
'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দিল্লির বিবৃতি অনাকাঙ্ক্ষিত-অনভিপ্রেত'
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নয়াদিল্লির বিবৃতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৫ই ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ৫ই ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে।
বাঙালি পরিচয় ও গৌরবকে লালন করা স্বাধীনতা সংগ্রামকে যারা মূল্য দেন, তারা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় এই বাসস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করা উচিত।
জয়সওয়ালের বক্তব্যের বিষয়ে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ওই বিবৃতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের এই মন্তব্য অনাকাঙিক্ষত ও অনভিপ্রেত। প্রতিবেশী দেশেও আমরা বিভিন্ন অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি দেখেছি। কিন্তু অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বাংলাদেশ বিবৃতি দেয় না। অন্যান্য দেশের কাছেও বাংলাদেশ একই প্রত্যাশা করে। #
রাজনীতি

পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছে, জেলেনস্কির সঙ্গে হবে: নিউ ইয়র্ক পোস্টকে ট্রাম্প
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পুতিন এবং ট্রাম্পে মধ্যে এটিই প্রথম সরাসরি কথোপকথন।
নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে ট্রাম্প তাদেরকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কতবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, এ প্রশ্নের জবাব না দেওয়াই ভালো। তিনি (পুতিন) মানুষের মৃত্যু বন্ধ হওয়া দেখতে চান।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আশা করি এটা দ্রুত হবে। প্রতিদিনই লোকজন প্রাণ হারাচ্ছেন। ইউক্রেনে এ যুদ্ধ খুবই বাজে প্রভাব ফেলেছে। আমি জঘন্য এই জিনিসটি শেষ করতে চাই।’
ট্রাম্প নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সব সময়ই ভালো এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তাঁর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য ট্রাম্প দেননি।
নিউইয়র্ক পোস্টে ট্রাম্পের ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর রাতে রয়টার্স থেকে এ বিষয়ে জানতে ক্রেমলিন এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কারও কাছ থেকেই সাড়া মেলেনি।
তবে রুশ বার্তা সংস্থা তাস-কে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু জানি না, কিছু সম্পর্কে অজ্ঞও হতে পারি। অতএব, এক্ষেত্রে, আমি এটি নিশ্চিত বা অস্বীকার করতে পারি না।"
গত মাসের শেষ দিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে প্রস্তুত আছেন। ওয়াশিংটনও প্রস্তুত, এমন কথা শোনার অপেক্ষায় আছে মস্কো।
শুক্রবার ট্রাম্প আরও বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন।
আন্তর্জাতিক

গ্রেফতার আতঙ্কে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকা পুরুষশূন্য
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
গাজীপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনার পর গাজীপুর মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের ধীরাশ্রম এলাকা কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া গাজীপুরসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হওয়ার খবরে ওই এলাকায় বয়স্ক নারী ছাড়া অন্য নারীরাও বাড়িঘর ত্যাগ করেছেন।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের সোনালী রঙের প্রধান ফটকটি বন্ধ। ফটকের সামনে কাচের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি সম্মাননা স্মারক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য লাঠিসোঁটা, জুতা ও জামাকাপড় পড়ে আছে। রাস্তাটি দিয়ে লোকজনের চলাফেরা খুবই সীমিত। আশপাশের বাড়িঘরগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক নেই। শুক্রবার রাতের ঘটনার পরপরই সবাই পালিয়ে গেছেন। কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় কেবল বয়স্ক নারীরা রয়েছেন। বাকিরা চলে গেছেন অন্যত্র। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক।
আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের মসজিদটিও তালাবদ্ধ। জোহরের আজান হয়নি। আশপাশের পরিবেশ নীরব ও নিস্তব্ধ। ধীরাশ্রম-টঙ্গী সড়কের দুই পাশে ঘটনাস্থলের কাছে সব দোকানপাট বন্ধ। দিনভর গণমাধ্যমের কর্মীদের আনাগোনা ছিল সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দেওয়া দোতলা দৃষ্টিনন্দন বাড়িটির সামনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, রাতে ছাত্রদের নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। কেউ এগিয়ে গিয়ে ছাত্রদের রক্ষা করতে গেলে তাদেরও নাজেহাল হতে হয়েছে। ছাত্ররা সেখানে লুটপাট ও ভাঙচুর করতে যায়নি। তারা ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন একজোট হয়ে ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়েছে। আহত ছাত্রদের হাসপাতালে নিতে গেলেও তারা বাধা দেয়। অভিযানের কথা শুনে বাড়ি ছেড়ে সবাই পালিয়ে গেছে।
শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা চলে গেলেও শেষ মুহূর্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কের পাশে এক ছাত্রকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে এক দুর্বৃত্ত। মোবাশ্বির হোসেন নামে ওই শিক্ষার্থীর ডান হাতের কনুইয়ের নিচে গুলি লাগে। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুলির খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ফের শহরের রাজবাড়ী সড়কে এসে বিক্ষোভ করেন। তারা মিছিল-স্লোগানে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। শিগগিরই ওই দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের সোনালী রঙের প্রধান ফটকটি বন্ধ। ফটকের সামনে কাচের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি সম্মাননা স্মারক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য লাঠিসোঁটা, জুতা ও জামাকাপড় পড়ে আছে। রাস্তাটি দিয়ে লোকজনের চলাফেরা খুবই সীমিত। আশপাশের বাড়িঘরগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক নেই। শুক্রবার রাতের ঘটনার পরপরই সবাই পালিয়ে গেছেন। কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় কেবল বয়স্ক নারীরা রয়েছেন। বাকিরা চলে গেছেন অন্যত্র। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক।
আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের মসজিদটিও তালাবদ্ধ। জোহরের আজান হয়নি। আশপাশের পরিবেশ নীরব ও নিস্তব্ধ। ধীরাশ্রম-টঙ্গী সড়কের দুই পাশে ঘটনাস্থলের কাছে সব দোকানপাট বন্ধ। দিনভর গণমাধ্যমের কর্মীদের আনাগোনা ছিল সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দেওয়া দোতলা দৃষ্টিনন্দন বাড়িটির সামনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, রাতে ছাত্রদের নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। কেউ এগিয়ে গিয়ে ছাত্রদের রক্ষা করতে গেলে তাদেরও নাজেহাল হতে হয়েছে। ছাত্ররা সেখানে লুটপাট ও ভাঙচুর করতে যায়নি। তারা ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন একজোট হয়ে ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়েছে। আহত ছাত্রদের হাসপাতালে নিতে গেলেও তারা বাধা দেয়। অভিযানের কথা শুনে বাড়ি ছেড়ে সবাই পালিয়ে গেছে।
শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা চলে গেলেও শেষ মুহূর্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কের পাশে এক ছাত্রকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে এক দুর্বৃত্ত। মোবাশ্বির হোসেন নামে ওই শিক্ষার্থীর ডান হাতের কনুইয়ের নিচে গুলি লাগে। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুলির খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ফের শহরের রাজবাড়ী সড়কে এসে বিক্ষোভ করেন। তারা মিছিল-স্লোগানে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। শিগগিরই ওই দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
জাতীয়

গ্লোবাল র্যাংকিং এ সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী, বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?
বিশ্বের প্রতিটি দেশের পাসপোর্ট সক্ষমতা নিয়ে সম্প্রতি একটি সূচক তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। এই সূচকে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট এখন সিঙ্গাপুরের।
বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দুর্বল পাসপোর্টের কোনো দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কয়টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, এই তথ্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচক তৈরি করা হয়।
গত ১৯ বছর ধরে বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠানটি র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে।
সূচক অনুযায়ী, এ বছরের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ১৯৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে- ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন। দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
অপরদিকে সূচকের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে- অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন। এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে গ্রিস, নিউজিল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৭টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৬টি দেশে।
সপ্তম স্থানে থাকা কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, মাল্টা ও পোল্যান্ডের পাসপোর্টধারীরা ১৮৫টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
সূচকের অষ্টম স্থানে আছে এস্তোনিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৪টি দেশে।
সূচকে নবম অবস্থানে রয়েছে- ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এই পাঁচ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
দশম অবস্থানে থাকা আইসল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮২টি দেশে।
এদিকে এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম। লিবিয়া এবং ফিলিস্তিন একই তালিকায় রয়েছে। এই তিন দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৩৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৭তম। অর্থাৎ এবার দেশটি চার ধাপ এগিয়েছে। এদিকে পাসপোর্ট সূচকে ভারতের অবস্থান ৮০তম, ভূটানের ৮৩তম, মিয়ানমার ৮৮ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ৯৬তম।
সূচকে নবম অবস্থানে রয়েছে- ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এই পাঁচ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক

পুলিশের ডিআইজিসহ ৪ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা আটক
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ পুলিশের একজন ডিআইজি ও তিনজন পুলিশ সুপারকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।
একই দিন রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেরণ করে। এছাড়া রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আটক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-ঘুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল।
বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।
আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটি টিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন।
জানা যায়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নজরুলসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়।
একই দিন রাজশাহী সারদা একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশ একাডেমির সহায়তায় তাকে আটক করে ঢাকার গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেরণ করে। এছাড়া রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আটক ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
একটা সময় তার বিরুদ্ধে খুন-ঘুমসহ অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগের অনেক অভিযোগ উঠেছিল।
বিসিএস ২৭ ব্যাচের আবুল হাসনাত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ২০২৪ সালের নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন।
আর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে এসপি থাকাকালীন নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শক্তি প্রয়োগ করেন। এর আগে সিটি টিসিতে পুলিশ সুপার থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে ২৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন। নির্বাচন ও পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শক্তি প্রয়োগ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন।
জানা যায়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত রাখা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নজরুলসহ আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
জাতীয়

প্রথম ধাপের ৬ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
শনিবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইট এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। উল্লেখ্য, ছয় কমিশনের সর্বসম্মত যে সুপারিশমালা প্রকাশ করা হয়েছিল, তা এখনো ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে অক্টোবরে প্রথম ধাপে রাষ্ট্রের ছয়টি খাত সংস্কারে কমিশন গঠন করে।
এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয় ৫ ফেব্রুয়ারি।
এখন বাকি রয়েছে নভেম্বরে দ্বিতীয় ধাপে গঠিত আরও পাঁচ কমিশনের (গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন) প্রতিবেদন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা
ছয়টি সংস্কার কমিশন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঐকমত্য কমিশন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ; যিনি সংবিধান সংস্কার কমিশনেরও প্রধান।
বাকি পাঁচ সংস্কার কমিশন প্রধানরা হচ্ছেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
তারা হলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক -সুজন এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপন সচিব সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
সম্প্রতি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ছয়টি কমিশনের কার্যক্রম ৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে। সেদিন থেকেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু। সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির কাছে পাঠানো হবে। এরপর রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বসবে বলে আশা করছি। তারিখ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলমও বলেছেন, ছয় কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে কথা বলবে ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কথার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে কতটুকু সংস্কার আসলে দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই সনদ প্রণয়ন করবে সরকার। পুরো সংস্কারগুলো নিয়ে সবাই ঐকমত্যে আসবেন। ধরেন ৫ হাজার সংস্কারের মধ্যে ২ হাজারের ব্যাপারে ঐকমত্যে এলেন, এই কনসেনসাসে যেটা রিচ হবে, সবাই একমত হবে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে। স্বাক্ষর করার পর যেটা দাঁড়াবে সেটা হবে ‘জুলাই চার্টার’।
শনিবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইট এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। উল্লেখ্য, ছয় কমিশনের সর্বসম্মত যে সুপারিশমালা প্রকাশ করা হয়েছিল, তা এখনো ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
ছয়টি সংস্কার কমিশন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঐকমত্য কমিশন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতীয়

চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে।
জাপান সরকারের এনএইচকে সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মুহাম্মদ ইউনূস। গত বুধবার তিনি ঢাকায় সাক্ষাৎকারটি দেন। তিনি কীভাবে দেশ পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছেন, সে কথাও সাক্ষাৎকারে বলেন।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস।
এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ যাতে স্বনির্ভর হয়, শক্তিশালী হয়, সেটি নিশ্চিত করতে চান শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি মনে করি, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ, এটি ছিল পুরোপুরি বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা—সবকিছুই বিধ্বস্ত।’
গণতান্ত্রিক দেশের জন্য নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় হতে পারে চলতি বছরের শেষ দিক।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যখন নির্বাচন হবে, যারা নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসবে, তারা কাজ করার জন্য খুব নিরাপদ ও দৃঢ় ভিত্তি পাবে।
দেশের তরুণেরা ভবিষ্যতে প্রভাবশালী হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানে তরুণেরা মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তরুণেরা কী করতে চায়? তারা তাদের সৃজনশীল শক্তি দেখাতে চায়। এবং তা বাকি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চায়। সুতরাং আমাদের মনে এই আকাঙ্ক্ষাটাই আছে। দেখা যাক, কীভাবে আমরা এগোতে পারি।’
বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জাপানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।#
রাজনীতি

ইসরাইলই গাজা দখল করে আমেরিকার হাতে তুলে দেবে: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দম্ভ করে বলেছেন, গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে চলে আসবে, তবে সে কাজ করার জন্য কোনো মার্কিন সেনার প্রয়োজন হবে না।
তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) নিজ সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন। ওই পোস্টে তিনি গাজাবাসীকে এই উপত্যকা থেকে বহিষ্কার করে সেটি দখল করার যে পরিকল্পনা আগে উত্থাপন করেছিলেন সে ব্যাপারে নতুন করে আরো বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার পোস্টে বলেন, “যুদ্ধ শেষে ইসরাইল গাজা উপত্যকাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে।” ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে দেয়া ওই পোস্টে ট্রাম্প আরো বলেন, “এ কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনার প্রয়োজন হবে না! মধ্যপ্রচ্যের স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।”
গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রথম গাজাবাসীকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিশেষ করে মিশর ও জর্দানে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। কায়রো ও আম্মানসহ প্রায় সব আরব দেশ এবং আরব লীগের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যাান করা হয়। এছাড়া, খোদ গাজাবাসী ফিলিস্তিনিরা গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যা মোকাবিলা করে এই উপত্যকায় টিকে রয়েছেন। তারাও ট্রাম্পের আহ্বানকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
কিন্তু তারপরও গোঁয়াড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দৃশ্যত তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে নারাজ। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উয়িটকফ রিপাবলিকান সিনেটরদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বলেছেন, গাজা দখলের কথিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ট্রাম্প সেখানে কোনো সেনা পাঠাবেন না এবং কোনো ডলারও খরচ হবে না। #
আন্তর্জাতিক

শেখ হাসিনাকে থামাতে ঢাকায় ভারতীয় দূতকে তলব
ভারতের দিল্লিতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রমাগত মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ায় ভারতের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ (বৃহস্পতিবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে তার হাতে একটি প্রতিবাদপত্র তুলে দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রতিহত করার বিষয়ে ভারতকে আমরা লিখিতভাবে অনুরোধ করেছি যে তিনি যাতে এ ধরনের বক্তব্য, বিবৃতি না দেন। এটা বাংলাদেশের বিপক্ষে যাচ্ছে। আমরা এখনো এটার কোনো জবাব পাইনি। গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহের কারণে আজ আমরা তাদের আবার প্রতিবাদ লিপি দিয়েছি। ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে যাতে তাকে (শেখ হাসিনা) প্রতিহত করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিবাদ নোটের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ, হতাশা এবং গুরুতর আপত্তির কথা তুলে ধরেছে। কারণ এই ধরনের বক্তব্য (শেখ হাসিনার) বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করছে। পাশাপাশি তার এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয় বলেও প্রতিবাদলিপিতে জোর দেওয়া হয় ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে অবিলম্বে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে। ভারতে থাকাকালীন অবস্থায় তাকে (শেখ হাসিনা) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট এবং উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত ৬ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাসহ নানা ঘটনায় ঢাকায় ভারতীয় কূটনীতিকদের অন্তত চারবার তলব করেছে।#
জাতীয়

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুর ‘অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত’: অন্তর্বর্তী সরকার
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাকে "অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত" বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, এই ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়েছে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যকে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটেছে। গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ বা ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল (বুধবার) রাতে এটি ঘটেছে শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়।
শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুটি অংশ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রথমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন, শেখ হাসিনা তাদের অপমান ও অবমাননা করেছেন। শহীদদের মৃত্যু সম্পর্কে অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধমকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন। তিনি দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকিও দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সেই ক্ষতে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলেছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা যদি বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব।
ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলেছে।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাকে "অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত" বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, এই ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়েছে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যকে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটেছে। গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ বা ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল (বুধবার) রাতে এটি ঘটেছে শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়।
শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুটি অংশ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রথমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন, শেখ হাসিনা তাদের অপমান ও অবমাননা করেছেন। শহীদদের মৃত্যু সম্পর্কে অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধমকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন। তিনি দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকিও দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে, সেই ক্ষতে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলেছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা যদি বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব।
ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা সরকার খতিয়ে দেখবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলেছে।
জাতীয়

বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস'র সিইও সুজিত চক্রবর্তী কর্তৃক হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে 'মানববন্ধন'
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বেসরকারি টিভি চ্যানেল 'এস'র সিইও সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে গত ৮ আগস্ট সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মম ভাবে কুপিয়েছে হাফিজুর রহমান শফিকসহ পেশাদার ৬ জন সংবাদকর্মীদের। উক্ত ঘটনায় সাংবাদিক শফিক অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে, হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা করার পরেও থানা পুলিশ আসামী ধরতে অনীহা প্রকাশ করায় বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য ও ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার সোসাইটি আজ (বৃহস্পতিবার) যৌথ ভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
ছাত্র জনতার গণহত্যায় সহায়তাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়া ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসাবে কাজ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বক্তব্য জানতে চাইলে চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষ সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস'র অফিসে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক এইচ আর শফিক, ইমন, তারেক, কামাল, রাজা ও সবুজের উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে।
উক্ত হামলায় আহত সাংবাদিকদের পক্ষে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মানববন্ধন সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা পতিত আ.লীগ সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত চ্যানেল এস'র চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, সিইও সুজিত চক্রবর্তীসহ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, জুলাইয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে চ্যানেল এস' আ.লীগের পক্ষ নিয়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রপাগান্ডা চালিয়েছে ও গণহত্যার সহায়তা করেছে। আ.লীগের দীর্ঘ ১৭ বছরের অপকর্ম, লুটপাটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্যই ওই বেসরকারি চ্যানেল এস'টিকে উপহার হিসেবে ইসমত কাদের গামাকে দিয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। চ্যানেল এস'র মালিক গামার ঘনিষ্ঠ সরকারি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে সুজিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর চ্যানেল এস'র গণহত্যা সহায়তা, দেশবিরোধী গুপ্তচর ও দুর্বৃত্তপনার সংবাদের অনুসন্ধানে তথ্য বহুল ফলোআপ প্রতিবেদনের সরাসরি বক্তব্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিকসহ তার টীম নিয়ে ওই অফিসে গেলে তাদের ওপর সুজিত চক্রবর্তী ও তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও জামিন অযোগ্য পেলান কোড ১৮৬০ অপরাধের মামলায়ও খাস কামড়ায় বিচারক আসামিদের জামিন দিয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও তার দোসরদের এই ঔদ্ধত্ত ভূমিকা হতাশার। সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িত ভারতীয় র এর এজেন্ট সুজিত চক্রবর্তীসহ অবিলম্বে সকল সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।
রক্ত মানব কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এইচএম মোরশেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মহাসচিব মো. মাসুদ, বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ঐক্য' প্রতিষ্ঠাতা মুখপাত্র, ক্রাইমনিউজবিডি২৪ এর সম্পাদক মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন, বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ওয়াল্ড নিউজ এর সম্পাদক সাগর চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য- তদন্ত চিত্রের সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সহ আরও অনেক সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।

জাতীয়

রাজধানীতে মঞ্চস্থ হলো পথ নাটক ‘পরশ পাথর’
খোন্দকার এরফান আলী বিপ্লব, মহানগর প্রতিনিধি:
৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মঞ্চস্থ হলো ঝিনাইদহের বনলতা নাট্য সংসদের "পরশ পাথর" নাটকটি। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় 'বিপ্লবের নতুন সূর্যে শানিত বাংলাদেশ' শীর্ষক শ্লোগানে' গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে জাতীয় পথ নাট্যোৎসব-২০২৫। উৎসবটি চলবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

উৎসবের তৃতীয় দিনে ফরহাদ হোসেন জনি'র রচনা ও নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় নাটক পরশ পাথর। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন রোহান, আরিফা জাহান সুইটি, তানভীর আহমেদ, পীযুশ, মো:অপু, সাঈদ ইসলাম আদর, সাইফুল ইসলাম শান্ত, হাফিজুর রহমান পলাশসহ আরো অনেকে।
পথ নাটকটি প্রসঙ্গে বনলতা নাট্য সংসদের দলীয় প্রধান বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক, নির্দেশক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, কবি ও সংগঠক পথিক শহিদুল বলেন, 'এই নাটক শুধু একটি পরিবারের গল্প নয়, এটি আমাদের সমাজের আয়না। আমরা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে যতটা কথা বলি, ততটাই কি তাদের জায়গা দিতে পেরেছি, এই নাটক সেই প্রশ্ন তোলে।
একজন মা তার সন্তানকে আঁকড়ে ধরেছে, তাকে মানুষের মতো মানুষ করতে চায়। কিন্তু সমাজ? তারা কি এই শিশুকে মানুষ হিসেবে দেখতে রাজি?
এই নাটক শুধু তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের দুর্দশা নিয়ে নয়, এটি একটি সংগ্রামের গল্প। একজন মায়ের লড়াই, তার সন্তানের লড়াই, এবং আমাদের সমাজের প্রতি এক নির্মম প্রশ্ন।
আমি চাই, আপনারাও সমাজের জন্য কিছু করবেন, ভাববেন। সমাজ বদলানোর জন্য আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। যদি এই নাটক একজন মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তন করতে পারে, তবে সেটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় জয়।
উল্লেখ্য যে, বিপুল সংখ্যক দর্শক নাটকটি উপভোগ ও নাটকটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শিল্পী, কলাকুশলীর প্রশংসা করেন।
৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মঞ্চস্থ হলো ঝিনাইদহের বনলতা নাট্য সংসদের "পরশ পাথর" নাটকটি। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় 'বিপ্লবের নতুন সূর্যে শানিত বাংলাদেশ' শীর্ষক শ্লোগানে' গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে জাতীয় পথ নাট্যোৎসব-২০২৫। উৎসবটি চলবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

জাতীয়

আবারো ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতিতে ট্রাম্প
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে মূলত তিনি তার প্রথম মেয়াদের নীতিতে ফিরে গেলেন।
নির্বাহী আদেশের সই করার পর এবং সফররত ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকের আগ মুহূর্তে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি এই নির্বাহী আদেশে সই করতে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদেশটির কথা উল্লেখ করে বলেন, “সবাই চায় আমি এটি স্বাক্ষর করি। আমি তা করেছি এবং এটি ইরানের জন্য খুবই কঠিন হবে।”
এরপর ট্রাম্প দাবি করেন, আমেরিকা ইরানের সাথে একটি চুক্তি করতে চায়। তিনি বলেন, “আমরা দেখব আমরা ইরানের সাথে একটি চুক্তির ব্যবস্থা করতে পারি কিনা বা কাজ করতে পারি কিনা।”
ট্রাম্প বলেন, তিনি আদেশটি স্বাক্ষর করে খুশি নন কিন্তু আমেরিকাকে শক্তিশালী এবং দৃঢ় করার ক্ষেত্রে তার কাছে অনেক বিকল্প নেই।
হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিষয়বস্তু প্রকাশ করেনি।#
আন্তর্জাতিক

সীমান্তের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহবান : সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ
সীমান্তের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহবান জানান সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এই আহবান জানান সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায।
সীমান্তের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, গত কিছুদিন যাবৎ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা সমূহে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশি কৃষকের উপর গ্রেনেড, গুলি ও মটার শেল নিক্ষেপ করছে। গত ছয় মাসে ভারত ৬৬৮ (ছয়শত আটষট্টি) রাউন্ড গুলি, ২৯৭ (দুই শত সাতানব্বই) টি বিভিন্ন রকম গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এছাড়াও অতিরিক্ত আরও ৩৪৬ রাউন্ড গুলি চালানোর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এ সময় পাম্প অ্যাকশন গানের সঙ্গে ব্যবহার করেছে ইনসাস- বেরেটা পিস্তল, গ্রেনেডের সঙ্গে ব্যবহার করেছে মর্টার শেল। জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশিদের উপর সব চেয়ে বেশি গুলি ও গ্রেনেডের ব্যবহার করেছে বিএসএফ। যতদিন যাচ্ছে ততই বিএসএফ কে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। শুধুমাত্র নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে ভারতের এমন অবৈধ ও বেআইনি কর্মকান্ড বলে আমরা মনে করছি।
এ সময় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) কে সর্বদা সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, সীমান্ত এখনো সম্পূর্ণরুপে সুরক্ষিত হয়নি। যা গত কিছুদিন ঘটে যাওয়া কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলেই দৃশ্যমান হবে। কিছু দিন পূর্ব থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, শান্ত সিমান্তে হঠাৎ করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গত ৫ আগষ্টের পর ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের মধ্যে দিয়ে সীমান্ত উত্তেজনা শুরু হয়। ভারতীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দগণ রাজনৈতিক সুবিধা নিতে বিএসএফ কে ব্যবহার করে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং স্থলবন্দর অভিমুখে বিভিন্নরকম কর্মসূচি দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাঁধা সৃষ্টি করে। সনাতনী ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে নানাবিধ অযুক্তিক কর্মসূচি পালন করে এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে ফেনীর সীমান্তবর্তী এলাকা বিলোনিয়া সীমান্তে এসে উস্কানিমূলক আচরণ করে মোহাম্মদ ইলিয়াসকে ধরে নিয়ে যায়।
আসামের করিমগঞ্জ সিমান্তে সনাতনী ঐক্য মঞ্চের বাঁধার কারণে সিলেটের জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে য়ায়। ৬ জানুয়ারি চাঁপাইনবয়াবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের চৌকা সিমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ উত্তেজনা সৃষ্টি করে যা মাসব্যাপী চলতে থাকে। ৮ জানুয়ারি বুধবার নওগাঁ জেলার ধমরাইটা এর বস্তাধর সিমান্তে গোলযোগ সৃষ্টি করে ভারতীয় বাহিনী। লালমনিরহাটের দহগ্রাম সিমান্তে নোম্যান্সল্যান্ডে কাঁটাতারের বেড়া নির্মানের অযুহাতে গোলযোগ সৃষ্টি করে। ১৩ তারখি সাতক্ষীরায় ফাঁকা গুলি করে এবং কৃষি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। কুমিল্লার আদর্শ সদরের জগন্নাথপুরে নোম্যান্সল্যান্ডে কাঁটাতারের বেড়া নির্মান। চাপাইনবাবগঞ্জে কৃষককে গুলি করে আহত করা ও সুনামগঞ্জের বিসম্বরপুরে সাইদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যাসহ অসংখ্য ঘটনার জন্মদেয় ভারতীয় বাহিনী। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে গোলযোগ সৃষ্টি ও একটি জাতিগত সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা চলাচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং দেশের সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় নিয়জিত রাষ্ট্রীয় বাহিনী সমূহের সদস্যদের নজরদারি বৃদ্ধি ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ষড়যন্ত্র সমূহের চিহ্ন অনুসন্ধান পূর্ব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আহবান করেন এবং সীমান্তবর্তী এলাকা সমূহের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায। বিবৃতিতে আশঙ্কা করে বলেন, ভারতীয় বাহিনী আপাতত শান্ত থাকলেও যেই কোনো মহূর্তে রূপ পরিবর্তন করে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তাই সীমান্তবর্তী এলাকা সমূহের জনগণকে সর্তকতার পাশাপাশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা ও প্রতিহত করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
জাতীয়

২০৫ জনকে বিমানে তুলে আমেরিকা থেকে অবৈধ ভারতীয়দের প্রত্যাবাসন শুরু
আমেরিকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২০৫ ভারতীয়কে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীর বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন, তার অংশ হিসেবে অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
টেক্সাস থেকে সামরিক বিমানে করে তাদের ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রথম ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের এভাবে ‘ডিপোর্ট’ করল ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর আরও বহু ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ হতে পারে বলে জানা গেছে। তার আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এভাবে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।
ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভি জানিয়েছে, অভিবাসী প্রত্যাবাসনে আমেরিকার সামরিক ফ্লাইটের সবচেয়ে দূরতম গন্তব্য হচ্ছে ভারত। টেক্সাসের এল পাসো এবং ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়োগো থেকে পাঁচ সহস্রাধিক অবৈধ অভিবাসীকে প্রত্যাবাসনে ফ্লাইট ঘোষণা করেছে ভারত।
ট্রাম্প গত মাসে সাংবাদিকদের বলেন, “ইতিহাসে প্রথমবারের মত আমরা অবৈধ অভিবাসীদের ধরে সামরিক বিমানে তুলছি এবং তারা যেখান থেকে এসেছিল, সেখানেই পাঠানো হচ্ছে।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকা থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মোদী শেষ পর্যন্ত ‘যা সঠিক তাই করবেন’।
ভারত ও আমেরিকা ১৮ হাজার ভারতীয় অভিবাসীকে শনাক্ত করেছে, যারা অবৈভাবে দেশটিতে অবস্থান করছেন।
এনডিটিভি লিখেছে, ট্রাম্প তার অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নে প্রায়ই সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের রাখতে সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করছেন এবং অভিবাসীদের ফেরাতে ব্যবহার করছেন সামরিক বিমান।
অভিবাসনের পাশাপাশি ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক খড়্গের ঘোষণা দিয়েছেন। একই ধরনের ব্যবস্থা ইউরোপের জন্যও ভাবছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিবাসন প্রশ্নে জরুরি ঘোষণার অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে সামরিক ফ্লাইট চালু করেন ট্রাম্প। এ পর্যন্ত অভিবাসীবাহী ছয়টি ফ্লাইট গেছে লাতিন আমেরিকায়। দুটি মার্কিন সি-১৭ কার্গো বিমান অবতরণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অভিবাসীদের ফেরাতে কলম্বিয়া নিজস্ব উড়োজাহাজ পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করে। এ নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের পর চারটি ফ্লাইট গুয়াতেমালায় অবতরণ করে।#
আন্তর্জাতিক

আমাদের যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই রয়েছি : ড. ইউনূস
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বললেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এমন সতর্ক থাকতে হবে, যেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছি। এ বছর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না।
এসময় নিরাপত্তা বাহিনীকে নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে কোনো আক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, যদি আমরা আমাদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের এই বিষয়ে খুবই স্বচ্ছ হতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বললেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এমন সতর্ক থাকতে হবে, যেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছি। এ বছর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না।
এসময় নিরাপত্তা বাহিনীকে নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে কোনো আক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, যদি আমরা আমাদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের এই বিষয়ে খুবই স্বচ্ছ হতে হবে।
জাতীয়

তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা লোকজনকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সোমবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভা শেষে বললেন, তারা (তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী) তো লোকজনকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে। দিনের পর দিন কিন্তু তাদের এ দাবি-দাওয়া বেড়েই চলছে। এটার পেছনে কারা জড়িত সেটাও কিন্তু আপনারা জানেন, এটা কিন্তু আপনারা প্রচার করেন না।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে মহাখালী থেকে উল্টোপথে ফিরে যায় ট্রেন। শিক্ষার্থীদের অবরোধে বর্তমানে মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সোমবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভা শেষে বললেন, তারা (তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী) তো লোকজনকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে। দিনের পর দিন কিন্তু তাদের এ দাবি-দাওয়া বেড়েই চলছে। এটার পেছনে কারা জড়িত সেটাও কিন্তু আপনারা জানেন, এটা কিন্তু আপনারা প্রচার করেন না।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে মহাখালী থেকে উল্টোপথে ফিরে যায় ট্রেন। শিক্ষার্থীদের অবরোধে বর্তমানে মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জাতীয়

ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী তীর থেকে ২০ লাশ উদ্ধার, বাংলাদেশী হওয়ার শঙ্কা : রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী তীর থেকে অন্তত ২০ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব লাশ দেশটির পূর্বাঞ্চলের ব্রেগা উপকূলীয় তীরে ভেসে এসেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ধারণা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব লাশ দেশটির পূর্বাঞ্চলের ব্রেগা উপকূলীয় তীরে ভেসে এসেছে। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।

এরআগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিশিয়াল পেজ থেকে দেওয়া এ সংক্রান্ত একটি পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা তীর থেকে বিগত দুদিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে।
স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ উদ্ধারকৃত লাশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক থাকার আশঙ্কা করলেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এমন প্রেক্ষিতে ওই দুর্ঘটনায় মৃত, আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে যে কোনো তথ্য জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে।
এ বিষয়ে তথ্য জানাতে ফেসবুক কমেন্টে অথবা দূতাবাসের নিম্নোক্ত দাপ্তরিক মোবাইল নম্বরে (+২১৮৯১৬৯৯৪২০২ এবং +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭) যোগাযোগ করা যাবে বলে জানানো হয়। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, দূতাবাস এসব ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।

আন্তর্জাতিক

দুর্বল তদন্ত ন্যায়বিচারের অন্যতম অন্তরায়: প্রধান বিচারপতি
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ শনিবার রাজশাহীতে সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে যোগ দিয়ে বললেন, দুর্বল তদন্ত ও অপেশাদার প্রসিকিউশন বাংলাদেশে ন্যায়বিচারের অন্যতম অন্তরায়। তাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন এবং সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনের বিকল্প নেই।
প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রস্তাবিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিচারিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের নিকট পৃথক সচিবালয় গঠনের জন্য একটি বিশদ প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
এ সময় তিনি উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে জারিকৃত অধ্যাদেশের কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে প্রসিকিউটরদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন, যাতে তারা ন্যায়বিচার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। সেমিনারে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ শনিবার রাজশাহীতে সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে যোগ দিয়ে বললেন, দুর্বল তদন্ত ও অপেশাদার প্রসিকিউশন বাংলাদেশে ন্যায়বিচারের অন্যতম অন্তরায়। তাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন এবং সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনের বিকল্প নেই।
প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রস্তাবিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিচারিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের নিকট পৃথক সচিবালয় গঠনের জন্য একটি বিশদ প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
এ সময় তিনি উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে জারিকৃত অধ্যাদেশের কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে প্রসিকিউটরদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন, যাতে তারা ন্যায়বিচার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। সেমিনারে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয়
