পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা জরুরী প্রয়োজন!

পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা জরুরী প্রয়োজন!

চিঠিপত্র ডেস্ক, টাঙ্গাইলদর্পণ.কম :

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড একটি ব্যস্ত ও জনগুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড। তাছাড়া এই বাসস্ট্যান্ডের সাথেই অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী পাকুল্যা বাজার। বহুদিন যাবৎ এই বৃহৎ অঞ্চলের মানুষের জন্য পাকুল্যা বাজারটির গুরুত্ব অপরিসীম। জেলার মির্জাপুর, দেলদুয়ার উপজেলার অগণিত যাত্রীসহ নাগরপুর উপজেলার কিয়দঞ্চলের যাত্রী এই পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকে। 


তাই বলা যায় পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড টাঙ্গাইল জেলার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড। এই বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ও টাঙ্গাইল জেলার বেশির ভাগ অঞ্চলের গাড়িসহ শেরপুর, জামালপুর ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার অগণিত যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ি এই মহাসড়ক দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকে। তাই এখানে যাত্রী ও গাড়ির চাপ সব সময় অনেক বেশি থাকে। অগণিত গাড়ি চলাচলের জন্য এই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাকুল্যা অংশটি এখন এই অঞ্চলের সাধারণ পথচারীদের জন্য এক মরণ ফাঁদ। 



মাঝে মাঝেই সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক যাত্রী বা পথচারী আহত হয়। অনেক সময় প্রাণহানিও পর্যন্ত ঘটছে। গত ১৬ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এই পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন শিউলী বেগম (৪০) উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের সুলতান মিয়ার স্ত্রী। তার মেয়ে সুমনাকে (১০) উপজেলার জামুর্কীস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পাকুল্যা-জামুর্কী এই জায়গাতে রাস্তা পারাপারের সময় এই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অনেক লোক আহতসহ জীবননাশ হয়েছে। 
অনেক সময় স্থানীয় যাত্রী বা পথচারীদের পারাপারের সময় দীর্ঘ যানজট পর্যন্তও লেগে যায়। তাই এই জায়গায় ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা একান্তই প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডের পাশেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান ফটকের সামনে হাইওয়ে পারাপারে ছাত্র-ছাত্রীদের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। ওপর পাশে সাফদার আলী মহাবিদ্যালয় অবস্থিত। প্রতিদিন সাটিয়াচড়া উচ্চবিদ্যালয়, জামুর্কী উচ্চবিদ্যালয়, সাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মির্জাপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কুমুদিনী সরকারি মহিলা কলেজসহ টাঙ্গাইল জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী পার হয় এই মহাসড়ক। 

এ অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে সড়ক পারাপারের জন্য ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। এলাকার স্থানীয় সাধারণ পথযাত্রী ও ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে একটি ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা একান্তই প্রয়োজন। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, উল্লিখিত জায়গায় জরুরিভিত্তিতে ফুটওভারব্রিজ স্থাপন বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা হোক।

লেখক : মোহাম্মদ হেলালুজ্জামান।