বিশ্বকাপে পাকিস্তানি উগ্রবাদীদের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি

বিশ্বকাপে পাকিস্তানি উগ্রবাদীদের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে বাকি নেই আর এক মাসও। আইসিসির জমজমাট এই আয়োজন এবার অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যৌথ আয়োজনে। আগামী ২ জুন মাঠে গড়াবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আসন্ন কুড়ি ওভারের বিশ্বমঞ্চকে সামনে রেখে সহ-আয়োজক উইন্ডিজে হামলার হুমকি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)! যদিও হুমকির বিরুদ্ধে গিয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন ক্রিকেট উইন্ডিজজের (সিডব্লিউআই) সিইও জনি গ্রেভস।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে বারবুডা, বার্বাডোজ, গায়ানা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনসে। শেষ চারের ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ত্রিনিদাদ এবং গায়ানায়। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের ভেন্যু বার্বাডোজ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচগুলোর ভেন্যু ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক এবং টেক্সাস। যদিও উইন্ডিজের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচগুলোকে কেন্দ্র করে কোনো হুমকির তথ্য পাওয়া যায়নি।

হামলার হুমকি নিয়ে এক বিবৃতিতে সিডব্লিউআই লিখেছে, ‘ইসলামিক স্টেট পন্থী (আইএস) মিডিয়াগুলো খেলাধুলার ইভেন্টগুলোর বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উস্কে দেওয়ার প্রচারণা শুরু করেছে। যার মধ্যে আইএসের আফগানিস্তান, পাকিস্তান শাখা, থেকে ভিডিও বার্তা দেওয়া হয়েছে। যা অসংখ্য দেশে হামলার কথা তুলে ধরেছে।’

ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রেভস বলেন, ‘আমরা আয়োজক দেশ এবং শহরগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিহ্নিত যে কোনো ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সেসব নিশ্চিত করার জন্য ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী ল্যান্ডস্কেপ পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করছি।’

ক্রিকবাজকে গ্রেভস আরও বলেন, ‘আমরা সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যেকের নিরাপত্তা আমাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার হিসেবে থাকছে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য আমরা ব্যাপক এবং শক্তিশালী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’