তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধের স্বপ্ন দেখেন

তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধের স্বপ্ন দেখেন

তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধের স্বপ্ন দেখেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিপদের রঙ লাল। আর সেই রঙে নিজেকে সাজিয়েছেন বগুড়া সদরের বারপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৫০)। শরীরের পোশাক, টুপি, চশমা, এমনকি সাইকেলের রঙও লাল।

আনোয়ার হোসেনের শার্টের পেছনে লেখা- ‘‘হতে চাই না বিয়ের পাত্রী, হতে চাই স্কুলের ছাত্রী...’। তিনি বলেন, লাল বিপদের চিহ্ন। তিনি নিজেকে লাল রঙে সাজিয়ে বুঝাতে চাচ্ছেন- দেশে এখনো বাল্যবিয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে।

লাল পোশাকে তিনি সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত প্রচারাণা শুরু করেছেন। প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করছেন- বাল্যবিয়ে ঠেকানোর জন্য। আর স্কুলে স্কুলে গিয়ে সচেতন করছেন ছাত্রীদের।

কয়েক দিন তিনি রাজশাহীতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। রোববার বিকেলে তাকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার মোড়ে বাল্যবিয়ের কুফল নিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করতে দেখা যায়। তার সাইকেলের সামনে দুটি জাতীয় পতাকা; আর পেছনে একটি লাল পতাকা।

আনোয়ার হোসেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। নিজের পরিবার থেকে বাল্যবিয়ের কুফল উপলব্ধি করেছেন। নিজের দুই বোনের মেয়ের বাল্যবিয়ে হয়। একটা করে সন্তান হওয়ার পর সংসার ভেঙে যায়। এখন তারা পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। ভাগ্নিদের দুঃখ-দুর্দশা তিনি কাছ থেকে দেখেছেন।

আনোয়ার হোসেন মনে করেন, এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকেই তিনি সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন।

তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের চেয়ে পরিবারের সচেতনতা বেশি দরকার।

তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন সবাই সচেতন হবে; তখন সমাজে বাল্যবিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।  

 

রাজশাহী/তানজিমুল হক/বকুল



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2Q7VOQ3