শনিবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

Logo
Logo

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ফল স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।


সোমবার অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, তাদের ফলাফল আপাতত স্থগিত থাকবে। আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাই করব। সেজন্য তিনটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি- এই তিনদিন তারা সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আসবে। সন্তান ছাড়া অন্য কেউ এই তালিকায় রয়ে গেছে কিনা তা আমরা যাচাই করব। যদি সন্তান ছাড়া অন্য কেউ লিস্টে থাকে, তাহলে তার স্থান পাওয়ার কোনো সুযোগই না।


অধ্যাপক রুবীনা বলেন, এটা প্রাথমিক ফলাফল। সবকিছু ফাইনাল হবে কাগজপত্র দেখার পর। অন্য সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটার কাগজপত্র যাচাইবাছাই হয় সংশ্লিষ্ট কলেজে, এবার কলেজে যাওয়ার সুযোগ নেই।


এর আগে রবিবার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার ৩৭২ জন নির্বাচিত হয়, যাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার ১৯৩ জন রয়েছেন।


এদিকে প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রোববার রাতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ দেখান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলের দাবিও তোলেন।


অন্যদিকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে কোটা ব্যবস্থা বহাল থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


সোমবার সংগঠনটির দপ্তর সেলের সদস্য শাহাদাত হোসেন সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের ব্যর্থতার কথা জানানো হয়।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সদ্য প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ এর ফলাফল অনুযায়ী, কোটার বদৌলতে ১০০ নম্বরের মধ্যে কেবল ৪১ থেকে ৪৬ নম্বর পেয়েও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী। ফলে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও বিপুলসংখ্যক যোগ্য শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। এতে শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশেরই মেডিকেল কলেজে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।

 

২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে যে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তার শুরুই হয়েছিল মূলত বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার সংস্কারের দাবি থেকে। ফলত, এই কোটাব্যবস্থার বহাল থাকা আসলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গেই সাংঘর্ষিক; যা মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
 

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ওয়াশিংটন, ২৩ জানুয়ারি: যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন গঠনের পর, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি জয়শঙ্কর।


বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে।” তবে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, এই বিষয়ে আরও কিছু জানানো সমীচীন হবে না। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের বৈঠকে এ বিষয়টি উঠেছিল। 


জয়শঙ্কর আরও জানান, এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং ভবিষ্যতে কীভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহায়তা, প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা। এছাড়াও, তিনি বলেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং আগামী মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে।


ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে সঙ্গতভাবে বলেন, "মার্কিন প্রশাসন ভারতীয় অভিবাসীদের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষত অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে।


এদিকে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফর ও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
 

‘খালেদা জিয়া: বেগমের প্রত্যাবর্তন’-এই শিরোনামে গতকাল অনলাইন দ্য হিন্দু প্রকাশিত রিপোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তার পার্টি বাংলাদেশে যখন আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন তিনি বাংলাদেশে আবার লাইমলাইটে। সাংবাদিক কল্লোল ভট্টাচার্যের লেখা ওই প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে কীভাবে হত্যা করা হয়, কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, তা তুলে ধরেছেন।

 

তিনি লিখেছেন: ১৯৮১ সালের ৩০শে মে ভোরবেলা। চট্টগ্রামের আকাশ ঢেকে ফেলেছে বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসা মেঘ। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের ছাদে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। তার মধ্যে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গোলাগুলির শব্দ পেলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের একজন সাহসী পাকিস্তানি সেনা হিসেবে পরিচিত। পরে তিনি জাতীয়তাবাদী একজন অফিসার হন এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। জিয়াউর রহমান পালিয়ে থাকার মতো মানুষ নন। তিনি ওই সময় নৈশকালীন পোশাকে ছিলেন। সেই অবস্থায়ই গোলাগুলির উৎসের কাছে চলে যান কি হয়েছে চেক করতে। ঠিক তখনই বুলেট এসে আক্ষরিকভাবে তার শরীরকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলে। তার খুনিরা ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হন। কারণ, মৌসুমি রাজনীতিক আবদুস সাত্তার ততক্ষণে দ্রুততার সঙ্গে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমর্থনে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে নেন।

 

এই নাটকীয় পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক দৃশ্যপটে চলে আসেন। রিপোর্টে বলা হয়, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার খবর শোনার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। এর আড়াই বছর পরে আবদুস সাত্তারের কাছ থেকে দলের দায়িত্ব নেন খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বিএনপি’র দায়িত্ব নিজের হাতে খালেদা জিয়া নেন ১৯৮৪ সালের ১৩ই জানুয়ারি। অস্থিতিশীল এই দেশে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। ১৭ই মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। 

 

খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা দু’টি ভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন। প্রথম জন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে থাকা, বিদ্রোহ করে দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বাঙালি অফিসারের স্ত্রী। অন্যদিকে পাকিস্তানবিরোধী অগ্নিঝরা একজন নেতার কন্যা শেখ হাসিনা। কিন্তু তখনকার প্রেসিডেন্ট এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা দু’জন ১৯৮৪ সালে একজোট হন। দু’টি রাজনৈতিক জোট একত্রিত হয়। এরশাদের বিরুদ্ধে সাতদলীয় জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। অন্যদিকে ১৫ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮৬ সালে একটি জালিয়াতির নির্বাচন করেন এরশাদ। জাল ভোটে ক্ষুব্ধ হয়ে এই দুই জোট একসঙ্গে হাত মিলায় এবং ১৯৯০ সালে চূড়ান্ত পর্যায়ে এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। 

 

এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয় পায় বিএনপি। এরপর মিসেস জিয়া, যিনি বেগম জিয়া নামে বেশি পরিচিত, তিনি বাংলাদেশে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি যখন বাংলাদেশের অনেক সমস্যা নিয়ে কাজ করছিলেন, তখনই এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হন। এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে বিএনপি সরকারকে অযোগ্য বলে অভিহিত করেন শেখ হাসিনা। বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয় পেতে সক্ষম হয় বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আনে আওয়ামী লীগ। ফলে তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এরপরই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। 

 

১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছেন খালেদা জিয়া। নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সমর্থনে আবার ক্ষমতায় ফেরেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। শেখ হাসিনা যদিও তাকে পরবর্তী ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে রেখেছিলেন, তবু মাঠপর্যায়ে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল বিএনপি। হাসিনার যুগে খালেদা জিয়া যখন পেছনে পড়ে ছিলেন, তখন প্রতিদিন দলীয় কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন তিনবার বর্জনের জন্য দলীয় যুদ্ধং দেহী মনোভাব বজায় রেখেছিলেন তারা। 

 

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। এরপর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। তিনি বার বার বলেন, বর্তমানে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি কোনো খারাপ মনোভাব পোষণ করেন না। এর মধ্যদিয়ে এমন একটি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার কতোদিন স্থায়ী হয় তার জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি এবং পর্যবেক্ষণ করছেন। বিএনপি অতীতে যখন নির্বাচন বর্জন করেছে, এটা জানা বিষয় যে, ২০২১ সালে খালেদা জিয়ার জটিল অপারেশনে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস হাসপাতালের ডাক্তারদের ঢাকায় আসা থামায় নি শেখ হাসিনার শাসকগোষ্ঠী। 

 

শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের বাইরে। বিএনপি আবার ক্ষমতায় ফেরার উজ্জ্বল অবস্থায় আছে। এমন অবস্থায় ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আরও একবার লাইমলাইটে এসেছেন। কিন্তু এ সময়ে তিনি অধিক মাত্রায় সতর্ক। এ মাসের শুরুর দিকে কাতার থেকে আসা একটি এয়ার এম্বুলেন্স তাকে উড়িয়ে নিয়েছে লন্ডনে, বিশেষ চিকিৎসার জন্য। সেখানে তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। ২০০৬-০৮ সময়কালে সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তারেক রহমানকে নির্যাতন করা হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি নির্বাসনে লন্ডনে রয়েছেন। গত সপ্তাহে ২০০৮ সালের একটি দুর্নীতি মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এর আগে দেয়া ১০ বছরের জেলের রায়। 

 

বাংলাদেশের রাজনীতি ভগ্নদশার। তার মাঝে খালেদা জিয়াকে দেখা হয় টিকে থাকা একজন রাজনীতিক বা সারভাইভার হিসেবে। অন্তর্বর্তী সরকার আবার যখন নির্বাচন ঘোষণা করবে তখন তার কৌশল আরও একবার পরীক্ষার মুখে পড়বে। (অনুবাদ: মানবজমিন)
 

 

ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দামের পতনে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। সপ্তাহের প্রথম দিনে আজ (সোমবার) ০.৪ শতাংশ পতনের পর ডলারের বিপরীতে রুপির দাম দাঁড়িয়েছে ৮৬.৩৯।

 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনীতিতে এটি বড় ধাক্কা। মূলত ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরা ও মার্কিন আর্থিক নীতির প্রভাবে ভারতীয় রুপির এই পতনের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে অনুমান তারা মনে করছেন।

 

ভারতীয় রুপির মানের এই রেকর্ড পতনের কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতে,  ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের ফলে মার্কিন নীতিতে বহু পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। মার্কিন শ্রম দপ্তরের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেদেশে চাকরির সুযোগ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারত্ব দূর করতে ও কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছে শেষ মুহূর্তের বাইডেন প্রশাসন।

 

আর মার্কিন অর্থনীতির অগ্রগতি সরাসরি প্রভাব ফেলেছে ভারতীয় মুদ্রায়। এমনিতে ডলারের তুলনায় দুর্বল ছিল ভারতীয় টাকা। ভারতের ক্ষেত্রে মোদি সরকার আত্মনির্ভর ভারতের মতো পদক্ষেপ নিলেও বিদেশি পণ্য আমদানির নির্ভরতা খুব একটা কমেনি। পণ্য রপ্তানিতেও খুব বিশেষ গতি আসেনি।

 

এর পাশাপাশি অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, ট্রাম্প সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদেশি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত ভিসায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। ফলে যে ভারতীয়রা আমেরিকায় চাকরি করেন তাদের উপর বেশ প্রভাব পড়বে। আর সেই প্রভাব পড়বে ভারতের অর্থনীতিতে। মুদ্রাস্ফীতিও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা।#

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ফল স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।


সোমবার অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, তাদের ফলাফল আপাতত স্থগিত থাকবে। আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাই করব। সেজন্য তিনটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি- এই তিনদিন তারা সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আসবে। সন্তান ছাড়া অন্য কেউ এই তালিকায় রয়ে গেছে কিনা তা আমরা যাচাই করব। যদি সন্তান ছাড়া অন্য কেউ লিস্টে থাকে, তাহলে তার স্থান পাওয়ার কোনো সুযোগই না।


অধ্যাপক রুবীনা বলেন, এটা প্রাথমিক ফলাফল। সবকিছু ফাইনাল হবে কাগজপত্র দেখার পর। অন্য সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটার কাগজপত্র যাচাইবাছাই হয় সংশ্লিষ্ট কলেজে, এবার কলেজে যাওয়ার সুযোগ নেই।


এর আগে রবিবার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার ৩৭২ জন নির্বাচিত হয়, যাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার ১৯৩ জন রয়েছেন।


এদিকে প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রোববার রাতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ দেখান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলের দাবিও তোলেন।


অন্যদিকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে কোটা ব্যবস্থা বহাল থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


সোমবার সংগঠনটির দপ্তর সেলের সদস্য শাহাদাত হোসেন সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের ব্যর্থতার কথা জানানো হয়।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সদ্য প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ এর ফলাফল অনুযায়ী, কোটার বদৌলতে ১০০ নম্বরের মধ্যে কেবল ৪১ থেকে ৪৬ নম্বর পেয়েও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী। ফলে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও বিপুলসংখ্যক যোগ্য শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। এতে শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশেরই মেডিকেল কলেজে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।

 

২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে যে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তার শুরুই হয়েছিল মূলত বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার সংস্কারের দাবি থেকে। ফলত, এই কোটাব্যবস্থার বহাল থাকা আসলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গেই সাংঘর্ষিক; যা মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
 

টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ওয়াশিংটন, ২৩ জানুয়ারি: যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন গঠনের পর, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি জয়শঙ্কর।


বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে।” তবে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, এই বিষয়ে আরও কিছু জানানো সমীচীন হবে না। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের বৈঠকে এ বিষয়টি উঠেছিল। 


জয়শঙ্কর আরও জানান, এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং ভবিষ্যতে কীভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহায়তা, প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা। এছাড়াও, তিনি বলেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং আগামী মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে।


ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে সঙ্গতভাবে বলেন, "মার্কিন প্রশাসন ভারতীয় অভিবাসীদের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষত অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে।


এদিকে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফর ও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
 

ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনার এমপি সঞ্জয় রাউত বলেছেন, "ভারত থেকে সব  বাংলাদেশিকে বের করে দেয়া উচিত। এটা শুরু হওয়া উচিত শেখ হাসিনাকে দিয়ে। যাঁকে এদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।"

 

বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী একজন 'বাংলাদেশি' বলে মুম্বাই পুলিশ সন্দেহ পোষণ করার পর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সঞ্জয় রাউত এসব মন্তব্য করেন।

 

সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী সম্পর্কে প্রশ্ন রেখে সঞ্জয় রাউত বলেন, "কে বলেছে তিনি বাংলাদেশি? বিজেপি? তারা দাবি করছে সাইফ আলি খানের ওপর হামলা একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কী? একজন অভিনেতার ওপর হামলা হয়েছে। জনগণকে সত্যটা বলা উচিত। যদি তিনি (হামলাকারী) বাংলাদেশি হন, তাহলে এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এটা অমিত শাহের দায় এবং এ জন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।"

 

সঞ্জয় রাউত আরও বলেন, সব বাংলাদেশিকে (ভারত থেকে) বের করে দেয়া উচিত। আর এটা শুরু হওয়া উচিত শেখ হাসিনাকে দিয়ে। তাতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তারা শুধুই আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। এর কারণ, মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন। যখনই আমরা পার্লামেন্টে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই, তখনই বিজেপি আমাদেরকে থামিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথা বলে। ১০ দিন আগে তারা লাভ জিহাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে সাইফ আলি খানকে। আর এখন তারা তাকেই নিয়ে উদ্বিগ্ন।"

 

তিনি আরও বলেন, সাইফ আলি খানের ছেলের নাম তৈমুর। তাদের লোকজন তাকে নিয়েও বাজে সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসব তথ্য পেয়েছেন। এখন তৈমুর হয়ে উঠেছে তাদের ভালোবাসার প্রতীক।

 

সাইফ আলি খানের ওপর ছুরি হামলা হয় ১৬ই জানুয়ারি। ওইদিন বান্দ্রায় তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তার ঘাঁড়ের মেরুদণ্ডে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদকে আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে।

 

পুলিশ বলেছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে। পুলিশের দেয়া বিবৃতি অনুযায়ী শেহজাদ চুরি করার উদ্দেশে সাইফ আলি খানের বাসভবনে প্রবেশ করে। কিন্তু বাড়িতে সাইফ আলি খান উপস্থিত থাকায় তাকে ছুরিকাঘাত করে শেহজাদ। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। হামলাকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়েছে।#

 

ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রাজধানী তেলআবিবের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার সকালে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। 

 

ইসরাইলি টিভি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে অধিকৃত তেলআবিব এবং আল-কুদস অঞ্চলে সাইরেন বাজানো হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরাইলের সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া হয়েছে। আর এ হামলার ফলে অধিকৃত কেন্দ্রীয় অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে পালানোর সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

 

এ অবস্থায় ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয়েছে এবং হামলার উৎস সম্পর্কে তদন্ত চালাচ্ছে।

 

এদিকে, ইয়েমেন থেকে আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর অধিকৃত তেলআবিব এবং তার আশপাশের এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠার খবর পাওয়া গেছে।

 

ইহুদিবাদী গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার সকালে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে তেলআবিব এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় সাইরেন সক্রিয় হয়।

 

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা আতঙ্কিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে পালাচ্ছে।

 

ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।#

Site Counter

Online

1

Today

9

Total

4k

জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: 
টাঙ্গাইলের সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের "ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব" এর আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 

 

"প্রযুক্তির নির্ভরশীলতা মানুষের বুদ্ধি হ্রাস করছে" বিষয়ে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 

 

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের সদস্যরা অংশগ্রহণ করে। এতে বিপক্ষ দল জয়লাভ করে।

 

সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ এম এ রউফ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সভাপতিত্ব করেন।

 

বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হক শামীম, প্রভাষক মো. রফিকুল ইসলাম এবং প্রভাষক সাইফুল্লাহ। মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান একে ফজলুল হক মিয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. জীবন আহমেদ। 

প্রতিযোগিতা শেষে অধ্যক্ষ এম.এ রউফ শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। 

 

সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এবং ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের উপদেষ্টা মো. হামিদুর রহমান জানান, আমাদের ক্লাবের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হয়ে উঠবে। এটি শিক্ষার্থীদের আরো আত্মবিশ্বাসী ও সৃজনশীল হতে সহায়তা করবে।

 

ভবিষ্যতে আমাদের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তব্য, বানান প্রতিযোগিতা সহ নানা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
 

ঢাকা, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ : সেরা ছন্দ নিয়েই আবারও লিটন দাস জাতীয় দলে ফিরবেন বলে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর।  ফর্মহীনতার কারণে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দলে সুযোগ হয়নি লিটনের।

 

আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের লিপু বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞ আছেন, কিন্তু আমরা দেখেছি বিপক্ষ দলের বিশ্লেষকরা লিটনের বিপক্ষে সফল হয়ে যাচ্ছে।’

 

শেষ সাত ওয়ানডে ইনিংসে মাত্র ১৩ রান করায় লিটনকে দল থেকে বাদ দেয় নির্বাচকরা।  যদি শেষ পাঁচ ওয়ানডে ইনিংস বিবেচনা করা হয়, তাহলে মাত্র ৬ রান করেছেন তিনি। এরমধ্যে ৩ ইনিংসে কোন রান না করেই সাজঘরে ফিরেন লিটন। 

 

২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বশেষ হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন। ঐ টুর্নামেন্টেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। 

 

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘তাকে দলের বাইরে রাখার এখনই উপযুক্ত সময়।  কারণ তার অফ-ফর্মের ধারা ভাঙতে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘লিটনকে দল থেকে বাদ দেওয়ার মানে এই নয় যে সে জাতীয় দলের বাইরে ছিটকে গেছে। আমাদের সামনে অনেক ম্যাচ আছে এবং আমাদের বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই তার দুর্বল জায়গাগুলোকে শক্তিশালী করতে তার সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন। আমরা চাই সেরা ছন্দ নিয়েই সে ফিরে আসুক।’

 

চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরু থেকেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি লিটন। তবে ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচে খোলস থেকে বের হন তিনি। ৪৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন লিটন। যদিও ঐ ম্যাচে হেরেছে ঢাকা।

 

লিটনকে ফর্মে ফেরার জন্য যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন লিপু। তিনি জানান, তার খারাপ পারফরমেন্স বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। 

 

লিপু বলেন, "আমরা সবসময় চাই আমাদের ওপেনাররা পাওয়ার প্লের সুবিধা ভালোভাবে কাজে লাগাবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পাওয়ার প্লেতে ভালো করতে পারেনি লিটন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেখানে আমরা ৩’শর বেশি রান করেছি, সেখানে লিটনের স্ট্রাইক-রেট ভালো না। এমনকি ক্রিজেও বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি লিটন।"

 

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা আরও ভালোভাবে দেখি তাহলে দেখবো চাপ নিয়ে ব্যাটিং করছে সে। তিন নম্বর ব্যাটার উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে।  আমরা এখনও তার উপর আমাদের আস্থা রেখেছি এবং অনেক ম্যাচে তাকে সুযোগ দিয়েছি। তবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। এমনকি যখন একজন ব্যাটার অফ-ফর্মে থাকে তখন সে আত্মবিশ্বাসের সাথে দলে নির্বাচিত হতে পারে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আত্মবিশ্বাসের অবস্থানেও নেই লিটন।’

 

উদ্বোধনী জুটিতে সৌম্য সরকার এবং তানজিদ হাসান তামিম ভালো করছে বলে জানান লিপু, ‘সৌম্য সরকার এবং তানজিদ হাসান তামিম জুটি ভালো করছে। তারাই ইনিংস শুরু করবে। এমন একটি তথ্য অধিনায়কের সাথে আলোচনার পর আমরা জানতে পেরেছি। এজন্যই দলে জায়গা হয়নি লিটনের।’ 

 

তিনি আরও বলেন, ‘লিটনের ক্লাস বা মেধা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু লিটনের মতো যখন কেউ অফ-ফর্মে থাকে তখন আমাদের তাকে ঐ সংকট থেকে বের করে আনতে হবে। এই সময়ে লিটনের দুর্বল জায়গাগুলোকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা কাজ করার সুযোগ পাবে।’ 

‘খালেদা জিয়া: বেগমের প্রত্যাবর্তন’: দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন

‘খালেদা জিয়া: বেগমের প্রত্যাবর্তন’-এই শিরোনামে গতকাল অনলাইন দ্য হিন্দু প্রকাশিত রিপোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তার পার্টি বাংলাদেশে যখন আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন তিনি বাংলাদেশে আবার লাইমলাইটে। সাংবাদিক কল্লোল ভট্টাচার্যের লেখা ওই প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে কীভাবে হত্যা করা হয়, কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, তা তুলে ধরেছেন।

 

তিনি লিখেছেন: ১৯৮১ সালের ৩০শে মে ভোরবেলা। চট্টগ্রামের আকাশ ঢেকে ফেলেছে বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসা মেঘ। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের ছাদে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। তার মধ্যে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গোলাগুলির শব্দ পেলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের একজন সাহসী পাকিস্তানি সেনা হিসেবে পরিচিত। পরে তিনি জাতীয়তাবাদী একজন অফিসার হন এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। জিয়াউর রহমান পালিয়ে থাকার মতো মানুষ নন। তিনি ওই সময় নৈশকালীন পোশাকে ছিলেন। সেই অবস্থায়ই গোলাগুলির উৎসের কাছে চলে যান কি হয়েছে চেক করতে। ঠিক তখনই বুলেট এসে আক্ষরিকভাবে তার শরীরকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলে। তার খুনিরা ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হন। কারণ, মৌসুমি রাজনীতিক আবদুস সাত্তার ততক্ষণে দ্রুততার সঙ্গে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমর্থনে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে নেন।

 

এই নাটকীয় পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক দৃশ্যপটে চলে আসেন। রিপোর্টে বলা হয়, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার খবর শোনার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। এর আড়াই বছর পরে আবদুস সাত্তারের কাছ থেকে দলের দায়িত্ব নেন খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বিএনপি’র দায়িত্ব নিজের হাতে খালেদা জিয়া নেন ১৯৮৪ সালের ১৩ই জানুয়ারি। অস্থিতিশীল এই দেশে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। ১৭ই মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। 

 

খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা দু’টি ভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন। প্রথম জন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে থাকা, বিদ্রোহ করে দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বাঙালি অফিসারের স্ত্রী। অন্যদিকে পাকিস্তানবিরোধী অগ্নিঝরা একজন নেতার কন্যা শেখ হাসিনা। কিন্তু তখনকার প্রেসিডেন্ট এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা দু’জন ১৯৮৪ সালে একজোট হন। দু’টি রাজনৈতিক জোট একত্রিত হয়। এরশাদের বিরুদ্ধে সাতদলীয় জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। অন্যদিকে ১৫ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮৬ সালে একটি জালিয়াতির নির্বাচন করেন এরশাদ। জাল ভোটে ক্ষুব্ধ হয়ে এই দুই জোট একসঙ্গে হাত মিলায় এবং ১৯৯০ সালে চূড়ান্ত পর্যায়ে এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। 

 

এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয় পায় বিএনপি। এরপর মিসেস জিয়া, যিনি বেগম জিয়া নামে বেশি পরিচিত, তিনি বাংলাদেশে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি যখন বাংলাদেশের অনেক সমস্যা নিয়ে কাজ করছিলেন, তখনই এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হন। এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে বিএনপি সরকারকে অযোগ্য বলে অভিহিত করেন শেখ হাসিনা। বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয় পেতে সক্ষম হয় বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আনে আওয়ামী লীগ। ফলে তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এরপরই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। 

 

১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিপক্ষ শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছেন খালেদা জিয়া। নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সমর্থনে আবার ক্ষমতায় ফেরেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। শেখ হাসিনা যদিও তাকে পরবর্তী ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে রেখেছিলেন, তবু মাঠপর্যায়ে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল বিএনপি। হাসিনার যুগে খালেদা জিয়া যখন পেছনে পড়ে ছিলেন, তখন প্রতিদিন দলীয় কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন তিনবার বর্জনের জন্য দলীয় যুদ্ধং দেহী মনোভাব বজায় রেখেছিলেন তারা। 

 

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। এরপর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। তিনি বার বার বলেন, বর্তমানে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি কোনো খারাপ মনোভাব পোষণ করেন না। এর মধ্যদিয়ে এমন একটি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার কতোদিন স্থায়ী হয় তার জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি এবং পর্যবেক্ষণ করছেন। বিএনপি অতীতে যখন নির্বাচন বর্জন করেছে, এটা জানা বিষয় যে, ২০২১ সালে খালেদা জিয়ার জটিল অপারেশনে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস হাসপাতালের ডাক্তারদের ঢাকায় আসা থামায় নি শেখ হাসিনার শাসকগোষ্ঠী। 

 

শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের বাইরে। বিএনপি আবার ক্ষমতায় ফেরার উজ্জ্বল অবস্থায় আছে। এমন অবস্থায় ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আরও একবার লাইমলাইটে এসেছেন। কিন্তু এ সময়ে তিনি অধিক মাত্রায় সতর্ক। এ মাসের শুরুর দিকে কাতার থেকে আসা একটি এয়ার এম্বুলেন্স তাকে উড়িয়ে নিয়েছে লন্ডনে, বিশেষ চিকিৎসার জন্য। সেখানে তিনি তার বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। ২০০৬-০৮ সময়কালে সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তারেক রহমানকে নির্যাতন করা হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি নির্বাসনে লন্ডনে রয়েছেন। গত সপ্তাহে ২০০৮ সালের একটি দুর্নীতি মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এর আগে দেয়া ১০ বছরের জেলের রায়। 

 

বাংলাদেশের রাজনীতি ভগ্নদশার। তার মাঝে খালেদা জিয়াকে দেখা হয় টিকে থাকা একজন রাজনীতিক বা সারভাইভার হিসেবে। অন্তর্বর্তী সরকার আবার যখন নির্বাচন ঘোষণা করবে তখন তার কৌশল আরও একবার পরীক্ষার মুখে পড়বে। (অনুবাদ: মানবজমিন)
 

 

বাংলাদেশে পাসপোর্ট বাতিলের পর শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল ঘোষণার একদিন পরই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। আজ (বুধবার) ভারতীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

 

ওয়াকিবহাল ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হাসিনার ভারতবাস দীর্ঘায়িত করার সুযোগ দিতে সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে হাসিনাকে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার যে গুঞ্জন রয়েছে, তা উড়িয়ে দিয়েছে ওই সূত্রগুলোকারণ শরণার্থী এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ের মত বিষয়গুলো নিয়ে ভারতে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই।

 

ভারত ঠিক কবে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে এবং কতদিনের জন্য তা বাড়ানো হয়েছে, সেসব তথ্য মেলেনি হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে।

 

পত্রিকাটি লিখেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।

 

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে চলে যান। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

 

হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, ৫ আগস্ট দিল্লির হিন্দান বিমানঘাঁটিতে পৌঁছানোর পর থেকে শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইরের কারো যোগাযোগ করার সুযোগ নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়েছে। তাকে এখন দিল্লির একটি সেইফ হাউজে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

 

আন্দোলন দমন করতে গিয়ে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গণহত্যা ও গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

 

বিচারের মুখোমুখি করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতকে একটি কূটনৈতিক পত্র (নোট ভার্বাল) পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, দিল্লি সম্ভবত ওই পত্রের কোনো জবাব দেবে না, কারণ, তাদের ভাষায়, প্রত্যর্পণের জন্য যে ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।

 

এদিকে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর মঙ্গলবার জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম এবং জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, যার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্টও আছে।

 

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, "পাসপোর্ট অফিস থেকে জানানো হয়েছে, যারা গুম এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত, তেমন ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এবং জুলাই কিলিংয়ের সাথে জড়িত বা জুলাই কিলিংয়ের জন্য অভিযুক্ত এই রকম ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রয়েছেন।

শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের বিষয় ভারতকে জানানো হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, উনার যে পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, এটা কিন্তু ভারত সরকারও জানে এবং ভারত সরকার থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে যে, উনাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।#

লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া, বিমানবন্দরে স্বাগত জানান তারেক-জুবাইদা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছেছেন। আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টার দিকে) তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভিআইপি প্রটোকল দেয়।  

 

বিমানবন্দরে বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। এর মাধ্যমে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর লন্ডনে সরাসরি দেখা হলো মা-ছেলের।

 

এর আগে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় কাতারের দোহা বিমানবন্দরে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে আড়াই ঘণ্টা বিরতির পর এটি লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

 

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা হন বিএনপি প্রধান।

 

এর আগে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর রাজধানীর গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের বাসভবন ফিরোজা থেকে যাত্রা শুরু করে। রাস্তায় দুই ধারে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ দুহাত তুলে তাকে বিদায় জানান। রাত ১০টা ৫০ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

 

গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীদের খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি চারপাশ ঘিরে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে থাকে। স্লোগান স্লোগানে মুখর করে তুলে।

 

এ সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১৬ জন। এরমধ্যে চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিকসরা রয়েছেন। এরা হলেন—অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

 

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তার লিভার প্রতিস্থাপন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, লিভার প্রতিস্থাপনের পর পুরো চিকিৎসায় কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
 

 

নতুন কালেকশন নিয়ে কে ক্র্যাফট

বৈচিত্র্যময় পোশাকের বিশেষ আয়োজন নিয়ে এসেছে কে ক্র্যাফট। তাই সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় কাক্সিক্ষত বা উপযোগী পোশাক নির্বাচনে ক্যাজুয়াল কিংবা এক্সক্লুসিভ সবই মিলবে এবারের আয়োজন থেকে। এছাড়া লম্বা ছুটিতে যেখানেই যান তার জন্য প্রয়োজন স্টাইলিশ কিন্তু রিলাক্সড পোশাক। আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে মানানসই এমনি সব পোশাক থাকবে এবারের আয়োজনে। 

 
মেয়েদের জন্য সালোয়ার কামিজ এবং কুর্তিতে ফ্রক স্টাইল, এ লাইন এবং রেগুলার শেপ ছাড়াও স্ট্রেইট কাট, রাফল, প্লিটেড, বক্স প্লিটেড স্টাইল থাকবে। নিজস্ব ডিজাইনের শাড়িতে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন এবং ভ্যালু অ্যাডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার সকলের দৃষ্টি  কাড়বে। ছেলেদের জন্য রয়েছে পছন্দের ব্র্যান্ড কে ক্র্যাফটের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি। এছাড়াও পাওয়া যাবে স্মার্ট ক্যাজুয়াল শার্ট, এথনিক শার্ট, ফতুয়া। কে ক্র্যাফটের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লার সকল শো-রুম ছাড়াও অনলাইন শপ kaykraft.com থেকে ঈদ আয়োজন এর পোশাক পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী মূল্যে। এছাড়াও অর্ডার করা যাবে ফেসবুক পেজ থেকেও । 

আত্মরক্ষায় মেয়েদের উদ্যোগ

শারীরিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নারীদের নিয়ে সামাজিকভাবে এক প্রকার অবহেলা, উদাসীনতা প্রত্যক্ষ করা যায়। নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে তো অনেকখানিই। আত্মরক্ষা করার সুষম সক্ষমতা মেয়েদের কিছুটা পিছিয়ে রাখে এটাই সমাজ সংস্কারের নিয়ম। সেই আদিকাল থেকে আজ অবধি। কিন্তু যুগের পরিবর্তন, নতুন সময়ের আবেদনে নারীদের সদর্পে এগিয়ে চলা বর্তমানে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অনুষঙ্গ। এখনো শারীরিক শক্তিময়তায় নারী খেলোয়াড়দের অনেক বাধাবিঘœ অতিক্রম করা নজরে আসতে সময় লাগছে না।

সেটাও কম কিছু নয়। কঠিন কর্মযোগে সম্পৃক্ত হতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সুস্থ, সবল শারীরিক সক্ষমতা। ক্রমান্বয়ে তা পারদর্শিতায় রূপ নিতে দেরি হয় না। যা সমতাভিত্তিক সমাজ-বিনির্মাণের নির্ণায়ক। সম্প্রতি এক খবরে মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রস্তুতির ওপর চমকপ্রদ ঘটনা নজরকাড়ার মতো, পরনির্ভরশীলতা, দুর্বলতা, আর কিছুটা অক্ষমতায় পিছিয়ে পড়া মেয়েরা নিজ উদ্যোগে তাদের সবল করার প্রত্যয়ে ব্রতি হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানকার মেয়েরা আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করতে এগিয়ে এসেছে।

 

সত্যি এক অসাধারণ কর্ম সাধনা। ‘সবলা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেনÑ নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকারÑ হে বিধাতা, সেটার জন্য অনেক অপেক্ষার পালা সীমা অতিক্রম করেছে। কিন্তু সেটাও যখন হাতের নাগালে তাই যেন সই। সংখ্যায় কম হলেও সামনে আরও বাড়বে। অসাম্য বৈষম্যের বন্ধনজালে আবদ্ধ নারীরা চিরায়ত অপসংস্কারেও আকণ্ঠ নিমজ্জিত। এক সময় খেলাধুলায় তাদের অংশীদারিত্বও ছিল নগণ্য। যুগের হাওয়ায় তা ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে নিজেকে যে মাত্রায় প্রমাণ করে যাচ্ছে সেটা নারী জাতির অবিস্মরণীয় বিজয়।

 

কর্মজীবী নারীরা এখন ক্ষুদ্র পরিবার সামলিয়ে বৃহত্তর সামাজিক আঙিনায় পেশাগত কর্মযোগকেও অপ্রতিরোধ্য করে তুলছে। ভীরু নারীরা আজ সময়ের দুরন্ত আহ্বানে দুঃসাহসিক হয়ে উঠতেও যেন মরিয়া। স্বাবলম্বী হওয়া থেকে আরম্ভ করে শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করা সবই যেন অপার মহিমার সঙ্গে অসম পারদর্শিতাকেও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে। 
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নারীরা আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণের ওপর এক চমকপ্রদ ঘটনা সমসংখ্যককে নতুনভাবে উদ্ভাসিত করা। আপন দক্ষতা আর শক্তিময়তায় আনোয়ারা উপজেলায় বিভিন্ন ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি ‘শাওলিন কুংফুং অ্যান্ড উন্ড একাডেমি’, ‘বাংলাদেশ টাইগার মার্শাল আর্ট’, ‘শাওলিন উন্ড ট্রেনিং সেন্টার’ নামে তিনটি নারী আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। কোনো কঠিন কাজের সামনে কাঁপন ওঠার মতো দুঃসময় নারীকে এখন আর সেভাবে তাড়া করে না।

তা ছাড়া জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু সংস্থা ইউনিসেফের কার্যক্রমে শিশু-কিশোর সেলফ ডিফেন্স ক্লাব, মহিলা অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবসহ আরও কিছু কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণকে জোরালো করা হচ্ছে। আনোয়ারার এমন চমৎকার পরিবেশে ছেলেমেয়ে উভয়ই পাশাপাশি অবস্থান করে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়াও সমতাভিত্তিক সুস্থ পরিবেশকে স্বাগত জানানো। ছেলেময়ের সমান অংশগ্রহণে পোশাক-পরিচ্ছেদেও কোনো বিভেদ নেই। এক রকম পোশাক পরে মানুষের মর্যাদায় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আধুনিক ও উদীয়মান প্রজন্ম তা আগামীর বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনতার আদলে নতুন মোড়কে উন্মোচন তো করবেই।

এ ছাড়াও আছে এনজিও সংস্থার নানামাত্রিক প্রকল্প, যা ছেলেমেয়েকে সমান বিবেচনায় দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়ত সমতাভিত্তিক কর্মযোগ নিরন্তর করেই যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সেলফ ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীরা পারদর্শী  আর শারীরিক সক্ষমতায় নিজেদের তৈরি করে যাচ্ছে। আধুনিক ও প্রযুক্তির নতুন বাংলাদেশের নব অধ্যায়ের শুভ সূচনা তো বটেই। তবে মেয়েদের শাশ্বত কর্মযোগকেও সমানভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যেমন সেলাই, বিউটিশিয়ান হিসেবেও প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করতেও মেয়েরা এগিয়ে থাকছে।

নারী প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের আবেগ-উচ্ছ্বাসেরও কোনো ঘাটতি নেই। পরম আনন্দে, স্বইচ্ছায় উদ্যোগী হয়ে তারা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে নিজেদের যাত্রাকে সাবলীল আর অবারিত করে যাচ্ছে। তাদের আলাপচারিতায় আরও প্রত্যক্ষ হয় ঘর থেকে বাইরে যেতে গেলে পিতা-মাতা-অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। নির্বিঘেœ, নিরাপদে যাওয়া-আসা করা যাবে তো? পথে-প্রান্তরে কোনো বিপত্তির আশঙ্কা নেই তো? তাই নিজের নিরাপত্তায় শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়াও জরুরি। সঙ্গত কারণে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণও সময়ের ন্যায্যতা দাবি করে। তার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে বখাটে ছেলেদের উৎপীড়ন, উৎপাত বহু সময় ধরে ঘটে যাওয়া এক দুঃসহ ঘটনার পালাক্রম।

সেখানে নিজেদের সুরক্ষায় প্রতিপক্ষকে থামাতে আত্মশক্তির বিকল্প অন্য কিছু নয়। এটা শুধু চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং বাংলাদেশের শহর-গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তরে এমন কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে হবে। যাতে সারাদেশের মেয়েদের রাস্তাঘাটে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যেতে-আসতে কোনো বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হলে প্রতিরোধ করার শক্তিও যেন অন্তর্নিহিত বোধে জিইয়ে থাকে।

 
 

চায়ের সাথে ভুলেও যে ৪ খাবার খাবেন না

চা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। এর প্রশান্তিদায়ক উষ্ণতা এবং অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে শুধু চা হলে জমে না অনেকের, এর সঙ্গে প্রয়োজন হয় অল্পস্বল্প কিছু খাবার। এরকম খাওয়া যেতেই পারে। তাতে ক্ষতির কিছু নেই। 

দুগ্ধজাত পণ্য

 

আমাদের দেশে জনপ্রিয় সব পানীয়ের মধ্যে অন্যতম হলো দুধ চা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চায়ের সঙ্গে দুগ্ধজাত কোনো খাবারই না খেতে। দুগ্ধজাত প্রোটিন চায়ের সূক্ষ্ম গন্ধকে পরিবর্তন করে এবং একে কম উপভোগ্য করে তোলে। যদিও আপনার চায়ে কিছুটা দুধ মেশানো গ্রহণযোগ্য হতে পারে, তবে চায়ের সঙ্গে পনির, দই বা ক্রিম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

 

সাইট্রাস ফল

কমলা, লেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এগুলো চায়ের ট্যানিনের সঙ্গে সংঘর্ষ করতে পারে, যার ফলে একটি তিক্ত বা ধাতব স্বাদ তৈরি হয়। সাইট্রাস ফলের অম্লতা চায়ের সঙ্গে মিলিত হলে পেট খারাপ হতে পারে, যা হজমের অস্বস্তি তৈরি করে। অনেকে চায়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খান, সামান্য লেবুর রসে সমস্যা নেই তবে আস্ত সাইট্রাস ফল চায়ের সঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

 

ঝাল খাবার

চায়ের সঙ্গে পাকোড়া, পুড়ি, সিঙ্গারা ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের খাবার চায়ের সূক্ষ্ম স্বাদকে নষ্ট করতে পারে। সেইসঙ্গে ঝাল জাতীয় খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন এবং চায়ে থাকা ট্যানিনের সংমিশ্রণ গ্যাস্ট্রিক জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চায়ের সঙ্গে যেকোনো ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন কাঁচা শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং লেবু স্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য অপরিহার্য। তবে এগুলো চায়ের সঙ্গে খাওয়া হলে তা আয়রনের মতো নির্দিষ্ট খনিজ শোষণে বাধা দিতে পারে। চায়ে অক্সালেট নামক যৌগ রয়েছে, যা খনিজের সঙ্গে আবদ্ধ হয় এবং তার শোষণকে বাধা দেয়। তাই চায়ের সঙ্গে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় ওটস কতটা কার্যকর?

কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সকালের খাবার না খেয়ে কাজে বেরিয়ে পড়েন। যদিও এই অভ্যাস ভালো নয়। এর কারণে শরীরে হাজারো রোগ বাসা বাঁধতে পারে। শুধু তাই নয়, ওজনও বেড়ে যেতে পারে অনেকটা। এ ক্ষেত্রে ওটস হতে পারে মুশকিল আসান। 

রাতেই ভিজিয়ে রেখে দিতে পারেন ওটস। সকালে পাঁচ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে পুষ্টিকর এ খাবার। সময়ও বাঁচবে আর পেটও ভরা থাকবে অনেক ক্ষণ।

 

 আর কী কী উপকার হবে?

 

» ওটসে সহজপাচ্য ফাইবার রয়েছে। এসব উপাদান ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো।

» ওটসের সহজপাচ্য ফাইবার রক্তে থাকা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সামগ্রিকভাবে হার্ট ভালো রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ওটস কার্যকর।

» ক্যালোরি কম এবং ‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট’ থাকায় স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছেও ওটসের কদর রয়েছে। ফাইবারে সমৃদ্ধ এই খাবার খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে।

সতর্কতা- উল্লেখিত তথ্যগুলো পরামর্শস্বরূপ। ওজন কমাতে আরও ভালো ফল পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও নিয়ম মেনে চলুন।

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭