
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অভিবাসী আটক
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে ৫০৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক ওয়াইবিএইচজে দাতো জাকারিয়া বিন শাবান রাতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই অভিযানে মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির ডকুমেন্টস পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৯ জন অভিবাসী নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয় নাগরিক ছিল। যাচাই-বাছাই শেষে ৫০৬ জন অভিবাসী নাগরিককে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সকলের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।
অভিযান এবং পরিদর্শনের সময় কিছু বিদেশি নাগরিক ছিল যারা ঘর, টয়লেট, স্টোররুম এবং অন্যান্য স্থানে লুকিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেছিল। আটক অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ছিল পরিচয়পত্র না থাকা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন, অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা, অচেনা কার্ডধারী এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী অন্যান্য অপরাধ।
আন্তর্জাতিক

ভারতের ওয়াকফ আইনে স্থগিতাদেশ: নিয়োগ ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ভারতে সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ নিয়ে বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে সুপ্রিম কোর্ট সাত দিনের জন্য আইনের কয়েকটি ধারায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলে নতুন কোনো নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
এই আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মামলার শুনানিতে আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার আশ্বাস গ্রহণ করে জানান, সরকার আপাতত ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুযায়ী কোনো নিয়োগ দেবে না এবং বিদ্যমান নিবন্ধিত ওয়াকফ সম্পত্তির চরিত্রও পরিবর্তন করবে না।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে ভারতের দুই কক্ষ—লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়। লোকসভায় বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৮টি এবং বিপক্ষে ২৩২টি। রাজ্যসভায় পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি ও বিপক্ষে ৯৫টি। ৫ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতির সম্মতির মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হয়।
তবে আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেক মুসলিম সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতা এটিকে ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একধরনের হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেন। ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে ৭২টি আবেদন, যার মধ্যে রয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড, জমিয়াত উলামায়ে হিন্দ, ডিএমকে ও কংগ্রেসের কয়েকজন আইনপ্রণেতার নাম।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এত বিপুল সংখ্যক আবেদন একসঙ্গে শুনানির বাস্তবতা নেই। তাই আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মাত্র পাঁচটি আবেদন বাছাই করে প্রাথমিক শুনানি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রকে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর পিটিশনাররা পাঁচ দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান জানিয়ে জবাব দেবে।
আদালত আরও বলেছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবহারকারীরা যেন কোনো হেনস্তার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কোনো ওয়াকফ সম্পত্তিকে ‘ডিনোটিফাই’ করা যাবে না বা তার ব্যবহার ও চরিত্র বদলানো যাবে না।
এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ মে, দুপুর ২টা। ঐ দিন আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে।
ভারতে সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ নিয়ে বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে সুপ্রিম কোর্ট সাত দিনের জন্য আইনের কয়েকটি ধারায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলে নতুন কোনো নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মামলার শুনানিতে আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার আশ্বাস গ্রহণ করে জানান, সরকার আপাতত ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুযায়ী কোনো নিয়োগ দেবে না এবং বিদ্যমান নিবন্ধিত ওয়াকফ সম্পত্তির চরিত্রও পরিবর্তন করবে না।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে ভারতের দুই কক্ষ—লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়। লোকসভায় বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ২৮৮টি এবং বিপক্ষে ২৩২টি। রাজ্যসভায় পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি ও বিপক্ষে ৯৫টি। ৫ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতির সম্মতির মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হয়।
তবে আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেক মুসলিম সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতা এটিকে ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একধরনের হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেন। ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে ৭২টি আবেদন, যার মধ্যে রয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড, জমিয়াত উলামায়ে হিন্দ, ডিএমকে ও কংগ্রেসের কয়েকজন আইনপ্রণেতার নাম।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এত বিপুল সংখ্যক আবেদন একসঙ্গে শুনানির বাস্তবতা নেই। তাই আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মাত্র পাঁচটি আবেদন বাছাই করে প্রাথমিক শুনানি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রকে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর পিটিশনাররা পাঁচ দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান জানিয়ে জবাব দেবে।
আদালত আরও বলেছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবহারকারীরা যেন কোনো হেনস্তার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কোনো ওয়াকফ সম্পত্তিকে ‘ডিনোটিফাই’ করা যাবে না বা তার ব্যবহার ও চরিত্র বদলানো যাবে না।
এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ মে, দুপুর ২টা। ঐ দিন আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দিতে পারে বলে আভাস দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক

নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময় বাড়াতে ইসিতে এনসিপির আবেদন
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলআইন ডেস্ক:
তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া একটি চিঠিতে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা কমপক্ষে ৯০ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসির ঘোষিত সময়সীমাকে অবাস্তব ও সময়ের প্রেক্ষাপটে অযৌক্তিক উল্লেখ করে তারা এই অনুরোধ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের দপ্তরে গিয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, তাজনূভা জাবীন এবং সদস্য মনিরুজ্জামান লিখিতভাবে এই আবেদন জমা দেন। চিঠির শিরোনাম ছিল: "নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন"।
এনসিপি দাবি করেছে, ২০০৮ সালের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ও সংশ্লিষ্ট আইনগুলো একনায়কতান্ত্রিক সরকারের সময়ে তৈরি, যা বর্তমানে গণতান্ত্রিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করে রাখছে। দলটির ভাষ্য অনুযায়ী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যালয় স্থাপন, নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য সংগ্রহ ও অন্যান্য জটিল শর্ত পূরণ করতে একটি নতুন দলের জন্য তিন মাসের অতিরিক্ত সময় একান্তই প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যেই অতীতের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটবিহীন নির্বাচন, জাল ভোট ও রাতের ভোটসহ নানা অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থা হারিয়েছে জনগণ। ফলে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান পরিবর্তনের ধারার সূচনা ঘটে, যার ভিত্তিতে এনসিপি গঠিত হয়েছে। তাই নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ পেতে যথাযথ সময় পাওয়া তাদের সাংবিধানিক অধিকার।
গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি প্রতিবেদনসহ সুপারিশমালা পেশ করলেও, তা এখনও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। এনসিপি দাবি করে, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন আইন প্রণয়ন বা বিদ্যমান আইনের সংস্কার ছাড়া নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালানো যুক্তিসঙ্গত নয়।
এ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "নতুন দলগুলোর জন্য বর্তমান নিবন্ধন বিধিমালা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কমিশন যে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং তড়িঘড়ি করে জারি করা হয়েছে। আমরা সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি মৌলিক সংস্কারের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি।"
ইসি গত ১০ মার্চ নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ এপ্রিল। এনসিপি বলছে, এই সময়সীমা অপ্রতুল এবং নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সময় বাড়ানো জরুরি।
এদিকে, ইসি সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি কমিশনের সভায় আলোচনা হবে। দলটির সঙ্গে কমিশনের বৈঠক রোববার (২১ এপ্রিল) নির্ধারিত রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যেই অতীতের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটবিহীন নির্বাচন, জাল ভোট ও রাতের ভোটসহ নানা অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থা হারিয়েছে জনগণ। ফলে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান পরিবর্তনের ধারার সূচনা ঘটে, যার ভিত্তিতে এনসিপি গঠিত হয়েছে। তাই নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ পেতে যথাযথ সময় পাওয়া তাদের সাংবিধানিক অধিকার।
গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি প্রতিবেদনসহ সুপারিশমালা পেশ করলেও, তা এখনও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। এনসিপি দাবি করে, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন আইন প্রণয়ন বা বিদ্যমান আইনের সংস্কার ছাড়া নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালানো যুক্তিসঙ্গত নয়।
এ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "নতুন দলগুলোর জন্য বর্তমান নিবন্ধন বিধিমালা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কমিশন যে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং তড়িঘড়ি করে জারি করা হয়েছে। আমরা সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি মৌলিক সংস্কারের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি।"
ইসি গত ১০ মার্চ নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ এপ্রিল। এনসিপি বলছে, এই সময়সীমা অপ্রতুল এবং নির্বাচন ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সময় বাড়ানো জরুরি।
এদিকে, ইসি সূত্রে জানা গেছে, এনসিপির চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি কমিশনের সভায় আলোচনা হবে। দলটির সঙ্গে কমিশনের বৈঠক রোববার (২১ এপ্রিল) নির্ধারিত রয়েছে।
রাজনীতি

মাঠ প্রশাসন এখনও নিরপেক্ষ নয়, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, দেশের মাঠ প্রশাসনের একটি বড় অংশ নিরপেক্ষতা হারিয়ে বিএনপির পক্ষাবলম্বন করছে। এ ধরনের একপক্ষীয় প্রশাসনের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় সফররত মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা দেখছি, মাঠপর্যায়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে, অথচ প্রশাসন সেসব ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে। কোথাও কোথাও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ সংঘটিত হলেও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না এবং নির্বাচনের সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারের দাবি তুলে ধরা হয়। নাহিদ বলেন, “আমরা কূটনীতিকদের জানিয়েছি যে, এনসিপি কেবল নির্বাচনের জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রের গঠনগত সংস্কারের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে। আমাদের তিনটি প্রধান দাবি—সংবিধানিক সংস্কার, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন। এসব দাবি পূরণ না হলে সেই নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব কি না, তা পুনর্বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ন্যূনতম কিছু পরিবর্তন চাই না। আমাদের লক্ষ্য রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার। বিচার ব্যবস্থার রোডম্যাপ, প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার কোনো অর্থ হয় না।”
নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান। তার ভাষায়, “একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন, পুলিশ এবং আমলাতন্ত্রকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল হতে হবে। না হলে আগামী নির্বাচন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না।”
জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে বিএনপির বৈঠক বুধবার
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) বৈঠক করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দুপুর ১২টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, বুধবারের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কী, তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে চান নেতারা। পরদিন (১৭ এপ্রিল) সংস্কার ইস্যুেত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে নানামহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইব।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) বৈঠক করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দুপুর ১২টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, বুধবারের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কী, তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে চান নেতারা। পরদিন (১৭ এপ্রিল) সংস্কার ইস্যুেত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে নানামহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইব।
রাজনীতি

ভারতসহ তিন দেশ থেকে বেশকিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আমদানিযোগ্য বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সুতা, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পেপার ও পেপার বোর্ডসহ একাধিক পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা জারি করা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করে এনবিআরের কাস্টমস উইং। কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৮-এর উপ-ধারা (১)-এর ক্ষমতাবলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত এবং প্রক্রিয়াজাত সুতা ও আলু ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানি করা যাবে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্সÑএই পণ্যগুলো ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
একই সঙ্গে পূর্বে জারি করা এস.আর.ও নং ২৯৭-আইন/২০২৪/৮৯/কাস্টমস প্রজ্ঞাপনটির কয়েকটি ক্রমিক নম্বর সংশোধন করা হয়েছে। এতে পণ্য তালিকার হালনাগাদ করা হয় এবং ‘সকল রফতানিযোগ্য পণ্য’ আগের মতোই অব্যাহত রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা এবং অবৈধ রি-এক্সপোর্ট বা রিরাউটিং রোধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, কাগজ ও সিরামিক পণ্য খাতে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য। তবে কিছু ব্যবসায়ী মহল থেকে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা বলছেন, বিকল্প উৎস থেকে পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আমদানিযোগ্য বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সুতা, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পেপার ও পেপার বোর্ডসহ একাধিক পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা জারি করা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করে এনবিআরের কাস্টমস উইং। কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৮-এর উপ-ধারা (১)-এর ক্ষমতাবলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত এবং প্রক্রিয়াজাত সুতা ও আলু ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানি করা যাবে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্সÑএই পণ্যগুলো ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
একই সঙ্গে পূর্বে জারি করা এস.আর.ও নং ২৯৭-আইন/২০২৪/৮৯/কাস্টমস প্রজ্ঞাপনটির কয়েকটি ক্রমিক নম্বর সংশোধন করা হয়েছে। এতে পণ্য তালিকার হালনাগাদ করা হয় এবং ‘সকল রফতানিযোগ্য পণ্য’ আগের মতোই অব্যাহত রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা এবং অবৈধ রি-এক্সপোর্ট বা রিরাউটিং রোধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, কাগজ ও সিরামিক পণ্য খাতে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য। তবে কিছু ব্যবসায়ী মহল থেকে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা বলছেন, বিকল্প উৎস থেকে পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
জাতীয়

জুলাই গণহত্যা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইল অনলাইন ডেস্ক:
জুলাই গণহত্যায় নরসিংদীতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়ার অভিযোগে সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই মামলায় রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অনির্বান চৌধুরীও গ্রেফতার হয়েছেন।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, নরসিংদীতে গণহত্যা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত (পরোয়ানাভুক্ত) আসামি রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অনির্বান চৌধুরী এবং নরসিংদী জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুইজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, গতকাল (রোববার) দুপুরে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে অনির্বান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে আজ (সোমবার) তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অনির্বান চৌধুরী গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে গত ৭ অক্টোবর তিনি রাঙামাটি জেলা পুলিশে যোগ দেন।
এছাড়া ৩৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই নরসিংদীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া। তার মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। পরে লাশ নিয়ে মিছিল করতে গলে আবারও গুলি ছোড়া হয়। এতে আরও একজন নিহত হন।
জুলাই গণহত্যায় নরসিংদীতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়ার অভিযোগে সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই মামলায় রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অনির্বান চৌধুরীও গ্রেফতার হয়েছেন।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, নরসিংদীতে গণহত্যা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত (পরোয়ানাভুক্ত) আসামি রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অনির্বান চৌধুরী এবং নরসিংদী জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুইজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, গতকাল (রোববার) দুপুরে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে অনির্বান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে আজ (সোমবার) তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অনির্বান চৌধুরী গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে গত ৭ অক্টোবর তিনি রাঙামাটি জেলা পুলিশে যোগ দেন।
এছাড়া ৩৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই নরসিংদীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া। তার মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। পরে লাশ নিয়ে মিছিল করতে গলে আবারও গুলি ছোড়া হয়। এতে আরও একজন নিহত হন।
জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি অবস্থান করলে বাধ্যতামূলক নিবন্ধন, অমান্য করলে শাস্তি
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশিদের জন্য নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে, যা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি সময় অবস্থান করা বিদেশিদের বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা বা কারাদণ্ড সহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি পোস্টে এই নির্দেশনার বিষয়টি জানায়। পোস্টে বলা হয়, যেসব বিদেশি ৩০ দিনের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিবন্ধন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া একেবারে বাধ্যতামূলক, এবং এর ব্যত্যয়ে গুরুতর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কেউ এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া উপেক্ষা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ৯৯৮ ডলার দৈনিক জরিমানা ধার্য করা হবে, যা এক পর্যায়ে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, অভিযুক্তদের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং তাদের আর কখনও বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের মন্তব্য উদ্ধৃত করে ওই পোস্টে বলা হয়, "অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আমাদের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ুন এবং স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যান।" এছাড়া, যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে, এমনকি আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে। পোস্টে বলা হয়, যারা নিজের উদ্যোগে দেশে ফিরতে চান, তারা যুক্তরাষ্ট্রে উপার্জিত অর্থও নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
তবে, যদি কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান অব্যাহত রাখেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হবে, এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনে জরিমানা এবং কারাদণ্ডের শিকার হতে হবে।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ফেরত যেতে চাইছেন কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম নয়, তাদের জন্য সরকার সহায়তার ব্যবস্থা করবে এবং বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে, যেসব বিদেশি এই নিয়ম অমান্য করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে যাবেন, তাদের জন্য শাস্তির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।
এই নতুন নিয়মটি সরাসরি বিভিন্ন ভিসার প্রক্রিয়া যেমন H-1B বা স্টুডেন্ট ভিসার ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করবেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় হুঁশিয়ারি হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এই নতুন নিয়ম দেশটির অভিবাসন নীতির কঠোরতর দিকটি প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপের ফলে, যেসব বিদেশি দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠোর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশিদের জন্য নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে, যা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি সময় অবস্থান করা বিদেশিদের বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা বা কারাদণ্ড সহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কেউ এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া উপেক্ষা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ৯৯৮ ডলার দৈনিক জরিমানা ধার্য করা হবে, যা এক পর্যায়ে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, অভিযুক্তদের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং তাদের আর কখনও বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের মন্তব্য উদ্ধৃত করে ওই পোস্টে বলা হয়, "অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আমাদের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ুন এবং স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যান।" এছাড়া, যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে, এমনকি আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে। পোস্টে বলা হয়, যারা নিজের উদ্যোগে দেশে ফিরতে চান, তারা যুক্তরাষ্ট্রে উপার্জিত অর্থও নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
তবে, যদি কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান অব্যাহত রাখেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হবে, এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনে জরিমানা এবং কারাদণ্ডের শিকার হতে হবে।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ফেরত যেতে চাইছেন কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম নয়, তাদের জন্য সরকার সহায়তার ব্যবস্থা করবে এবং বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে, যেসব বিদেশি এই নিয়ম অমান্য করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে যাবেন, তাদের জন্য শাস্তির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।
এই নতুন নিয়মটি সরাসরি বিভিন্ন ভিসার প্রক্রিয়া যেমন H-1B বা স্টুডেন্ট ভিসার ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করবেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় হুঁশিয়ারি হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এই নতুন নিয়ম দেশটির অভিবাসন নীতির কঠোরতর দিকটি প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপের ফলে, যেসব বিদেশি দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠোর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক

৩ দিনের সফরে মহাস্থানগড় পরিদর্শন করলেন ইরানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মি. মানছুর চাভোশি
এম আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ প্রতিনিধি, বগুড়া:
তিন দিনের সফরে বগুড়ায় এসেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মি. মানছুর চাভোশি।
(১২ এপ্রিল শনিবার) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ সফরে তিনি জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
সফরের প্রথম দিনে সকালে রাষ্ট্রদূত চাভোশি বগুড়া ডায়াবেটিক ও স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি রোগীদের সেবাদান কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং হাসপাতালের সার্বিক দিক নিয়ে খোঁজখবর নেন।

এরপর দুপুরে তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান গড় পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন এবং মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর ঘুরে দেখেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান, মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টডিয়ান রাজিয়া সুলতানা, জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)-এর যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এবং ছাত্র সমন্বয়ক মি. আকিব ও মি. কাশেম। স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাজার মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তাহেরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
(১৩ এপ্রিল রবিবার) সকালে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরে বনানীতে অবস্থিত গাক চক্ষু হাসপাতাল ও গ্রামীণ জিসিআই চক্ষু হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। দুপুরে বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পরিদর্শন করতে এলে সভাপতি সাইরুল ইসলামসহ চেম্বারের নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সফরের শেষ দিন সোমবার সকালে তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজে আয়োজিত বাংলা নববর্ষ উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। সেখানে তিনি পান্তা-ইলিশসহ বাংলার লোকজ সংস্কৃতির নানা উপকরণ উপভোগ করবেন। এরপর তিনি বগুড়ার শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী হোটেল আকবরিয়া গ্রুপের মিষ্টি, দই, সেমাইসহ নানা প্রকার মিষ্টান্ন প্রস্তুতের কারখানা পরিদর্শন করবেন।
ইরানের রাষ্ট্রদূতের এই সফরকালে তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্র সমন্বয়ক গাজী সালাউদ্দিন তানভীর, মি. আকিব ও মি. কাশেম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত মানছুর চাভোশি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি ইরানের পক্ষ থেকে আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরিদর্শনকালে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
তিন দিনের সফরে বগুড়ায় এসেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মি. মানছুর চাভোশি।

জাতীয়

নববর্ষের শোভাযাত্রায় ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনার মুখাবয়ব ভোর রাতে পুড়িয়ে ফেলেছে
নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্যে ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার যে মুখাবয়ব তৈরি করা হয়েছিল আজ তা কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। এটি নৈরাজ্যবাদীদের কাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য যে সাতটি বড় মোটিফ তৈরি করা হয়েছিল তার একটি শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী মুখাবয়ব। এটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বড়ো এই মোটিফে আগুন লাগানোর কারণে আশেপাশের অন্যান্য কিছু মোটিফও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সম্ভবত ভোর ৪:৪৫ থেকে ৫:০০ টার মধ্যে মোটিফটিতে আগুন লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এ সময় ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আগুন লাগানোর কাজটি সেই সময়েই করা হতে পারে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘১২ই এপ্রিল, ভোর ৪:৫০ এর দিকে, কে বা কারা চারুকলা অনুষদের দক্ষিণ গেটের কাছে প্যান্ডেলের ভেতরে রাখা বিভিন্ন প্রতীকী মোটিফের মধ্যে ভয়ংকর ফ্যাসিস্টের মোটিফটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছে। তথ্যসূত্র: বাসস
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য যে সাতটি বড় মোটিফ তৈরি করা হয়েছিল তার একটি শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী মুখাবয়ব। এটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বড়ো এই মোটিফে আগুন লাগানোর কারণে আশেপাশের অন্যান্য কিছু মোটিফও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সম্ভবত ভোর ৪:৪৫ থেকে ৫:০০ টার মধ্যে মোটিফটিতে আগুন লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এ সময় ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আগুন লাগানোর কাজটি সেই সময়েই করা হতে পারে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘১২ই এপ্রিল, ভোর ৪:৫০ এর দিকে, কে বা কারা চারুকলা অনুষদের দক্ষিণ গেটের কাছে প্যান্ডেলের ভেতরে রাখা বিভিন্ন প্রতীকী মোটিফের মধ্যে ভয়ংকর ফ্যাসিস্টের মোটিফটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছে। তথ্যসূত্র: বাসস
জাতীয়

“মার্চ ফর গাজা” কর্মসূচিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা গণমানুষের এক অভূতপূর্ব আন্দোলন ‘মার্চ ফর গাজা’ আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে। হৃদয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি ভালোবাসা, কণ্ঠে প্রতিবাদ আর হাতে পতাকা নিয়ে জনগণ জানিয়ে দিল—ফিলিস্তিন শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, এটি এক অনুভব, এক বিবেকের ডাক।

দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। ঢাকার শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক, দোয়েল চত্বর, গুলিস্তানসহ আশপাশের এলাকাগুলো যেন পরিণত হয় এক খণ্ড ফিলিস্তিনে। ছোট-বড়, তরুণ-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জনতার ঢল নেমে আসে একটাই বার্তা নিয়ে—“ফিলিস্তিন তোমার সাথে আছি”।

এই কর্মসূচির আয়োজন করে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশটি বিকেল সোয়া ৩টায় বিশ্বখ্যাত কারী আহমদ বিন ইউসুফের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক।
আয়োজনের শুরুতেই বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী জনতাকে সুশৃঙ্খলভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। আজহারীর নেতৃত্বে জনতা একসাথে গর্জে ওঠে স্লোগানে, আকাশে ওড়ে হাজারো ফিলিস্তিনি পতাকা।

অনুষ্ঠানে দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পাঠ করেন ‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্র। এতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়—ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার, তাদের পণ্য বর্জনের এবং গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের।
ঘোষণাপত্রে ছিল অঙ্গীকার—ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা, শুধু আবেগ নয়, এটি মানবতার দায়িত্ব।
এই গণজমায়েতে অনন্য এক ঐক্য প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, কবি, শিল্পী, সোশ্যাল মিডিয়া তারকা সবাই ফিলিস্তিনের জন্য এক কাতারে দাঁড়ান। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি, এমনকি মত-পথ ভুলে সাধারণ মানুষও মিলিত হন এই প্রতিবাদে।
বিকেল সোয়া ৪টায় জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় মোনাজাত। কণ্ঠে কাঁপন ধরানো সেই দোয়ায় লাখো কণ্ঠ একসাথে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে ফিলিস্তিনিদের জন্য, যারা ইতিহাসের এক ভয়াবহতম মানবিক সংকটের মুখোমুখি।

‘মার্চ ফর গাজা’ ছিল শুধু একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটি ছিল বিবেকের জাগরণ, মানবতার নিঃশব্দ আর্তনাদকে কণ্ঠস্বর দেওয়া।
এই গণআন্দোলন প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের মানুষ দুনিয়ার অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকতে জানে না। ফিলিস্তিনের জন্য লাখো হৃদয়ের স্পন্দন এক হয়ে বলেছে—“নিপীড়িতের পাশে থাকাই সত্যিকারের মানবতা।”

দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। ঢাকার শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক, দোয়েল চত্বর, গুলিস্তানসহ আশপাশের এলাকাগুলো যেন পরিণত হয় এক খণ্ড ফিলিস্তিনে। ছোট-বড়, তরুণ-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জনতার ঢল নেমে আসে একটাই বার্তা নিয়ে—“ফিলিস্তিন তোমার সাথে আছি”।

এই কর্মসূচির আয়োজন করে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশটি বিকেল সোয়া ৩টায় বিশ্বখ্যাত কারী আহমদ বিন ইউসুফের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক।
আয়োজনের শুরুতেই বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী জনতাকে সুশৃঙ্খলভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। আজহারীর নেতৃত্বে জনতা একসাথে গর্জে ওঠে স্লোগানে, আকাশে ওড়ে হাজারো ফিলিস্তিনি পতাকা।

অনুষ্ঠানে দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পাঠ করেন ‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্র। এতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়—ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার, তাদের পণ্য বর্জনের এবং গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের।
ঘোষণাপত্রে ছিল অঙ্গীকার—ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা, শুধু আবেগ নয়, এটি মানবতার দায়িত্ব।
এই গণজমায়েতে অনন্য এক ঐক্য প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, কবি, শিল্পী, সোশ্যাল মিডিয়া তারকা সবাই ফিলিস্তিনের জন্য এক কাতারে দাঁড়ান। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি, এমনকি মত-পথ ভুলে সাধারণ মানুষও মিলিত হন এই প্রতিবাদে।
বিকেল সোয়া ৪টায় জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় মোনাজাত। কণ্ঠে কাঁপন ধরানো সেই দোয়ায় লাখো কণ্ঠ একসাথে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে ফিলিস্তিনিদের জন্য, যারা ইতিহাসের এক ভয়াবহতম মানবিক সংকটের মুখোমুখি।

‘মার্চ ফর গাজা’ ছিল শুধু একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটি ছিল বিবেকের জাগরণ, মানবতার নিঃশব্দ আর্তনাদকে কণ্ঠস্বর দেওয়া।
এই গণআন্দোলন প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের মানুষ দুনিয়ার অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকতে জানে না। ফিলিস্তিনের জন্য লাখো হৃদয়ের স্পন্দন এক হয়ে বলেছে—“নিপীড়িতের পাশে থাকাই সত্যিকারের মানবতা।”
জাতীয়

ইসরায়েলী বর্বর হামলায় গাজায় আরও নিহত ৪০ জন
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বর্বর হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে ঘরবাড়ি। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের আক্রমণে অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছে গেছে। গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৮৮৬ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১৪৬ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৫ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫২২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বর্বর হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে ঘরবাড়ি। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের আক্রমণে অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছে গেছে। গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক

ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
দেশজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা। এবারের ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এবার ঈদে কয়েকটি হাসপাতাল তাদের রোগী নিবন্ধন খাতায় দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে অটোরিকশার তথ্যও সংরক্ষণ করে।
দেশের ১০টি বড় সরকারি হাসপাতালে ঈদের ছুটির চার দিনে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় আহত হয়েছে। গত ঈদুল আজহায় সড়কে মোটরসাইকেল সবচেয়ে বেশি ৫১ দশমিক ৩৬ শতাংশ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এবার মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা প্রায় সমান। হাসপাতাল, পুলিশ এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাজধানীর দুটি এবং ঢাকার বাইরে আট বিভাগীয় শহরের বিশেষায়িত ৮টি সরকারি হাসপাতালে ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, অটোরিকশায় ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ, চার চাকার যানে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ রোগী আহত হয়েছে। বর্তমানে দেশের মূল সড়কগুলোতে অধিকাংশ সময়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দ্রুতগতিতে চলছে। তাতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। ঐ সব বাহন দুর্ঘটনার হার বাড়াচ্ছে।
সূত্র জানায়, দেশের ১০ হাসপাতালে ঈদের আগে পরে টানা চার দিনে মোট ১ হাজার ১৩৭ জন সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসা নিয়েছেন। তার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন (৩২ দশমিক ২৭), ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ৩৬৫ (৩২ দশমিক ১০ শতাংশ) জন আহত হন। আর বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মতো চার চাকার যানবাহন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১১৫ জন। ওই ১০টি হাসপাতাল হলো জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পুগু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
সূত্র আরো জানায়, গণমাধ্যমে এবার ঈদে দুই শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনার খবর এসেছে। এর মধ্যে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঈদের ছুটিতে নগরীর মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছুটে চলায় অন্য যানবাহনের জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ওসব রিকশার কাঠামো এর গতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই চারদিনে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ৪১২ জন সড়ক দুর্ঘটনা আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৭১ জন ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় এবং ১৪১ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে আসে। ওই হাসপাতালে আসা সেবাপ্রার্থীদের ৮০ শতাংশ ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে এবং চার দিনে ২৫১টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৩ আহত চিকিৎসাধীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই চার দিনে ৫৩ জন ভর্তি হন। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশায় আহত ২৪, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ১৯ ও বাস দুর্ঘটনায় আহত ১০ জন। চিকিৎসাধীন সবাই ঢাকার বাইরের। অধিকাংশের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। রোগীর জটিলতা বিবেচনা করে অস্ত্রোপচারে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬ জন ঈদের আগের দিনে চিকিৎসা নিতে আসেন। ঈদের দিন আসেন ১৬ জন।
ঈদের পরের দিন আসেন ২২ জন। আহতের মধ্যে বেশির ভাগ মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, বাস ও ব্যাটারিচালিত রিকশার যাত্রী ছিলেন। তবে কয়েকজন প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের যাত্রীও আছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঈদের চার দিনে কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, ৩০ জন ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং ২০ জন চার চাকার যানবাহন দুর্ঘটনায় আহত হন।
তাছাড়া খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা থেকে ৭৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৭ জন ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় আহত হন এবং এর মধ্যে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার দিনে ৪৯ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা দুর্ঘটনায় আহতদের সংখ্যা বেশি। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৮৬ জন চিকিৎসাধীন। তাদের বড় একটি অংশ তিন চাকার বাহনে আহত হন। তাছাড়া ঈদের ছুটির চার দিনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ জন চিকিৎসা নিয়েছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ সরওয়ার জানান, এবার ঈদে ঢাকা মহানগর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বেশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় মামলা করার সুযোগ না থাকায় একটু বেগ পেতে হচ্ছে। প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর তা সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়ন হলে আশা করা যায় সড়কে রিকশা কমে আসবে।
দেশের ১০টি বড় সরকারি হাসপাতালে ঈদের ছুটির চার দিনে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় আহত হয়েছে। গত ঈদুল আজহায় সড়কে মোটরসাইকেল সবচেয়ে বেশি ৫১ দশমিক ৩৬ শতাংশ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এবার মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা প্রায় সমান। হাসপাতাল, পুলিশ এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাজধানীর দুটি এবং ঢাকার বাইরে আট বিভাগীয় শহরের বিশেষায়িত ৮টি সরকারি হাসপাতালে ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, অটোরিকশায় ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ, চার চাকার যানে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ রোগী আহত হয়েছে। বর্তমানে দেশের মূল সড়কগুলোতে অধিকাংশ সময়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দ্রুতগতিতে চলছে। তাতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। ঐ সব বাহন দুর্ঘটনার হার বাড়াচ্ছে।
সূত্র জানায়, দেশের ১০ হাসপাতালে ঈদের আগে পরে টানা চার দিনে মোট ১ হাজার ১৩৭ জন সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসা নিয়েছেন। তার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন (৩২ দশমিক ২৭), ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ৩৬৫ (৩২ দশমিক ১০ শতাংশ) জন আহত হন। আর বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মতো চার চাকার যানবাহন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১১৫ জন। ওই ১০টি হাসপাতাল হলো জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পুগু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
সূত্র আরো জানায়, গণমাধ্যমে এবার ঈদে দুই শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনার খবর এসেছে। এর মধ্যে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঈদের ছুটিতে নগরীর মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছুটে চলায় অন্য যানবাহনের জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ওসব রিকশার কাঠামো এর গতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই চারদিনে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ৪১২ জন সড়ক দুর্ঘটনা আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৭১ জন ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় এবং ১৪১ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে আসে। ওই হাসপাতালে আসা সেবাপ্রার্থীদের ৮০ শতাংশ ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে এবং চার দিনে ২৫১টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৩ আহত চিকিৎসাধীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই চার দিনে ৫৩ জন ভর্তি হন। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশায় আহত ২৪, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ১৯ ও বাস দুর্ঘটনায় আহত ১০ জন। চিকিৎসাধীন সবাই ঢাকার বাইরের। অধিকাংশের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। রোগীর জটিলতা বিবেচনা করে অস্ত্রোপচারে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬ জন ঈদের আগের দিনে চিকিৎসা নিতে আসেন। ঈদের দিন আসেন ১৬ জন।
ঈদের পরের দিন আসেন ২২ জন। আহতের মধ্যে বেশির ভাগ মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, বাস ও ব্যাটারিচালিত রিকশার যাত্রী ছিলেন। তবে কয়েকজন প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের যাত্রীও আছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঈদের চার দিনে কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, ৩০ জন ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং ২০ জন চার চাকার যানবাহন দুর্ঘটনায় আহত হন।
তাছাড়া খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা থেকে ৭৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৭ জন ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় আহত হন এবং এর মধ্যে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার দিনে ৪৯ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা দুর্ঘটনায় আহতদের সংখ্যা বেশি। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৮৬ জন চিকিৎসাধীন। তাদের বড় একটি অংশ তিন চাকার বাহনে আহত হন। তাছাড়া ঈদের ছুটির চার দিনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ জন চিকিৎসা নিয়েছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ সরওয়ার জানান, এবার ঈদে ঢাকা মহানগর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বেশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় মামলা করার সুযোগ না থাকায় একটু বেগ পেতে হচ্ছে। প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর তা সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়ন হলে আশা করা যায় সড়কে রিকশা কমে আসবে।
জাতীয়

১২ এপ্রিলের ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচীর জরুরী নির্দেশনা
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিয়ে জরুরী নির্দেশনা দিয়েছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্লাটফর্ম।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
“গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরাইলের পক্ষ থেকে চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আজ বিশ্বের বিবেকবান মানুষ সোচ্চার। ছয় শত কোটি মানুষের চোখের সামনে একটি ভূখণ্ডে প্রতিনিয়ত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো হচ্ছে অবর্ণনীয় সহিংসতা যেখানে নারী ও শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না।
বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ মৌলিক অবকাঠামো। অথচ ৫৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, ওআইসি এবং তাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক শক্তিও এ মানবিক সংকট মোকাবেলায় এখনো সক্রিয় কোনো উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থ। এই প্রেক্ষাপটে, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে শান্তিপ্রিয় মানুষেরা রাজপথে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বাংলাদেশেও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগে গাজায় চলমান নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
“এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে ১২ এপ্রিল (শনিবার) বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে ‘মার্চ ফর গাজা’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সকল রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সর্বস্তরের মানুষ এক কাতারে এসে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করবেন।”
এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।
মার্চ ফর গাজায় অংশগ্রহণের গেট ও রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা
দুপুর ২টায় ৫টি পয়েন্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে মার্চ শুরু হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতের সময় বিকাল ৩টা।
মার্চ এর পথ নির্দেশনা
স্টার্টিং পয়েন্ট ১। বাংলামোটর। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ২। কাকরাইল মোড়। প্রবেশপথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস ভবন হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৩। জিরো পয়েন্ট। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৪। বখশীবাজার মোড়। প্রবেশপথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৫। নীলক্ষেত মোড়। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি এস সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)
বিশেষ নির্দেশনাসমূহ
টিএসসি মেট্রো স্টেশন ওই দিন বন্ধ থাকবে। সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ রইলো।
সাধারণ দিক নির্দেশনা
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
“গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরাইলের পক্ষ থেকে চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আজ বিশ্বের বিবেকবান মানুষ সোচ্চার। ছয় শত কোটি মানুষের চোখের সামনে একটি ভূখণ্ডে প্রতিনিয়ত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো হচ্ছে অবর্ণনীয় সহিংসতা যেখানে নারী ও শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না।
দুপুর ২টায় ৫টি পয়েন্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে মার্চ শুরু হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতের সময় বিকাল ৩টা।
স্টার্টিং পয়েন্ট ১। বাংলামোটর। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ২। কাকরাইল মোড়। প্রবেশপথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস ভবন হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৩। জিরো পয়েন্ট। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৪। বখশীবাজার মোড়। প্রবেশপথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৫। নীলক্ষেত মোড়। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি এস সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)
টিএসসি মেট্রো স্টেশন ওই দিন বন্ধ থাকবে। সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ রইলো।
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
জাতীয়

ভারতের নতুন ওয়াক্ফ আইন নিয়ে উত্তাল রাজনীতি
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও দাতব্য সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সদ্য পাশ হওয়া ওয়াক্ফ (সংশোধনী) আইন ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক ও সামাজিক অস্থিরতা। আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই অন্তত ১৫টি মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার প্রাথমিক শুনানি আগামী ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করে অনুরোধ জানিয়েছে, মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে যেন সরকারের বক্তব্য শোনা হয়।
ওয়াক্ফ অর্থাৎ মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বা দাতব্য কাজে ব্যবহৃত জমি ও সম্পত্তি নিয়ে ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে একটি আলাদা আইনগত কাঠামো। নতুন ওয়াক্ফ আইনে সেই কাঠামোয় আনা হয়েছে বড় ধরনের পরিবর্তন।
প্রথমত, কোনও সম্পত্তিকে ওয়াক্ফ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে এখন মুখের ঘোষণা নয়, প্রয়োজন হবে বৈধ লিখিত প্রমাণপত্র। এছাড়া সরকারি মালিকানাধীন জমির উপর ওয়াক্ফ দাবি উঠলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার নিজেই।
দ্বিতীয়ত, ওয়াক্ফ বোর্ড ও ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে মুসলিম নন এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আদালতের হস্তক্ষেপের সুযোগ রাখা হয়েছে, যা পূর্বে ছিল কেবল ওয়াক্ফ ট্রাইব্যুনালের আওতায়।
সবশেষে, সব ওয়াক্ফ সম্পত্তিকে একটি কেন্দ্রীয় নিবন্ধন ব্যবস্থার আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে ছয় মাসের মধ্যে সম্পত্তিগুলোকে নথিভুক্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট ওয়াক্ফ বোর্ডে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইনটিকে এক "পালাবদলের মুহূর্ত" হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, “ওয়াক্ফ ব্যবস্থায় যুগ যুগ ধরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব ছিল। এই আইন শুধু স্বচ্ছতা বাড়াবে না, নাগরিকদের অধিকারও সুরক্ষিত করবে।” দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, “গরিব মুসলমান, নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য এই আইন এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো একযোগে এই আইনটির বিরোধিতা করছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “এটি আসলে মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার খর্ব করার একটি সচেতন পদক্ষেপ। আইনটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
আইনটির সবচেয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি অভিযোগ করেছেন, “এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ে ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিমদের নিয়োগের সুযোগ তৈরি করে মুসলিমদের নিজস্ব ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।”
এই আইন ঘিরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন, পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মণিপুরেও দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। উত্তরপ্রদেশে পুলিশ শুরু করেছে মুসলিম বিক্ষোভকারীদের মুচলেকা নেওয়া।
ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও দাতব্য সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সদ্য পাশ হওয়া ওয়াক্ফ (সংশোধনী) আইন ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক ও সামাজিক অস্থিরতা। আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই অন্তত ১৫টি মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার প্রাথমিক শুনানি আগামী ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করে অনুরোধ জানিয়েছে, মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে যেন সরকারের বক্তব্য শোনা হয়।
ওয়াক্ফ অর্থাৎ মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বা দাতব্য কাজে ব্যবহৃত জমি ও সম্পত্তি নিয়ে ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে একটি আলাদা আইনগত কাঠামো। নতুন ওয়াক্ফ আইনে সেই কাঠামোয় আনা হয়েছে বড় ধরনের পরিবর্তন।
প্রথমত, কোনও সম্পত্তিকে ওয়াক্ফ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে এখন মুখের ঘোষণা নয়, প্রয়োজন হবে বৈধ লিখিত প্রমাণপত্র। এছাড়া সরকারি মালিকানাধীন জমির উপর ওয়াক্ফ দাবি উঠলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার নিজেই।
দ্বিতীয়ত, ওয়াক্ফ বোর্ড ও ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে মুসলিম নন এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আদালতের হস্তক্ষেপের সুযোগ রাখা হয়েছে, যা পূর্বে ছিল কেবল ওয়াক্ফ ট্রাইব্যুনালের আওতায়।
সবশেষে, সব ওয়াক্ফ সম্পত্তিকে একটি কেন্দ্রীয় নিবন্ধন ব্যবস্থার আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে ছয় মাসের মধ্যে সম্পত্তিগুলোকে নথিভুক্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট ওয়াক্ফ বোর্ডে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আইনটিকে এক "পালাবদলের মুহূর্ত" হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, “ওয়াক্ফ ব্যবস্থায় যুগ যুগ ধরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব ছিল। এই আইন শুধু স্বচ্ছতা বাড়াবে না, নাগরিকদের অধিকারও সুরক্ষিত করবে।” দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, “গরিব মুসলমান, নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য এই আইন এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলো একযোগে এই আইনটির বিরোধিতা করছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “এটি আসলে মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার খর্ব করার একটি সচেতন পদক্ষেপ। আইনটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
আইনটির সবচেয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন এআইএমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি অভিযোগ করেছেন, “এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ে ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিমদের নিয়োগের সুযোগ তৈরি করে মুসলিমদের নিজস্ব ধর্মীয় সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।”
এই আইন ঘিরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন, পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মণিপুরেও দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। উত্তরপ্রদেশে পুলিশ শুরু করেছে মুসলিম বিক্ষোভকারীদের মুচলেকা নেওয়া।
রাজনীতি

সীমান্তবর্তী তিব্বতি মঠগুলির শিক্ষা কার্যক্রম ঢেলে সাজাচ্ছে ভারত
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলে রাজনৈতিক, সামরিক এবং বাণিজ্যিক সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে, ভারত এখন তিব্বতিদের শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি, ভারত তিব্বতি বৌদ্ধ মঠগুলোর শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চলেছে, যার লক্ষ্য চীনের প্রভাব কমিয়ে ভারতীয় জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করা।
ভারতীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারতের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত প্রাচীন বৌদ্ধ মঠগুলোর শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক এবং ভারতের জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হচ্ছে। সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর ৬০০ মঠে চীনের প্রভাব মুক্ত নতুন পাঠ্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এই মঠগুলোতে বৌদ্ধ ঐতিহ্য, ধর্মীয় শিক্ষা এবং আধুনিক বিষয় যেমন গণিত, বিজ্ঞান, কম্পিউটার এবং ইংরেজি শেখানো হয়, তবে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত পাঠ্যক্রম ভারতীয় জাতীয় পরিচয়ের সাথে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না।

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বৌদ্ধ কর্মী মালিং গোম্বু জানান, "আমরা বৌদ্ধধর্মের শিক্ষার পাশাপাশি ভারতীয় জাতীয় পরিচয়ে শিক্ষিত করার চেষ্টা করছি, যাতে চীন হিমালয়ের মঠগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।" তিনি আরও বলেন, "ভারত কর্তৃক স্বীকৃত এবং সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত শিক্ষা মঠগুলোর ছাত্রদের দেওয়া প্রয়োজন।"
এছাড়া, অরুণাচল প্রদেশের মঠগুলোতে নতুন পাঠ্যক্রম গ্রহণের জন্য আলোচনা চলমান রয়েছে। ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং বৌদ্ধ পণ্ডিতরা মঠগুলোর জন্য নতুন পাঠ্যপুস্তক তৈরি করেছেন। এ বইগুলোতে ভারতের আধুনিক ও প্রাচীন ইতিহাস, তিব্বতের স্বাধীনতাসংগ্রামে তাদের ভূমিকা এবং ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ভারতীয় বৌদ্ধ ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে তিব্বতি ছাত্রদের ভারতের সাথে সম্পর্কিত কার্যকরী শিক্ষা দেওয়া হবে।
ভারতের মন্ত্রিসভা এই শিক্ষাপরিকল্পনাটি একটি বৃহত্তর কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে, যার উদ্দেশ্য চীনের প্রভাব থেকে তিব্বতি মঠগুলোকে মুক্ত রাখা। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, এই পরিকল্পনা সীমান্ত অঞ্চলের মঠগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমে চীনের প্রভাব কমিয়ে ভারতীয় জাতীয়তার ভিত্তি শক্তিশালী করবে। ২০২০ সালে সীমান্তে সংঘর্ষের পর ভারত এবং চীন সামরিক অচলাবস্থা দূর করতে কাজ করছে, তবে সীমান্ত অঞ্চলের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তায় ভারতের আরও বৃহত্তর ব্যয়ের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নতুন পাঠ্যক্রমের মধ্যে ছাত্রদের শুধু ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জনেও মনোযোগ দেওয়া হবে। সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের জন্য পাঠ্যক্রম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তারা ধর্মীয় প্রচারক হওয়ার পাশাপাশি আধুনিক কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে নিজেদের ভূমিকা রাখতে পারে। তিব্বতিরা এখানে বসবাস করলেও, তাদের জন্য ভারতের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং জাতীয় পরিচয়ে ধারণার ভিত্তিতে শিক্ষা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, সীমান্তবর্তী কৌশলগত এলাকাগুলোর মঠগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা এই বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তবে, সরকারের এই নতুন পদক্ষেপ কিছু মঠের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে। কিছু মঠের সন্ন্যাসীরা জানিয়েছেন, এই নতুন পাঠ্যক্রমের প্রবর্তন তাদের প্রথাকে ভেঙে ফেলবে, যা তারা পছন্দ করছেন না।
ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলে রাজনৈতিক, সামরিক এবং বাণিজ্যিক সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে, ভারত এখন তিব্বতিদের শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি, ভারত তিব্বতি বৌদ্ধ মঠগুলোর শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চলেছে, যার লক্ষ্য চীনের প্রভাব কমিয়ে ভারতীয় জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করা।
ভারতীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারতের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত প্রাচীন বৌদ্ধ মঠগুলোর শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক এবং ভারতের জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হচ্ছে। সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর ৬০০ মঠে চীনের প্রভাব মুক্ত নতুন পাঠ্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এই মঠগুলোতে বৌদ্ধ ঐতিহ্য, ধর্মীয় শিক্ষা এবং আধুনিক বিষয় যেমন গণিত, বিজ্ঞান, কম্পিউটার এবং ইংরেজি শেখানো হয়, তবে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত পাঠ্যক্রম ভারতীয় জাতীয় পরিচয়ের সাথে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না।

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বৌদ্ধ কর্মী মালিং গোম্বু জানান, "আমরা বৌদ্ধধর্মের শিক্ষার পাশাপাশি ভারতীয় জাতীয় পরিচয়ে শিক্ষিত করার চেষ্টা করছি, যাতে চীন হিমালয়ের মঠগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।" তিনি আরও বলেন, "ভারত কর্তৃক স্বীকৃত এবং সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত শিক্ষা মঠগুলোর ছাত্রদের দেওয়া প্রয়োজন।"
এছাড়া, অরুণাচল প্রদেশের মঠগুলোতে নতুন পাঠ্যক্রম গ্রহণের জন্য আলোচনা চলমান রয়েছে। ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং বৌদ্ধ পণ্ডিতরা মঠগুলোর জন্য নতুন পাঠ্যপুস্তক তৈরি করেছেন। এ বইগুলোতে ভারতের আধুনিক ও প্রাচীন ইতিহাস, তিব্বতের স্বাধীনতাসংগ্রামে তাদের ভূমিকা এবং ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ভারতীয় বৌদ্ধ ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে তিব্বতি ছাত্রদের ভারতের সাথে সম্পর্কিত কার্যকরী শিক্ষা দেওয়া হবে।
ভারতের মন্ত্রিসভা এই শিক্ষাপরিকল্পনাটি একটি বৃহত্তর কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে, যার উদ্দেশ্য চীনের প্রভাব থেকে তিব্বতি মঠগুলোকে মুক্ত রাখা। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, এই পরিকল্পনা সীমান্ত অঞ্চলের মঠগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমে চীনের প্রভাব কমিয়ে ভারতীয় জাতীয়তার ভিত্তি শক্তিশালী করবে। ২০২০ সালে সীমান্তে সংঘর্ষের পর ভারত এবং চীন সামরিক অচলাবস্থা দূর করতে কাজ করছে, তবে সীমান্ত অঞ্চলের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তায় ভারতের আরও বৃহত্তর ব্যয়ের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নতুন পাঠ্যক্রমের মধ্যে ছাত্রদের শুধু ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জনেও মনোযোগ দেওয়া হবে। সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের জন্য পাঠ্যক্রম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তারা ধর্মীয় প্রচারক হওয়ার পাশাপাশি আধুনিক কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে নিজেদের ভূমিকা রাখতে পারে। তিব্বতিরা এখানে বসবাস করলেও, তাদের জন্য ভারতের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং জাতীয় পরিচয়ে ধারণার ভিত্তিতে শিক্ষা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, সীমান্তবর্তী কৌশলগত এলাকাগুলোর মঠগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা এই বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তবে, সরকারের এই নতুন পদক্ষেপ কিছু মঠের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে। কিছু মঠের সন্ন্যাসীরা জানিয়েছেন, এই নতুন পাঠ্যক্রমের প্রবর্তন তাদের প্রথাকে ভেঙে ফেলবে, যা তারা পছন্দ করছেন না।
আন্তর্জাতিক

বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ, দুটি থানার নাম পরিবর্তন করেছে সরকার
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের দুটি থানার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা একটি বড় ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হিসেবে সামনে এসেছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যমুনা সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত দুটি থানার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলার অধীন 'বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা' এখন থেকে 'যমুনা সেতু পূর্ব থানা' হিসেবে পরিচিত হবে, এবং সিরাজগঞ্জ জেলার অধীন 'বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা' নামকরণ করা হয়েছে 'যমুনা সেতু পশ্চিম থানা'। এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে প্রশাসনিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-২ শাখা থেকে জারি করা হয়েছে।
এর আগে, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সালে, 'বঙ্গবন্ধু সেতু' নাম পরিবর্তন করে 'যমুনা সেতু' রাখা হয়। সেতুর নাম পরিবর্তনের পরে, সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের থানাগুলোর নামও একইভাবে পরিবর্তন করা হলো। এখন থেকে যমুনা সেতু’র দুই প্রান্তের থানাগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক প্রেক্ষিতে নতুন নাম ধারণ করবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর, বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গ্রহণ করা পদক্ষেপ হতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বিভিন্ন সরকারি এবং পাবলিক স্থাপনায়, বিশেষত তার পরিবারের সদস্যদের নাম যুক্ত থাকা অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে সরানোর ধারাবাহিকতাতেই এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদিও এই নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, তবে প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নাম পরিবর্তনকে নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে। তবে কিছু ব্যক্তি প্রশ্ন তুলছেন, বঙ্গবন্ধুর নাম দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে কেন সরানো হচ্ছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই পরিবর্তন মূলত প্রশাসনিক সুবিধার জন্য করা হয়েছে এবং এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবতার নিরীখে প্রয়োজনীয় ছিল। সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপের মতো এই নাম পরিবর্তনও জনগণের জন্য উপকারী হতে পারে বলে তারা আশাবাদী।
বাংলাদেশের দুটি থানার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা একটি বড় ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হিসেবে সামনে এসেছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যমুনা সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত দুটি থানার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলার অধীন 'বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা' এখন থেকে 'যমুনা সেতু পূর্ব থানা' হিসেবে পরিচিত হবে, এবং সিরাজগঞ্জ জেলার অধীন 'বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা' নামকরণ করা হয়েছে 'যমুনা সেতু পশ্চিম থানা'। এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে প্রশাসনিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-২ শাখা থেকে জারি করা হয়েছে।
এর আগে, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সালে, 'বঙ্গবন্ধু সেতু' নাম পরিবর্তন করে 'যমুনা সেতু' রাখা হয়। সেতুর নাম পরিবর্তনের পরে, সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের থানাগুলোর নামও একইভাবে পরিবর্তন করা হলো। এখন থেকে যমুনা সেতু’র দুই প্রান্তের থানাগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক প্রেক্ষিতে নতুন নাম ধারণ করবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর, বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গ্রহণ করা পদক্ষেপ হতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বিভিন্ন সরকারি এবং পাবলিক স্থাপনায়, বিশেষত তার পরিবারের সদস্যদের নাম যুক্ত থাকা অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে সরানোর ধারাবাহিকতাতেই এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদিও এই নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, তবে প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নাম পরিবর্তনকে নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে। তবে কিছু ব্যক্তি প্রশ্ন তুলছেন, বঙ্গবন্ধুর নাম দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে কেন সরানো হচ্ছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই পরিবর্তন মূলত প্রশাসনিক সুবিধার জন্য করা হয়েছে এবং এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবতার নিরীখে প্রয়োজনীয় ছিল। সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপের মতো এই নাম পরিবর্তনও জনগণের জন্য উপকারী হতে পারে বলে তারা আশাবাদী।
জাতীয়

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এক কিশোরের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এক কিশোরের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইল সদরের ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন গ্রামে। এতে পরিবারের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করেছেন। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ প্রেমের বলি হয়েছেন নিহত রাসেল।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেমিকা জিনিয়া আক্তার তমাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রাসেল (১৫) সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন এলাকার চান মিয়ার ছেলে। প্রেমিকা ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে জিনিয়া আক্তার তমা। বর্তমান জিনিয়ার বাড়ি ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন এলাকায় এবং টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়ন ও ডাকঘর বরাটি, গ্রাম পাটুলী পশ্চিম পাড়ায় জিনিয়ার গ্রামের বাড়ি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিহতের বাসার পাশেই প্রেমিকা জিনিয়া আক্তার তমার বাসা। স্থানীয় লোকজন নিহত ছেলের বাসায় ভিড় করছেন। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এমন মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন এলাকায় রাসেলের নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরকীয়া ওই প্রেমিকাকে গাছে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর থেকে জিনিয়া আক্তার তমার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাসেল ও জিনিয়া আক্তার তমার মধ্যে। জিনিয়া আক্তার তমার বিয়ে হয়ে গেছে এক প্রফেসরের সঙ্গে এবং একটি ছেলেও আছে তাদের। কিন্ত বিয়ের পরেও জিনিয়া আক্তার তমা রাসেলের সাথে প্রেমের সর্ম্পক চালিয়ে যান। প্রথম পর্যায়ে জিনিয়া তার স্বামীকে ছেড়ে রাসেলকে বিয়ে করবে বলে আশস্ত করে। কিন্ত পরে জিনিয়া আক্তার তমা রাসেলকে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এ নিয়ে জিনিয়া আক্তার তমার সাথে রাসেলের হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা চলতে থাকে। গত ১ এপ্রিল রাসেল প্রথমে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কিন্ত পরে বুধবার রাসেল জিনিয়া আক্তার তমাকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও কলে রেখে ফলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ঘরের জানালা ভেঙে রাসেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হলে প্রেমিকা জিনিয়া আক্তার তমাকে এলাকাবাসী আটক করে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে। পরে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রেমের সর্ম্পকের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে জিনিয়া আক্তার তমার সাথে একাধিক ছেলের সাথে সর্ম্পক ছিলো।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ সামি বলেন, জিনিয়া আক্তার তমার এক ছেলে সন্তান রয়েছে। জিনিয়া বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আমার ভাইকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এর আগেও ওই মেয়েটি অন্য ছেলেদের সাথে এমন কাজ করেছে। জিনিয়া আক্তার তমা তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে আমার ভাইকে বিয়ে করার কথা বলেন। কিন্ত ঘটনার দিন জিনিয়া আক্তার তমা আমার ভাইকে জানায় বিয়ে করবে না এবং তার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবে না। আমার ভাইয়ের সাথে কোন সর্ম্পক রাখবে না। বিষয়টি মেনে না দিতে পারায় জিনিয়া আক্তার তমাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার পিছনে ওই মেয়েটির হাত রয়েছে।
নিহতের বোন তানিয়া বলেন, ‘আমি ন্যায্য বিচার চাই। ভিডিও কলে আমার ভাইকে মরবার কইছে। ওই যদি ভালো হতো তাহলে আমার ভাইকে বাঁচাইতো। আমি ওই মেয়ে জিনিয়া আক্তার তমার ফাঁসি চাই।’
নিহতের বাবা চান মিয়া বলেন, আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি করছি। এই মেয়ের জন্য যেন আর কোন মায়ের কোল খালি না হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ বলেন, এঘটনায় নিহতের ভাই বুধবার রাতে জিনিয়া আক্তার তমাকে আসামী করে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেমিকা জিনিয়া আক্তার তমাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এক কিশোরের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইল সদরের ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন গ্রামে। এতে পরিবারের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করেছেন। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ প্রেমের বলি হয়েছেন নিহত রাসেল।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ বলেন, এঘটনায় নিহতের ভাই বুধবার রাতে জিনিয়া আক্তার তমাকে আসামী করে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেমিকা জিনিয়া আক্তার তমাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আলোচিত খবর

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা বললেন ড. ইউনূস
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ব্যাংককে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রধানতম দুই দেশের সরকার প্রধান পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খোলামনে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দুই সরকার প্রধানের ৪০ মিনিটব্যাপী আলোচনা ছিল খোলামেলা, ফলপ্রসূ এবং গঠনমূলক।
অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের দুটি দেশের বন্ধুত্ব সুদৃঢ় ইতিহাস, ভৌগলিক নৈকট্য এবং সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ১৯৭১ সালের আমাদের কঠিন সময়ে ভারত সরকার ও জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ।’
যদিও এটি দুই নেতার প্রথম সরাসরি বৈঠক, তবে অধ্যাপক ইউনূস জানান, গত আট মাসে দুই দেশের মধ্যে বহুবার দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ হয়েছে।
দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের কল্যাণে সম্পর্ককে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে আমরা আপনার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চাই।’
বিমসটেকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস সাত সদস্য দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য ভারতের সমর্থন চান।
তিনি গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের আলোচনা এবং তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির চূড়ান্তকরণের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানান এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তিনি উল্লেখ করেন, দুই প্রতিবেশী দেশের ইতিহাস বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় থেকেই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী মোদি অধ্যাপক ইউনূসের আন্তর্জাতিক মর্যাদার কথা স্মরণ করে বলেন, ভারত সর্বদা একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারত বাংলাদেশে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক জনগণের সঙ্গে।’
অধ্যাপক ইউনূস শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের অবস্থান জানতে চান। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিডিয়ার মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, যা ভারতের আতিথেয়তার অপব্যবহার বলে মনে হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে মিথ্যা ও উসকানিমূলক অভিযোগ করে চলেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ করছি যে, আপনার দেশে অবস্থানকালে তাকে এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত রাখার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’
অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন, যা ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- গণঅভ্যুত্থানের সময় ১,৪০০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশই শিশু। প্রতিবেদনটি এটাও জানায় যে হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং অমানবিক কার্যকলাপের মতো মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নিজে নিরাপত্তা বাহিনীকে আন্দোলনকারীদের হত্যা ও ‘নেতাদের গ্রেফতার করে লাশ গুম করার’ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ভারতের সম্পর্ক কোনো ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে নয়, বরং দেশের সঙ্গে।
অধ্যাপক ইউনূস সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও উত্থাপন করেন এবং বলেন, এ ধরনের মৃত্যু রোধে যৌথভাবে কাজ করলে তা শুধু পরিবারগুলোর বেদনা কমাবে না, বরং দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবার এসব মৃত্যুতে কষ্ট অনুভব করি’। তিনি অনুরোধ জানান, ভারত যেন এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে উপায় খুঁজে বের করে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় এবং মৃত্যুর ঘটনাগুলো ভারতের ভেতরেই ঘটে। উভয় নেতা বিষয়টি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিমসটেকের বাংলাদেশের চেয়ারম্যানশীপের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমসটেকের দৃশ্যমানতা বাড়াতে চায় এবং এই সংস্থাকে একটি কার্যকর ও প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যা এই অঞ্চলের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহায়তা করবে এবং বিশ্বব্যাপী পণ্য আমদানি-রপ্তানির একটি দক্ষ পথ তৈরি করবে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্বেগের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা অনেকটাই অতিরঞ্জিত এবং ‘এর বেশিরভাগই ভুয়া খবর’।
যেসব হামলার অভিযোগ এসেছে, তা স্বচক্ষে যাচাই করার জন্য তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সাংবাদিক পাঠানোর অনুরোধ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি দেশে ধর্মীয় ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা নজরদারির আওতায় আনতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা প্রচলন করেছেন এবং তাঁর সরকার এমন যেকোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
দুই নেতা তাদের খোলামেলা ও ফলপ্রসূ সংলাপের সমাপ্তি টানেন পরস্পরের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে এবং উভয় দেশের জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। উৎস: বাসস
তিনি গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের আলোচনা এবং তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির চূড়ান্তকরণের আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে মিথ্যা ও উসকানিমূলক অভিযোগ করে চলেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি দেশে ধর্মীয় ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা নজরদারির আওতায় আনতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা প্রচলন করেছেন এবং তাঁর সরকার এমন যেকোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
জাতীয়

তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে বিমসটেক ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালের পরামর্শ ড. ইউনূসের
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়াতে একটি ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল (যুব উৎসব) আয়োজনের জন্য জোটের সচিবালয়কে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের শেষে ব্যাংককে জোটের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পাণ্ডে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এদিন সম্মেলনের শেষে বিমসটেকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ইউনূস। এ সময় দুই বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বিমসটেক সম্মেলনের সময় তরুণদের জন্য আলাদা একটি সম্মেলনের আয়োজনের কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর জোটের ভবিষ্যৎ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিমসটেক মহাসচিব।
এ সময় ড. ইউনূস তাকে বলেন, ‘বিমসটেক নেতারা যখন মিলিত হবেন, তখন আলাদাভাবে তরুণদের জন্য একটি সভা হওয়া উচিত। এতে সদস্য দেশগুলোর তরুণদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি যৌথ ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল হওয়া উচিত। যেখানে প্রতিটি দেশ নিজেদের মতো অংশ নেবে এবং একটি দেশ নেতৃত্ব দেবে। এ উৎসব তরুণ-তরুণীদের একত্রিত করবে।’
এই প্রস্তাবগুলোকে স্বাগত জানিয়ে মহাসচিব পান্ডে বলেন, ‘এ ধারণাগুলো অসাধারণ। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগুলো বাস্তবায়নে কাজ করব।’
এ সময় বিমসটেক মহাসচিবের কাছ থেকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন প্রধান উপদেষ্টা। জবাবে বিমসটেক মহাসচিব জানান, সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীদের একটি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, যা গত ২১ বছরে অনুষ্ঠিত হয়নি।
বিমসটেক সচিবালয়কে সংস্থার কার্যক্রমের ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের জন্য একটি বার্ষিক বৈঠকের ক্যালেন্ডার তৈরিরও আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন শিনাওয়াত্রা নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। উৎস: ইউএনবি
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের শেষে ব্যাংককে জোটের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পাণ্ডে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি যৌথ ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল হওয়া উচিত। যেখানে প্রতিটি দেশ নিজেদের মতো অংশ নেবে এবং একটি দেশ নেতৃত্ব দেবে। এ উৎসব তরুণ-তরুণীদের একত্রিত করবে।’
এই প্রস্তাবগুলোকে স্বাগত জানিয়ে মহাসচিব পান্ডে বলেন, ‘এ ধারণাগুলো অসাধারণ। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগুলো বাস্তবায়নে কাজ করব।’
এ সময় বিমসটেক মহাসচিবের কাছ থেকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন প্রধান উপদেষ্টা। জবাবে বিমসটেক মহাসচিব জানান, সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীদের একটি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, যা গত ২১ বছরে অনুষ্ঠিত হয়নি।