায়তার জন্য মরিয়া হয়ে ছুটবে না বাংলাদেশ-বলেন এ উপদেষ্টা।


অর্থ উপদেষ্টা জানান, “এনবিআরকে দুই ভাগ করা হচ্ছে। এটাকে আইএমএফ ভালো সিদ্ধান্ত বলেছে। সংস্থাটি ভর্তুকি কমানোর কথা বললেও, সেটি হুট করে কমানো সম্ভব নয়। আইএমএফের টাকা না পেলে দেশ চলবে না, এমনটি নয়। তবে পেলে ভালো হয়।”


২০২৩ সালে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ দিতে সম্মত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। মোট ৬ কিস্তিতে ঋণ দেয়ার কথা সংস্থাটির। এরইমধ্যে ৩টি কিস্তি বাংলাদেশ হাতে পেলেও চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। প্রায় দুই সপ্তাহের ঢাকা সফর শেষে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সংস্থাটির প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বেশ কিছু সন্তুষ্টির কথা জানালেও চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড় করা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।


চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে জুন পর্যন্ত। তবে বাজেট সহায়তার এই অর্থ পেতে জুনের প্রথম সপ্তাহে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পরপরই সিদ্ধান্ত জানতে চাইবেন অর্থ উপদেষ্টা। এ জন্য আগামী ২১ এপ্রিল ওয়াশিংটনে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সম্মেলনেও সংস্থাটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।


দশ দিনের এই সফরে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গেও বৈঠক করবে বলে সময় সংবাদকে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাজেট ঘোষণা করার আগেই অর্থ ছাড়ের প্রতিশ্রুতি চেয়েছি। আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ওয়াশিংটনে শুধু আইএমএফ নয়, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গেও আলোচনা হবে।


এরইমধ্যে রাজস্ব বোর্ড বিকেন্দ্রীকরণ, রিজার্ভের স্থিতিশীলতায় সন্তোষ জানিয়েছে আইএমএফ। রাজস্ব বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সমন্বয় করা হয়েছে জ্বালানির দাম। তবে খাদ্য, কৃষি খাতে দেয়া ভর্তুকি কমানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ।


ওয়াশিংটনে সম্মেলন শেষে ২৯ এপ্রিল অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। ২ জুন ঘোষণা করা হবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।
 

আলোচিত খবর

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:

বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, দেশের মাঠ প্রশাসনের একটি বড় অংশ নিরপেক্ষতা হারিয়ে বিএনপির পক্ষাবলম্বন করছে। এ ধরনের একপক্ষীয় প্রশাসনের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। 

 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় সফররত মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

 

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা দেখছি, মাঠপর্যায়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে, অথচ প্রশাসন সেসব ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে। কোথাও কোথাও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ সংঘটিত হলেও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না এবং নির্বাচনের সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

 

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারের দাবি তুলে ধরা হয়। নাহিদ বলেন, “আমরা কূটনীতিকদের জানিয়েছি যে, এনসিপি কেবল নির্বাচনের জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রের গঠনগত সংস্কারের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে। আমাদের তিনটি প্রধান দাবি—সংবিধানিক সংস্কার, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন। এসব দাবি পূরণ না হলে সেই নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব কি না, তা পুনর্বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “আমরা ন্যূনতম কিছু পরিবর্তন চাই না। আমাদের লক্ষ্য রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার। বিচার ব্যবস্থার রোডম্যাপ, প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার কোনো অর্থ হয় না।”

 

নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন, পুলিশ এবং আমলাতন্ত্রকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল হতে হবে। না হলে আগামী নির্বাচন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না।”
 

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে ৫০৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক ওয়াইবিএইচজে দাতো জাকারিয়া বিন শাবান রাতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই অভিযানে মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির ডকুমেন্টস পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৯ জন অভিবাসী নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয় নাগরিক ছিল। যাচাই-বাছাই শেষে ৫০৬ জন অভিবাসী নাগরিককে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সকলের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।

 

অভিযান এবং পরিদর্শনের সময় কিছু বিদেশি নাগরিক ছিল যারা ঘর, টয়লেট, স্টোররুম এবং অন্যান্য স্থানে লুকিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেছিল। আটক অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ছিল পরিচয়পত্র না থাকা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন, অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা, অচেনা কার্ডধারী এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী অন্যান্য অপরাধ।
 

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ভারতে সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ নিয়ে বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে সুপ্রিম কোর্ট সাত দিনের জন্য আইনের কয়েকটি ধারায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলে নতুন কোনো নিয়োগ দেওয়া যাবে না। 

 

এই আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ। 


বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মামলার শুনানিতে আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার আশ্বাস গ্রহণ করে জানান, সরকার আপাতত ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুযায়ী কোনো নিয়োগ দেবে না এবং বিদ্যমান নিবন্ধিত ওয়াকফ সম্পত্তির চরিত্রও পরিবর্তন করবে না।


উল্লেখ্য, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে ভারতের দুই কক্ষ—লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়। লোকসভায় বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৮টি এবং বিপক্ষে ২৩২টি। রাজ্যসভায় পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি ও বিপক্ষে ৯৫টি। ৫ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতির সম্মতির মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হয়।


তবে আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেক মুসলিম সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতা এটিকে ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একধরনের হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেন। ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে ৭২টি আবেদন, যার মধ্যে রয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড, জমিয়াত উলামায়ে হিন্দ, ডিএমকে ও কংগ্রেসের কয়েকজন আইনপ্রণেতার নাম।


বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এত বিপুল সংখ্যক আবেদন একসঙ্গে শুনানির বাস্তবতা নেই। তাই আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মাত্র পাঁচটি আবেদন বাছাই করে প্রাথমিক শুনানি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রকে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর পিটিশনাররা পাঁচ দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান জানিয়ে জবাব দেবে।


আদালত আরও বলেছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবহারকারীরা যেন কোনো হেনস্তার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কোনো ওয়াকফ সম্পত্তিকে ‘ডিনোটিফাই’ করা যাবে না বা তার ব্যবহার ও চরিত্র বদলানো যাবে না।


এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ মে, দুপুর ২টা। ঐ দিন আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে।
 

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশিদের জন্য নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে, যা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি সময় অবস্থান করা বিদেশিদের বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা বা কারাদণ্ড সহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি পোস্টে এই নির্দেশনার বিষয়টি জানায়। পোস্টে বলা হয়, যেসব বিদেশি ৩০ দিনের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিবন্ধন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া একেবারে বাধ্যতামূলক, এবং এর ব্যত্যয়ে গুরুতর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


নির্দেশনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কেউ এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া উপেক্ষা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ৯৯৮ ডলার দৈনিক জরিমানা ধার্য করা হবে, যা এক পর্যায়ে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, অভিযুক্তদের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং তাদের আর কখনও বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের মন্তব্য উদ্ধৃত করে ওই পোস্টে বলা হয়, "অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আমাদের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ুন এবং স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যান।" এছাড়া, যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে, এমনকি আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে। পোস্টে বলা হয়, যারা নিজের উদ্যোগে দেশে ফিরতে চান, তারা যুক্তরাষ্ট্রে উপার্জিত অর্থও নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।


তবে, যদি কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান অব্যাহত রাখেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হবে, এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনে জরিমানা এবং কারাদণ্ডের শিকার হতে হবে।


নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ফেরত যেতে চাইছেন কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম নয়, তাদের জন্য সরকার সহায়তার ব্যবস্থা করবে এবং বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে, যেসব বিদেশি এই নিয়ম অমান্য করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে যাবেন, তাদের জন্য শাস্তির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।


এই নতুন নিয়মটি সরাসরি বিভিন্ন ভিসার প্রক্রিয়া যেমন H-1B বা স্টুডেন্ট ভিসার ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করবেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় হুঁশিয়ারি হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এই নতুন নিয়ম দেশটির অভিবাসন নীতির কঠোরতর দিকটি প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপের ফলে, যেসব বিদেশি দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠোর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


 

Site Counter

Online

8

Total

13k

নিজস্ব প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী শতাব্দী ক্লাবের ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সর্বসম্মতিক্রমে অমল ব্যানার্জি সভাপতি এবং আকিবুর রহমান ইকবাল সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। নতুন কমিটি ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপালন করবে।

 

কার্যকরী কমিটিতে আরও যাঁরা রয়েছেন- সহ-সভাপতি রকিব উদ্দিন বাবুল ও রফিকুল ইসলাম রিপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম অটল ও ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, কোষাধক্ষ নির্মল কর্মকার, ক্রীড়া সম্পাদক আবু জাহিদ হোসেন, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান দুলাল এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক দিলীপ কুমার সরকার রঞ্জিত।

 

এছাড়া কার্যকরী কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন- কাজী শফিকুর রহমান লিটন, তনু নিয়োগী, ফারুক খান ও শাহিন আহম্মেদ।

 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। এছাড়া ক্লাবের সাবেক সভাপতি মির্জা মাসুদ রুবল এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শামসুল রহমানসহ অন্য সদস্যরা।

 

উল্লেখ, টাঙ্গাইল শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে ঐতিহ্যবাহী শতাব্দী ক্লাবটি বাংলা ১৪শ’ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১০৭ জন।
 

টাঙ্গাইল দর্পণ স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এই নামটাই একটা ব্র্যান্ড। সেই ব্যাপারটা ক্যারিয়ারের চূড়ায় থাকতেই বুঝতে পেরেছিলেন স্বয়ং রোনালদো।

 

ফুটবলের বাইরেও নানা ক্ষেত্রে নিজের বৃহৎ সামাজ্য গড়ে তুলেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তেমনই বাণিজ্যিকভাবেও তার বিচরণ রয়েছে স্বদেশি রাজধানী লিসবনসহ ইউরোপ-আফ্রিকার বেশকিছু দেশে। কয়েকটি দেশে ‘দ্য হোটেল পেস্তানা সিআরসেভেন’–এর অধীনে রেস্তোরাঁ রয়েছে। মরক্কোয় অবস্থিত রোনালদোর তেমনই এক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি।


পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম ‘আ বোলা’ জানিয়েছে, গত শনিবার মরক্কোর দ্য হোটেল পেস্টানা সিআর৭ আগুন লেগেছে। যদিও জরুরি ভিত্তিতে অগ্নিনির্বাপক দল সেই আগুণ নিয়ন্ত্রণ আনে। এর মাধ্যমে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে সেখানে।


মরক্কোর সংবাদমাধ্যম ‘মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ’-এর তথ্যমতে, ছোট আকারের আগুন লেগেছিল। হোটেল কর্তৃপক্ষ ও ইমারজেন্সি বিভাগের তাৎক্ষণিক সচেতনতা সেই আগুন নেভানোর কাজটি সম্পন্ন করেছে। ফলে আগুন লাগার পর সেটি আর আশপাশের কোথাও ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।


২০১৯ সালে মারাকেশেতে অবস্থিত রোনালদোর মালিকানাধীন বিলাসবহুল এই হোটেলটি চালু করা হয়। যেখানে রয়েছে দুটি রেস্টুরেন্ট, একটি জিম, স্পা এবং সুইমিং পুল। ফলে সবমিলিয়ে হোটেলের কক্ষ সংখ্যা ১৬৮টি। মরক্কো ছাড়াও ‘পেস্তানা সিআর সেভেন’ ব্র্যান্ডের হোটেল রয়েছে লিসবন এবং মাদেইরাসহ বিশ্বের আরও কিছু জায়গায়। মরক্কোর এই হোটেল ২০২৩ সালে ভূমিকম্পের সময় ভ্রমণকারী ও আশপাশের বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।


আগুন লাগলেও পর্যটকদের জন্য খুব দ্রুতই সেটি নিরাপদ বাসযোগ্য করে তোলার কথা জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ, ‘অতিথি ও কর্মচারীদের নিরাপদে অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ওই জায়গাও খালি করার প্রয়োজন হয়নি। কেউ হতাহত হয়নি আগুনের ঘটনায়।’
 

নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময় বাড়াতে ইসিতে এনসিপির আবেদন

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলআইন ডেস্ক:

তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া একটি চিঠিতে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা কমপক্ষে ৯০ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসির ঘোষিত সময়সীমাকে অবাস্তব ও সময়ের প্রেক্ষাপটে অযৌক্তিক উল্লেখ করে তারা এই অনুরোধ জানিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের দপ্তরে গিয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, তাজনূভা জাবীন এবং সদস্য মনিরুজ্জামান লিখিতভাবে এই আবেদন জমা দেন। চিঠির শিরোনাম ছিল: "নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন"।

 

এনসিপি দাবি করেছে, ২০০৮ সালের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ও সংশ্লিষ্ট আইনগুলো একনায়কতান্ত্রিক সরকারের সময়ে তৈরি, যা বর্তমানে গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করে রাখছে। দলটির ভাষ্য অনুযায়ী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যালয় স্থাপন, নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য সংগ্রহ ও অন্যান্য জটিল শর্ত পূরণ করতে একটি নতুন দলের জন্য তিন মাসের অতিরিক্ত সময় একান্তই প্রয়োজন।


চিঠিতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যেই অতীতের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটবিহীন নির্বাচন, জাল ভোট ও রাতের ভোটসহ নানা অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থা হারিয়েছে জনগণ। ফলে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান পরিবর্তনের ধারার সূচনা ঘটে, যার ভিত্তিতে এনসিপি গঠিত হয়েছে। তাই নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ পেতে যথাযথ সময় পাওয়া তাদের সাংবিধানিক অধিকার।


গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি প্রতিবেদনসহ সুপারিশমালা পেশ করলেও, তা এখনও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। এনসিপি দাবি করে, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন আইন প্রণয়ন বা বিদ্যমান আইনের সংস্কার ছাড়া নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালানো যুক্তিসঙ্গত নয়।


এ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "নতুন দলগুলোর জন্য বর্তমান নিবন্ধন বিধিমালা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কমিশন যে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং তড়িঘড়ি করে জারি করা হয়েছে। আমরা সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি মৌলিক সংস্কারের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি।"


ইসি গত ১০ মার্চ নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ এপ্রিল। এনসিপি বলছে, এই সময়সীমা অপ্রতুল এবং নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সময় বাড়ানো জরুরি।
এদিকে, ইসি সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি কমিশনের সভায় আলোচনা হবে। দলটির সঙ্গে কমিশনের বৈঠক রোববার (২১ এপ্রিল) নির্ধারিত রয়েছে।

 

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে বিএনপির বৈঠক বুধবার

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) বৈঠক করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দুপুর ১২টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 


মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন। 


দলটির নেতারা জানিয়েছেন, বুধবারের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কী, তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে চান নেতারা। পরদিন (১৭ এপ্রিল) সংস্কার ইস্যুেত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।


প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে নানামহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইব।
 

ভারতের নতুন ওয়াক্‌ফ আইন নিয়ে উত্তাল রাজনীতি

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও দাতব্য সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সদ্য পাশ হওয়া ওয়াক্‌ফ (সংশোধনী) আইন ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক ও সামাজিক অস্থিরতা। আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই অন্তত ১৫টি মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার প্রাথমিক শুনানি আগামী ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।


এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করে অনুরোধ জানিয়েছে, মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে যেন সরকারের বক্তব্য শোনা হয়।


ওয়াক্‌ফ অর্থাৎ মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বা দাতব্য কাজে ব্যবহৃত জমি ও সম্পত্তি নিয়ে ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে একটি আলাদা আইনগত কাঠামো। নতুন ওয়াক্‌ফ আইনে সেই কাঠামোয় আনা হয়েছে বড় ধরনের পরিবর্তন।


প্রথমত, কোনও সম্পত্তিকে ওয়াক্‌ফ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে এখন মুখের ঘোষণা নয়, প্রয়োজন হবে বৈধ লিখিত প্রমাণপত্র। এছাড়া সরকারি মালিকানাধীন জমির উপর ওয়াক্‌ফ দাবি উঠলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার নিজেই।


দ্বিতীয়ত, ওয়াক্‌ফ বোর্ড ও ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে মুসলিম নন এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আদালতের হস্তক্ষেপের সুযোগ রাখা হয়েছে, যা পূর্বে ছিল কেবল ওয়াক্‌ফ ট্রাইব্যুনালের আওতায়।


সবশেষে, সব ওয়াক্‌ফ সম্পত্তিকে একটি কেন্দ্রীয় নিবন্ধন ব্যবস্থার আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে ছয় মাসের মধ্যে সম্পত্তিগুলোকে নথিভুক্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট ওয়াক্‌ফ বোর্ডে।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইনটিকে এক "পালাবদলের মুহূর্ত" হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, “ওয়াক্‌ফ ব্যবস্থায় যুগ যুগ ধরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব ছিল। এই আইন শুধু স্বচ্ছতা বাড়াবে না, নাগরিকদের অধিকারও সুরক্ষিত করবে।” দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, “গরিব মুসলমান, নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য এই আইন এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”


অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো একযোগে এই আইনটির বিরোধিতা করছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “এটি আসলে মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার খর্ব করার একটি সচেতন পদক্ষেপ। আইনটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”


আইনটির সবচেয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি অভিযোগ করেছেন, “এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ে ওয়াক্‌ফ বোর্ডে অমুসলিমদের নিয়োগের সুযোগ তৈরি করে মুসলিমদের নিজস্ব ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।”


এই আইন ঘিরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন, পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মণিপুরেও দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। উত্তরপ্রদেশে পুলিশ শুরু করেছে মুসলিম বিক্ষোভকারীদের মুচলেকা নেওয়া।
 

নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

-মোঃ মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন, লেখক, সাংবাদিক, সংগঠক

আজ (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হবে দিবসটি। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারীদের প্রতি ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে আরও একবার মনে করিয়ে দেয় এই স্লোগান। 

 

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্য অনুসারে, অগ্রগতির বর্তমান হারে, পূর্ণ লিঙ্গ সমতা অর্জনে সময় লাগবে ২১৫৮ সাল পর্যন্ত, যা এখন থেকে প্রায় পাঁচ প্রজন্ম। ত্বরান্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে লিঙ্গ সমতা অর্জনের জন্য দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে এ বছরের নারী দিবসে। এটি ব্যক্তিগত এবং পেশাদার উভয় ক্ষেত্রেই নারীরা যে বাধা এবং পক্ষপাতের মুখোমুখি হন, তা মোকাবিলায় বর্ধিত গতি এবং জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানায়।

 

এই দিনটির শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সেসময় গ্রেফতার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারীশ্রমিক ইউনিয়ন’। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। ১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

 

জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নারী দিবস হচ্ছে সেই দিন, যেই দিন জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেবার দিন। এদিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বরণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করে, যাতে আগামী দিনগুলো নারীর জন্য আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।

 

নারী নির্যাতন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা এখনো নারীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গার্হস্থ্য সহিংসতা, যৌন হয়রানি, কর্মস্থলে বৈষম্য এবং মানব পাচারের মতো সমস্যা বিশ্বজুড়ে রয়েছে। অনেক দেশে আইনি ব্যবস্থা থাকলেও, কার্যকর বাস্তবায়ন না থাকার কারণে নারীরা ন্যায়বিচার পায় না। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানো ও পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। নারীর স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করতে হবে। অনেক দেশে নারীরা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত হয়, যা মাতৃমৃত্যুর হার বাড়ায়। সুলভ ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে নারীরা আরও সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে পারবে।

 

সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অপরিহার্য। বহু সংস্কৃতিতে এখনো নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়। নারীরা যাতে সমান মর্যাদা পায় এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে শিক্ষা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের অর্জন ও সক্ষমতাকে প্রচার করা হলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। নারীর ক্ষমতায়ন শুধুমাত্র নারীদের জন্য নয়, বরং গোটা সমাজের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। যখন নারীরা সমান সুযোগ পায়, তখন পরিবার, সমাজ ও অর্থনীতি লাভবান হয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে লিঙ্গসমতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সরকার, বেসরকারি সংস্থা, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

 

আজকের বিশ্বে নারীদের অগ্রগতি স্পষ্ট, কিন্তু এখনো অনেক পথ বাকি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, নারীদের সমানাধিকার, সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তির উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সামাজিক ন্যায্যতা—সব কিছুতেই নারীদের অবদান অপরিহার্য। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি উন্নত, প্রগতিশীল ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়ে তুলতে পারব।

 

নারী দিবসে বিশ্বের সর্বস্তরের নারীদের অবদানকে কুর্নিশ জানাই। জল ছাড়া যেমন জীবন অচল, তেমনই নারী ছাড়া অচল একটা সভ্যতা ও সমাজ। তাই নারীদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ৮ মার্চ সারা বিশ্বে এই বিশেষ দিনটি উদযাপিত হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রিয় ও পরিচিত নারীদের উপহার দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জানাতে পারেন দিনটির শুভেচ্ছা। এতে চলার সূচনাও হবে ইতিবাচকভাবে। সভ্যতার মেরুদণ্ড হল নারী। তাদের অবমাননা হলে সমাজও ধসে যায়। নারীদের অবদানকে তাই নিরন্তর কুর্নিশ। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশ্বের সর্বস্তরের নারীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং শুভকামনা।

 

একটি শিশুকে জন্ম দেওয়া থেকে বড় করে তোলা পর্যন্ত নারীদের অবদান অসীম। এই অবদানের কথাই মনে করিয়ে দেয় নারী দিবসের মতো একটি বিশেষ দিন। যেখানে নারীর সম্মান রয়েছে, সেখানে সমাজসংস্কৃতির উত্থান হবেই। নারীকে যে দেশ, যে সমাজ সম্মান জানায়, সেই দেশ অনেক উন্নতি করে। নারীদের শ্রমই একটি সমাজকে গড়ে তোলে। রান্না করে খাওয়ানো থেকে বিকেলে পড়তে বসানো, মনের সব কথা খুলে বলা থেকে বিপদে পাশে পাওয়া। বারবার নারীরা পাশে এসে দাঁড়ায়, সঙ্গে থাকে। স্নেহ, মায়া, মমতা দিয়ে শিশুদের নয়, একটা সমাজও সভ্যতাকে বড় করে তুলছে নারীরা। তাই তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা অসীম। কখনও মায়ের রূপে, কখনও বোন হয়ে, কখনও বন্ধু বা কখনও প্রেয়সী হয়ে বারবার নারীরা জীবন সমৃদ্ধ করে তোলে। বাড়ি আর বাইরের জগতে দুই স্থানেই আজ সমান দক্ষতায় লড়াই করে চলেছে নারীরা। তাদের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।

 

নারীদের স্নেহছায়া আর যত্ন একটি শিশুর বড় হওয়ার জন্য জরুরি। আর শিশুরাই দেশ ও সমাজের ভবিষ্যত। একটি সভ্যতার ভবিষ্যতনির্মাতাদের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সংগ্রামী নারীদের স্যালুট জানাই। নারীদের অনবরত ত্যাগ রয়েছে বলেই আজ সভ্যতা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে। নারীদের এই অবদান কোনওমতেই ভুলে যাওয়ার নয়।

 

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীর সুখী সমৃদ্ধশালী ও সম্মানজনক জীবন কামনা করে তাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থীম "অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন” এর সফলতা কামনা করছি।
 

নতুন কালেকশন নিয়ে কে ক্র্যাফট

বৈচিত্র্যময় পোশাকের বিশেষ আয়োজন নিয়ে এসেছে কে ক্র্যাফট। তাই সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় কাক্সিক্ষত বা উপযোগী পোশাক নির্বাচনে ক্যাজুয়াল কিংবা এক্সক্লুসিভ সবই মিলবে এবারের আয়োজন থেকে। এছাড়া লম্বা ছুটিতে যেখানেই যান তার জন্য প্রয়োজন স্টাইলিশ কিন্তু রিলাক্সড পোশাক। আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে মানানসই এমনি সব পোশাক থাকবে এবারের আয়োজনে। 

 
মেয়েদের জন্য সালোয়ার কামিজ এবং কুর্তিতে ফ্রক স্টাইল, এ লাইন এবং রেগুলার শেপ ছাড়াও স্ট্রেইট কাট, রাফল, প্লিটেড, বক্স প্লিটেড স্টাইল থাকবে। নিজস্ব ডিজাইনের শাড়িতে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন এবং ভ্যালু অ্যাডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার সকলের দৃষ্টি  কাড়বে। ছেলেদের জন্য রয়েছে পছন্দের ব্র্যান্ড কে ক্র্যাফটের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি। এছাড়াও পাওয়া যাবে স্মার্ট ক্যাজুয়াল শার্ট, এথনিক শার্ট, ফতুয়া। কে ক্র্যাফটের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লার সকল শো-রুম ছাড়াও অনলাইন শপ kaykraft.com থেকে ঈদ আয়োজন এর পোশাক পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী মূল্যে। এছাড়াও অর্ডার করা যাবে ফেসবুক পেজ থেকেও । 

আত্মরক্ষায় মেয়েদের উদ্যোগ

শারীরিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নারীদের নিয়ে সামাজিকভাবে এক প্রকার অবহেলা, উদাসীনতা প্রত্যক্ষ করা যায়। নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে তো অনেকখানিই। আত্মরক্ষা করার সুষম সক্ষমতা মেয়েদের কিছুটা পিছিয়ে রাখে এটাই সমাজ সংস্কারের নিয়ম। সেই আদিকাল থেকে আজ অবধি। কিন্তু যুগের পরিবর্তন, নতুন সময়ের আবেদনে নারীদের সদর্পে এগিয়ে চলা বর্তমানে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অনুষঙ্গ। এখনো শারীরিক শক্তিময়তায় নারী খেলোয়াড়দের অনেক বাধাবিঘœ অতিক্রম করা নজরে আসতে সময় লাগছে না।

সেটাও কম কিছু নয়। কঠিন কর্মযোগে সম্পৃক্ত হতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সুস্থ, সবল শারীরিক সক্ষমতা। ক্রমান্বয়ে তা পারদর্শিতায় রূপ নিতে দেরি হয় না। যা সমতাভিত্তিক সমাজ-বিনির্মাণের নির্ণায়ক। সম্প্রতি এক খবরে মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রস্তুতির ওপর চমকপ্রদ ঘটনা নজরকাড়ার মতো, পরনির্ভরশীলতা, দুর্বলতা, আর কিছুটা অক্ষমতায় পিছিয়ে পড়া মেয়েরা নিজ উদ্যোগে তাদের সবল করার প্রত্যয়ে ব্রতি হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানকার মেয়েরা আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করতে এগিয়ে এসেছে।

 

সত্যি এক অসাধারণ কর্ম সাধনা। ‘সবলা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেনÑ নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকারÑ হে বিধাতা, সেটার জন্য অনেক অপেক্ষার পালা সীমা অতিক্রম করেছে। কিন্তু সেটাও যখন হাতের নাগালে তাই যেন সই। সংখ্যায় কম হলেও সামনে আরও বাড়বে। অসাম্য বৈষম্যের বন্ধনজালে আবদ্ধ নারীরা চিরায়ত অপসংস্কারেও আকণ্ঠ নিমজ্জিত। এক সময় খেলাধুলায় তাদের অংশীদারিত্বও ছিল নগণ্য। যুগের হাওয়ায় তা ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে নিজেকে যে মাত্রায় প্রমাণ করে যাচ্ছে সেটা নারী জাতির অবিস্মরণীয় বিজয়।

 

কর্মজীবী নারীরা এখন ক্ষুদ্র পরিবার সামলিয়ে বৃহত্তর সামাজিক আঙিনায় পেশাগত কর্মযোগকেও অপ্রতিরোধ্য করে তুলছে। ভীরু নারীরা আজ সময়ের দুরন্ত আহ্বানে দুঃসাহসিক হয়ে উঠতেও যেন মরিয়া। স্বাবলম্বী হওয়া থেকে আরম্ভ করে শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করা সবই যেন অপার মহিমার সঙ্গে অসম পারদর্শিতাকেও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে। 
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নারীরা আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণের ওপর এক চমকপ্রদ ঘটনা সমসংখ্যককে নতুনভাবে উদ্ভাসিত করা। আপন দক্ষতা আর শক্তিময়তায় আনোয়ারা উপজেলায় বিভিন্ন ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি ‘শাওলিন কুংফুং অ্যান্ড উন্ড একাডেমি’, ‘বাংলাদেশ টাইগার মার্শাল আর্ট’, ‘শাওলিন উন্ড ট্রেনিং সেন্টার’ নামে তিনটি নারী আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। কোনো কঠিন কাজের সামনে কাঁপন ওঠার মতো দুঃসময় নারীকে এখন আর সেভাবে তাড়া করে না।

তা ছাড়া জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু সংস্থা ইউনিসেফের কার্যক্রমে শিশু-কিশোর সেলফ ডিফেন্স ক্লাব, মহিলা অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবসহ আরও কিছু কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণকে জোরালো করা হচ্ছে। আনোয়ারার এমন চমৎকার পরিবেশে ছেলেমেয়ে উভয়ই পাশাপাশি অবস্থান করে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়াও সমতাভিত্তিক সুস্থ পরিবেশকে স্বাগত জানানো। ছেলেময়ের সমান অংশগ্রহণে পোশাক-পরিচ্ছেদেও কোনো বিভেদ নেই। এক রকম পোশাক পরে মানুষের মর্যাদায় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আধুনিক ও উদীয়মান প্রজন্ম তা আগামীর বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনতার আদলে নতুন মোড়কে উন্মোচন তো করবেই।

এ ছাড়াও আছে এনজিও সংস্থার নানামাত্রিক প্রকল্প, যা ছেলেমেয়েকে সমান বিবেচনায় দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়ত সমতাভিত্তিক কর্মযোগ নিরন্তর করেই যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সেলফ ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীরা পারদর্শী  আর শারীরিক সক্ষমতায় নিজেদের তৈরি করে যাচ্ছে। আধুনিক ও প্রযুক্তির নতুন বাংলাদেশের নব অধ্যায়ের শুভ সূচনা তো বটেই। তবে মেয়েদের শাশ্বত কর্মযোগকেও সমানভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যেমন সেলাই, বিউটিশিয়ান হিসেবেও প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করতেও মেয়েরা এগিয়ে থাকছে।

নারী প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের আবেগ-উচ্ছ্বাসেরও কোনো ঘাটতি নেই। পরম আনন্দে, স্বইচ্ছায় উদ্যোগী হয়ে তারা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে নিজেদের যাত্রাকে সাবলীল আর অবারিত করে যাচ্ছে। তাদের আলাপচারিতায় আরও প্রত্যক্ষ হয় ঘর থেকে বাইরে যেতে গেলে পিতা-মাতা-অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। নির্বিঘেœ, নিরাপদে যাওয়া-আসা করা যাবে তো? পথে-প্রান্তরে কোনো বিপত্তির আশঙ্কা নেই তো? তাই নিজের নিরাপত্তায় শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়াও জরুরি। সঙ্গত কারণে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণও সময়ের ন্যায্যতা দাবি করে। তার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে বখাটে ছেলেদের উৎপীড়ন, উৎপাত বহু সময় ধরে ঘটে যাওয়া এক দুঃসহ ঘটনার পালাক্রম।

সেখানে নিজেদের সুরক্ষায় প্রতিপক্ষকে থামাতে আত্মশক্তির বিকল্প অন্য কিছু নয়। এটা শুধু চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং বাংলাদেশের শহর-গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তরে এমন কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে হবে। যাতে সারাদেশের মেয়েদের রাস্তাঘাটে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যেতে-আসতে কোনো বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হলে প্রতিরোধ করার শক্তিও যেন অন্তর্নিহিত বোধে জিইয়ে থাকে।

 
 

চায়ের সাথে ভুলেও যে ৪ খাবার খাবেন না

চা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। এর প্রশান্তিদায়ক উষ্ণতা এবং অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে শুধু চা হলে জমে না অনেকের, এর সঙ্গে প্রয়োজন হয় অল্পস্বল্প কিছু খাবার। এরকম খাওয়া যেতেই পারে। তাতে ক্ষতির কিছু নেই। 

দুগ্ধজাত পণ্য

 

আমাদের দেশে জনপ্রিয় সব পানীয়ের মধ্যে অন্যতম হলো দুধ চা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চায়ের সঙ্গে দুগ্ধজাত কোনো খাবারই না খেতে। দুগ্ধজাত প্রোটিন চায়ের সূক্ষ্ম গন্ধকে পরিবর্তন করে এবং একে কম উপভোগ্য করে তোলে। যদিও আপনার চায়ে কিছুটা দুধ মেশানো গ্রহণযোগ্য হতে পারে, তবে চায়ের সঙ্গে পনির, দই বা ক্রিম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

 

সাইট্রাস ফল

কমলা, লেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এগুলো চায়ের ট্যানিনের সঙ্গে সংঘর্ষ করতে পারে, যার ফলে একটি তিক্ত বা ধাতব স্বাদ তৈরি হয়। সাইট্রাস ফলের অম্লতা চায়ের সঙ্গে মিলিত হলে পেট খারাপ হতে পারে, যা হজমের অস্বস্তি তৈরি করে। অনেকে চায়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খান, সামান্য লেবুর রসে সমস্যা নেই তবে আস্ত সাইট্রাস ফল চায়ের সঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

 

ঝাল খাবার

চায়ের সঙ্গে পাকোড়া, পুড়ি, সিঙ্গারা ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের খাবার চায়ের সূক্ষ্ম স্বাদকে নষ্ট করতে পারে। সেইসঙ্গে ঝাল জাতীয় খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন এবং চায়ে থাকা ট্যানিনের সংমিশ্রণ গ্যাস্ট্রিক জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চায়ের সঙ্গে যেকোনো ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন কাঁচা শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং লেবু স্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য অপরিহার্য। তবে এগুলো চায়ের সঙ্গে খাওয়া হলে তা আয়রনের মতো নির্দিষ্ট খনিজ শোষণে বাধা দিতে পারে। চায়ে অক্সালেট নামক যৌগ রয়েছে, যা খনিজের সঙ্গে আবদ্ধ হয় এবং তার শোষণকে বাধা দেয়। তাই চায়ের সঙ্গে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭