রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২
প্রকাশিত: ২০২৫-১০-০৯ ২৩:৩৪:২৪
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই নিজেদের দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক পাওয়ার দাবিতে এনসিপি কোনোভাবেই পিছপা হবে না। আইনি বা রাজনৈতিক দিক থেকে এই প্রতীক দিতে কোনো বাধা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। বৈঠকটি চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সিইসি দুই ঘণ্টা নিশ্চুপ ছিলেন। কেন শাপলা প্রতীক দেওয়া যাবে না, কমিশন কোনো আইনি ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক থেকে সরে আসছে। কিন্তু শাপলা আমাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পরিচয়ের প্রতীক। এটি ছাড়া আমরা নিবন্ধনে যাচ্ছি না। কমিশনের সামনে এখন দুটি পথ— হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে, নয়তো একই ধরনের প্রতীক যেমন ধান বা সোনালী আঁশ বাতিল করতে হবে।’
নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, ‘শাপলা প্রতীক না দিলে এটি হবে আমাদের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে আমাদের অধিকার আদায় করব, তবে আপস করব না। শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না।’
এর আগে ৭ অক্টোবর এনসিপি পুনরায় নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে শাপলা প্রতীকের দাবি জানায়। সেই চিঠির সঙ্গে তারা বিভিন্ন নকশায় আঁকা শাপলার নমুনা ছবি জমা দেয়। একইসঙ্গে ইসির দেওয়া ৫০টি বিকল্প প্রতীকের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করে দলটি।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবে গভীরভাবে যুক্ত। তাই এই প্রতীকই এনসিপির আদর্শিক প্রতিফলন। দলটির নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক নীতি ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রশ্নে তারা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন।