সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১

Logo
Logo

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:

গাজীপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনার পর গাজীপুর মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের ধীরাশ্রম এলাকা কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া গাজীপুরসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হওয়ার খবরে ওই এলাকায় বয়স্ক নারী ছাড়া অন্য নারীরাও বাড়িঘর ত্যাগ করেছেন।


শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের সোনালী রঙের প্রধান ফটকটি বন্ধ। ফটকের সামনে কাচের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি সম্মাননা স্মারক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য লাঠিসোঁটা, জুতা ও জামাকাপড় পড়ে আছে। রাস্তাটি দিয়ে লোকজনের চলাফেরা খুবই সীমিত। আশপাশের বাড়িঘরগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক নেই। শুক্রবার রাতের ঘটনার পরপরই সবাই পালিয়ে গেছেন। কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় কেবল বয়স্ক নারীরা রয়েছেন। বাকিরা চলে গেছেন অন্যত্র। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক।


আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের মসজিদটিও তালাবদ্ধ। জোহরের আজান হয়নি। আশপাশের পরিবেশ নীরব ও নিস্তব্ধ। ধীরাশ্রম-টঙ্গী সড়কের দুই পাশে ঘটনাস্থলের কাছে সব দোকানপাট বন্ধ। দিনভর গণমাধ্যমের কর্মীদের আনাগোনা ছিল সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দেওয়া দোতলা দৃষ্টিনন্দন বাড়িটির সামনে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, রাতে ছাত্রদের নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। কেউ এগিয়ে গিয়ে ছাত্রদের রক্ষা করতে গেলে তাদেরও নাজেহাল হতে হয়েছে। ছাত্ররা সেখানে লুটপাট ও ভাঙচুর করতে যায়নি। তারা ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন একজোট হয়ে ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়েছে। আহত ছাত্রদের হাসপাতালে নিতে গেলেও তারা বাধা দেয়। অভিযানের কথা শুনে বাড়ি ছেড়ে সবাই পালিয়ে গেছে।


শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা চলে গেলেও শেষ মুহূর্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কের পাশে এক ছাত্রকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে এক দুর্বৃত্ত। মোবাশ্বির হোসেন নামে ওই শিক্ষার্থীর ডান হাতের কনুইয়ের নিচে গুলি লাগে। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুলির খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ফের শহরের রাজবাড়ী সড়কে এসে বিক্ষোভ করেন। তারা মিছিল-স্লোগানে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। শিগগিরই ওই দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
 

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পুতিন এবং ট্রাম্পে মধ্যে এটিই প্রথম সরাসরি কথোপকথন।

 

নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে ট্রাম্প তাদেরকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কতবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, এ প্রশ্নের জবাব না দেওয়াই ভালো। তিনি (পুতিন) মানুষের মৃত্যু বন্ধ হওয়া দেখতে চান।

 

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আশা করি এটা দ্রুত হবে। প্রতিদিনই লোকজন প্রাণ হারাচ্ছেন। ইউক্রেনে এ যুদ্ধ খুবই বাজে প্রভাব ফেলেছে। আমি জঘন্য এই জিনিসটি শেষ করতে চাই।’

 

ট্রাম্প নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সব সময়ই ভালো এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তাঁর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য ট্রাম্প দেননি।

 

নিউইয়র্ক পোস্টে ট্রাম্পের ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর রাতে রয়টার্স থেকে এ বিষয়ে জানতে ক্রেমলিন এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কারও কাছ থেকেই সাড়া মেলেনি।

 

তবে রুশ বার্তা সংস্থা তাস-কে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু জানি না, কিছু সম্পর্কে অজ্ঞও হতে পারি। অতএব, এক্ষেত্রে, আমি এটি নিশ্চিত বা অস্বীকার করতে পারি না।"

 

গত মাসের শেষ দিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে প্রস্তুত আছেন। ওয়াশিংটনও প্রস্তুত, এমন কথা শোনার অপেক্ষায় আছে মস্কো।

 

শুক্রবার ট্রাম্প আরও বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নয়াদিল্লির বিবৃতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৫ই ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

 

৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ৫ই ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে।

 

বাঙালি পরিচয় ও গৌরবকে লালন করা স্বাধীনতা সংগ্রামকে যারা মূল্য দেন, তারা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় এই বাসস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করা উচিত।  

 

জয়সওয়ালের বক্তব্যের বিষয়ে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ওই বিবৃতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।

 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের এই মন্তব্য অনাকাঙিক্ষত ও অনভিপ্রেত। প্রতিবেশী দেশেও আমরা বিভিন্ন অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি দেখেছি। কিন্তু অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বাংলাদেশ বিবৃতি দেয় না। অন্যান্য দেশের কাছেও বাংলাদেশ একই প্রত্যাশা করে। #
 

কানাডায় পাচার হওয়া অর্থ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সে দেশের সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 

আজ (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।

 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার শাসনামলের অলিগার্ক ব্যবসায়ী, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশ থেকে শত শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করেছে। যার একটি অংশ কানাডায় পাচার হয়েছে, বিশেষ করে টরন্টোর কুখ্যাত বেগমপাড়া এলাকায় সম্পদ কেনার মাধ্যমে

তিনি কানাডায় পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত, জব্দ এবং পুনরুদ্ধারে সহায়তা চান।

 

কানাডার হাইকমিশনারকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা আমাদের জনগণের টাকা চুরি করে বেগমপাড়ায় সম্পদ কিনেছে। আমরা এই সম্পদ পুনরুদ্ধারে আপনাদের সহায়তা চাই। এটি আমাদের জনগণের সম্পদ।

 

কানাডার হাইকমিশনার অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাকে স্বাগত জানান। প্রধান উপদেষ্টার এ উদ্যোগে কানাডা সরকার সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

 

কানাডার হাইকমিশনার জানান, কানাডার সরকার চিহ্নিত ব্যক্তিদের পাচার করা অর্থ জব্দ এবং তা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি প্রক্রিয়া চালু রেখেছে।

 

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিকে সহযোগিতা প্রদানে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে।

 

রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করে অজিত সিং বলেন, আপনারা যে মহৎ কাজ করছেন, আমরা তা সমর্থন করি। ইতোমধ্যে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। আমরা জানতে আগ্রহী, আরও কিভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি।

 

তিনি বলেন, কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে কানাডার একজন মন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও জানান তিনি।

 

অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।

 

কানাডার হাইকমিশনারকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আপনাদের দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চাই এবং আমরা চাই কানাডীয় কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করুক।

 

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমানে বহু বাংলাদেশি কানাডায় বসবাস ও পড়াশোনা করছে। তাই ঢাকায় কানাডার একটি ভিসা অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন।

 

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।#

আলোচিত খবর

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:

গাজীপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনার পর গাজীপুর মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের ধীরাশ্রম এলাকা কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া গাজীপুরসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হওয়ার খবরে ওই এলাকায় বয়স্ক নারী ছাড়া অন্য নারীরাও বাড়িঘর ত্যাগ করেছেন।


শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের সোনালী রঙের প্রধান ফটকটি বন্ধ। ফটকের সামনে কাচের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি সম্মাননা স্মারক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য লাঠিসোঁটা, জুতা ও জামাকাপড় পড়ে আছে। রাস্তাটি দিয়ে লোকজনের চলাফেরা খুবই সীমিত। আশপাশের বাড়িঘরগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক নেই। শুক্রবার রাতের ঘটনার পরপরই সবাই পালিয়ে গেছেন। কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় কেবল বয়স্ক নারীরা রয়েছেন। বাকিরা চলে গেছেন অন্যত্র। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক।


আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনের মসজিদটিও তালাবদ্ধ। জোহরের আজান হয়নি। আশপাশের পরিবেশ নীরব ও নিস্তব্ধ। ধীরাশ্রম-টঙ্গী সড়কের দুই পাশে ঘটনাস্থলের কাছে সব দোকানপাট বন্ধ। দিনভর গণমাধ্যমের কর্মীদের আনাগোনা ছিল সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দেওয়া দোতলা দৃষ্টিনন্দন বাড়িটির সামনে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, রাতে ছাত্রদের নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। কেউ এগিয়ে গিয়ে ছাত্রদের রক্ষা করতে গেলে তাদেরও নাজেহাল হতে হয়েছে। ছাত্ররা সেখানে লুটপাট ও ভাঙচুর করতে যায়নি। তারা ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজন একজোট হয়ে ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়েছে। আহত ছাত্রদের হাসপাতালে নিতে গেলেও তারা বাধা দেয়। অভিযানের কথা শুনে বাড়ি ছেড়ে সবাই পালিয়ে গেছে।


শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা চলে গেলেও শেষ মুহূর্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কের পাশে এক ছাত্রকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে এক দুর্বৃত্ত। মোবাশ্বির হোসেন নামে ওই শিক্ষার্থীর ডান হাতের কনুইয়ের নিচে গুলি লাগে। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


এ ঘটনার পর শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুলির খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ফের শহরের রাজবাড়ী সড়কে এসে বিক্ষোভ করেন। তারা মিছিল-স্লোগানে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। শিগগিরই ওই দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
 

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পুতিন এবং ট্রাম্পে মধ্যে এটিই প্রথম সরাসরি কথোপকথন।

 

নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে ট্রাম্প তাদেরকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কতবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, এ প্রশ্নের জবাব না দেওয়াই ভালো। তিনি (পুতিন) মানুষের মৃত্যু বন্ধ হওয়া দেখতে চান।

 

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আশা করি এটা দ্রুত হবে। প্রতিদিনই লোকজন প্রাণ হারাচ্ছেন। ইউক্রেনে এ যুদ্ধ খুবই বাজে প্রভাব ফেলেছে। আমি জঘন্য এই জিনিসটি শেষ করতে চাই।’

 

ট্রাম্প নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সব সময়ই ভালো এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তাঁর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য ট্রাম্প দেননি।

 

নিউইয়র্ক পোস্টে ট্রাম্পের ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর রাতে রয়টার্স থেকে এ বিষয়ে জানতে ক্রেমলিন এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কারও কাছ থেকেই সাড়া মেলেনি।

 

তবে রুশ বার্তা সংস্থা তাস-কে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু জানি না, কিছু সম্পর্কে অজ্ঞও হতে পারি। অতএব, এক্ষেত্রে, আমি এটি নিশ্চিত বা অস্বীকার করতে পারি না।"

 

গত মাসের শেষ দিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে প্রস্তুত আছেন। ওয়াশিংটনও প্রস্তুত, এমন কথা শোনার অপেক্ষায় আছে মস্কো।

 

শুক্রবার ট্রাম্প আরও বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন।

বিশ্বের প্রতিটি দেশের পাসপোর্ট সক্ষমতা নিয়ে সম্প্রতি একটি সূচক তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। এই সূচকে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট এখন সিঙ্গাপুরের।

 

বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দুর্বল পাসপোর্টের কোনো দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কয়টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, এই তথ্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচক তৈরি করা হয়। 

 

গত ১৯ বছর ধরে বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠানটি র‌্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। 

 

সূচক অনুযায়ী, এ বছরের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ১৯৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।

 

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। 

 

সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে- ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন। দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। 

 

অপরদিকে সূচকের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে- অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন। এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। 

 

পঞ্চম স্থানে রয়েছে গ্রিস, নিউজিল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৭টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। 

 

ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৬টি দেশে। 

 

সপ্তম স্থানে থাকা কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, মাল্টা ও পোল্যান্ডের পাসপোর্টধারীরা ১৮৫টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। 

 

সূচকের অষ্টম স্থানে আছে এস্তোনিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮৪টি দেশে। 


সূচকে নবম অবস্থানে রয়েছে- ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এই পাঁচ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। 

 

দশম অবস্থানে থাকা আইসল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন ১৮২টি দেশে।

 

এদিকে এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম। লিবিয়া এবং ফিলিস্তিন একই তালিকায় রয়েছে। এই তিন দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৩৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। 

 

গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৭তম। অর্থাৎ এবার দেশটি চার ধাপ এগিয়েছে। এদিকে পাসপোর্ট সূচকে ভারতের অবস্থান ৮০তম, ভূটানের ৮৩তম, মিয়ানমার ৮৮ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ৯৬তম।
 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দম্ভ করে বলেছেন, গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে চলে আসবে, তবে সে কাজ করার জন্য কোনো মার্কিন সেনার প্রয়োজন হবে না।

 

তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) নিজ সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন। ওই পোস্টে তিনি গাজাবাসীকে এই উপত্যকা থেকে বহিষ্কার করে সেটি দখল করার যে পরিকল্পনা আগে উত্থাপন করেছিলেন সে ব্যাপারে নতুন করে আরো বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার পোস্টে বলেন, “যুদ্ধ শেষে ইসরাইল গাজা উপত্যকাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে।” ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে দেয়া ওই পোস্টে ট্রাম্প আরো বলেন, “এ কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনার প্রয়োজন হবে না! মধ্যপ্রচ্যের স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।”

 

গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রথম গাজাবাসীকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিশেষ করে মিশর ও জর্দানে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। কায়রো ও আম্মানসহ প্রায় সব আরব দেশ এবং আরব লীগের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে  ট্রাম্পের ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যাান করা হয়। এছাড়া, খোদ গাজাবাসী ফিলিস্তিনিরা গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যা মোকাবিলা করে এই উপত্যকায় টিকে রয়েছেন। তারাও ট্রাম্পের আহ্বানকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।

 

কিন্তু তারপরও গোঁয়াড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দৃশ্যত তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে নারাজ। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উয়িটকফ রিপাবলিকান সিনেটরদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বলেছেন, গাজা দখলের কথিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ট্রাম্প সেখানে কোনো সেনা পাঠাবেন না এবং কোনো ডলারও খরচ হবে না। #

Site Counter

Online

1

Today

264

Total

6k

স্টাফ রিপোর্টার:

ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৮বছর উদ্যাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষ মাওলানা ভাসানীর দরবার হলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

সোমবার সকাল ১১টায় মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এসময় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সংগঠণের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান এর বিভাগীও প্রধান (অবঃ) প্রফেসর ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ এর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আজাদ খান, মাওলানা ভাসানী কলেজ এর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন ও বিএনপি নেতা এম এ হামিদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা মাওলানা ভাসানী ও ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের বিশেষত্ব তুলে ধরেন। 

 

বক্তারা বলেন, ১৯৫৭ সালের ৬, ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী টাঙ্গাইলের কাগমারীতে মওলানা ভাসানী ৫৪টি তোরণের মধ্য দিয়ে ‘ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন’ উদ্বোধন করেন। কাগমারী সম্মলনে পশ্চিম পাকিস্তানিদের ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম’ বলে পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করেন তিনি। এ সম্মেলনে মওলানা ভাসানী স্বায়ত্তশাসনের যে দাবি জানিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে স্বাধীনতার আন্দোলন দানা বাঁধে। 

 

আজ (১০ ফেব্রুয়ারী) সেই ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৮ বছর। কাগমারী সম্মেলনেই মওলানা ভাসানী সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীর মনে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধিকার আন্দোলন সম্পর্কে ধারণা দেন। কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানীর দাবিকৃত স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই পর্যায়ক্রমে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। 

 

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট (হক-ভাসানী) তৎকালীন পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণ মানুষের ব্যাপক সমর্থনে বিজয়ী হয়। মওলানা ভাসানী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এবং গণ মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে সংঘটিত আন্দোলনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাওলানা ভাসানী কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত তরেন নি। তিনি সব সময় ন্যায়ের পথে এবং -স্রোতের বিপরিতে হেটেছেন, কখনো -স্রোতে গা ভাসান নি। আমরা সব সময় মাওলানা ভাসানীকে অনুকরন ও অনুসরন করেই পথ চলতে চেষ্টা করবো। আলোচনা শেষে মাওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
 

টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক:
৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকালেন অভিষেক শর্মা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে ১৩৫ রানের ইনিংসে চড়ে ভারত তোলে ২৪৭ রানের পুঁজি। জবাবে ইংল্যান্ড অভিষেকের সমান রানটাও তুলতে পারেনি, গুঁটিয়ে গেছে মাত্র ৯৭ রানে। 

 

সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রানের রাজসিক জয় পেয়েছে ভারত। সিরিজ জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। 

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ওপেনিংয়ে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করতেই যেন এসেছেন অভিষেক শর্মা। একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংসে ভারতের ওপেনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেই ফেলেছেন অভিষেক। এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫৪ বলে ১৩৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। ৩৭ বলে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে রান তুলেছেন ভিডিও গেমসের মত ব্যাটিংয়ে। ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ইংলিশ বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন অভিষেক। 

 

একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রান তুলেছেন রকেটের গতিতে। মনে হচ্ছিল যেন ভিডিও গেমসের মত ব্যাটিং চলছে। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৯৫ রান তুলেছে ভারত, যার সিংহভাগ এসেছে অভিষেকের ব্যাট থেকে। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ১৭ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন অভিষেক। পাওয়ারপ্লে শেষেও ছুটেছে অভিষেকের উইলো। মারকাটারী ব্যাটিংয়ে ইংলিশ বোলারদের কচুকাটা করেছেন অভিষেক শর্মা। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে ১১তম ওভারেই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন অভিষেক। মাত্র ৩৭ বলে শতক হাঁকিয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির পরেও অপ্রতিরোধ্য ছিলেন অভিষেক। ৫৪ বলে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে থেমেছেন অভিষেক শর্মা। বাকিদের মধ্যে ১৩ বলে ৩০ রান করেন শিভাম দুবে। ১৫ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিলক ভার্মা। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ভারত। অভিষেকের ১৩৫ রান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড। 

 

এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা শুবমান গিলের অপরাজিত ১২৬ ছিল সর্বোচ্চ। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ব্রাইডন কার্স। ২ উইকেট নেন মার্ক উড। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন আদিল রশিদ, জেমি ওভারটন এবং জফরা আর্চার। জবাব দিতে নেমে শুরুতে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়েছেন ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট। আরেক ওপেনার বেন ডাকেট মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। দলের ২৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান ডাকেট। তিনে নামা অধিনায়ক জস বাটলার ৭ বলে করেছেন ৭ রান। চারে নেমে হ্যারি ব্রুকও সুবিধা করতে পারেননি। ৪ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ব্রুক। সল্ট এক প্রান্তে চালিয়ে গেছেন তাণ্ডব। 

 

পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান তোলে ইংল্যান্ড। লিয়াম লিভিংস্টোন আউট হয়েছেন ৫ বলে ৯ রান করে। সল্ট পেয়েছেন ফিফটির দেখা। দলের ৮২ রানের মাথায় থেমেছেন সল্ট। ২৩ বলে ৫৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন ফিল সল্ট। সেট ব্যাটার সল্টের উইকেট হারানোর পর যেন শনির দশা লাগে ইংল্যান্ডের ইনিংসে। 

 

একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ইংলিশরা। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন জ্যাকব বেথেল, ৭ বলে ১০ রান করেন তিনি। পুরো ইনিংসে সল্ট এবং বেথেল বাদে কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। শেষ ১৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ভারত তুলে নেয় ১৫০ রানের রাজকীয় জয়। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। ২টি করে উইকেট শিকার করেন বরুণ চক্রবর্তী, শিভাম দুবে এবং অভিষেক শর্মা। ১ উইকেট তুলেছেন রবি বিষ্ণই।
 

'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দিল্লির বিবৃতি অনাকাঙ্ক্ষিত-অনভিপ্রেত'

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নয়াদিল্লির বিবৃতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৫ই ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

 

৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ৫ই ফেব্রুয়ারি ধ্বংস করা হয়েছে।

 

বাঙালি পরিচয় ও গৌরবকে লালন করা স্বাধীনতা সংগ্রামকে যারা মূল্য দেন, তারা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় এই বাসস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করা উচিত।  

 

জয়সওয়ালের বক্তব্যের বিষয়ে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ওই বিবৃতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।

 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের এই মন্তব্য অনাকাঙিক্ষত ও অনভিপ্রেত। প্রতিবেশী দেশেও আমরা বিভিন্ন অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি দেখেছি। কিন্তু অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বাংলাদেশ বিবৃতি দেয় না। অন্যান্য দেশের কাছেও বাংলাদেশ একই প্রত্যাশা করে। #
 

চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে।

জাপান সরকারের এনএইচকে সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মুহাম্মদ ইউনূস। গত বুধবার তিনি ঢাকায় সাক্ষাৎকারটি দেন। তিনি কীভাবে দেশ পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছেন, সে কথাও সাক্ষাৎকারে বলেন।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস।

 

এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ যাতে স্বনির্ভর হয়, শক্তিশালী হয়, সেটি নিশ্চিত করতে চান শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।

 

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি মনে করি, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ, এটি ছিল পুরোপুরি বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা—সবকিছুই বিধ্বস্ত।’

 

গণতান্ত্রিক দেশের জন্য নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় হতে পারে চলতি বছরের শেষ দিক।

 

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যখন নির্বাচন হবে, যারা নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসবে, তারা কাজ করার জন্য খুব নিরাপদ ও দৃঢ় ভিত্তি পাবে।

 

দেশের তরুণেরা ভবিষ্যতে প্রভাবশালী হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানে তরুণেরা মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।

 

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তরুণেরা কী করতে চায়? তারা তাদের সৃজনশীল শক্তি দেখাতে চায়। এবং তা বাকি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চায়। সুতরাং আমাদের মনে এই আকাঙ্ক্ষাটাই আছে। দেখা যাক, কীভাবে আমরা এগোতে পারি।’

 

বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জাপানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।#

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লার যুবদলের নেতা তৌহিদুল ইসলামকে সাদাপোশাকধারী লোকেরা ‘নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে সরকার ও প্রশাসনে ঘাপটি মারা আওয়ামী দোসররা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, সেটার অনসুন্ধান জরুরি বলেও মনে করেন ফখরুল।

 

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে সাদাপোশাকধারী লোকেরা বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে।

 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। বিচারবহির্ভূত এমন হত্যার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জনমনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সরকার ও প্রশাসনে আওয়ামী দোসররা ঘাপটি মেরে থেকে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না, সেটি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান জরুরি।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো সরকারি বাহিনীই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অপরাধ সংঘটনকারী যতই শক্তিশালী হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া আইনের শাসনের অন্যতম শর্ত। বিচারবহির্ভূতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করার কোনো অধিকার সরকারি বাহিনীগুলোর নেই।

 

বিবৃতিতে তৌহিদুল ইসলামকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানান মির্জা ফখরুল। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান বিএনপির মহাসচিব।

 

শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কুমিল্লার যুবদল নেতার এ নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার হলো গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা থেকে জাতিকে মুক্তি দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ভীতি থেকে দেশবাসীকে নিরাপদ রাখা। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের যদি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে আবারও দেশে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসবে। মানুষ এক অজানা আশঙ্কায় দিনাতিপাত করবে।

 

নতুন কালেকশন নিয়ে কে ক্র্যাফট

বৈচিত্র্যময় পোশাকের বিশেষ আয়োজন নিয়ে এসেছে কে ক্র্যাফট। তাই সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় কাক্সিক্ষত বা উপযোগী পোশাক নির্বাচনে ক্যাজুয়াল কিংবা এক্সক্লুসিভ সবই মিলবে এবারের আয়োজন থেকে। এছাড়া লম্বা ছুটিতে যেখানেই যান তার জন্য প্রয়োজন স্টাইলিশ কিন্তু রিলাক্সড পোশাক। আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে মানানসই এমনি সব পোশাক থাকবে এবারের আয়োজনে। 

 
মেয়েদের জন্য সালোয়ার কামিজ এবং কুর্তিতে ফ্রক স্টাইল, এ লাইন এবং রেগুলার শেপ ছাড়াও স্ট্রেইট কাট, রাফল, প্লিটেড, বক্স প্লিটেড স্টাইল থাকবে। নিজস্ব ডিজাইনের শাড়িতে মোটিফের ব্যবহার, কালার কম্বিনেশন এবং ভ্যালু অ্যাডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার সকলের দৃষ্টি  কাড়বে। ছেলেদের জন্য রয়েছে পছন্দের ব্র্যান্ড কে ক্র্যাফটের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি। এছাড়াও পাওয়া যাবে স্মার্ট ক্যাজুয়াল শার্ট, এথনিক শার্ট, ফতুয়া। কে ক্র্যাফটের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লার সকল শো-রুম ছাড়াও অনলাইন শপ kaykraft.com থেকে ঈদ আয়োজন এর পোশাক পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী মূল্যে। এছাড়াও অর্ডার করা যাবে ফেসবুক পেজ থেকেও । 

আত্মরক্ষায় মেয়েদের উদ্যোগ

শারীরিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নারীদের নিয়ে সামাজিকভাবে এক প্রকার অবহেলা, উদাসীনতা প্রত্যক্ষ করা যায়। নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে তো অনেকখানিই। আত্মরক্ষা করার সুষম সক্ষমতা মেয়েদের কিছুটা পিছিয়ে রাখে এটাই সমাজ সংস্কারের নিয়ম। সেই আদিকাল থেকে আজ অবধি। কিন্তু যুগের পরিবর্তন, নতুন সময়ের আবেদনে নারীদের সদর্পে এগিয়ে চলা বর্তমানে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অনুষঙ্গ। এখনো শারীরিক শক্তিময়তায় নারী খেলোয়াড়দের অনেক বাধাবিঘœ অতিক্রম করা নজরে আসতে সময় লাগছে না।

সেটাও কম কিছু নয়। কঠিন কর্মযোগে সম্পৃক্ত হতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সুস্থ, সবল শারীরিক সক্ষমতা। ক্রমান্বয়ে তা পারদর্শিতায় রূপ নিতে দেরি হয় না। যা সমতাভিত্তিক সমাজ-বিনির্মাণের নির্ণায়ক। সম্প্রতি এক খবরে মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রস্তুতির ওপর চমকপ্রদ ঘটনা নজরকাড়ার মতো, পরনির্ভরশীলতা, দুর্বলতা, আর কিছুটা অক্ষমতায় পিছিয়ে পড়া মেয়েরা নিজ উদ্যোগে তাদের সবল করার প্রত্যয়ে ব্রতি হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানকার মেয়েরা আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করতে এগিয়ে এসেছে।

 

সত্যি এক অসাধারণ কর্ম সাধনা। ‘সবলা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেনÑ নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকারÑ হে বিধাতা, সেটার জন্য অনেক অপেক্ষার পালা সীমা অতিক্রম করেছে। কিন্তু সেটাও যখন হাতের নাগালে তাই যেন সই। সংখ্যায় কম হলেও সামনে আরও বাড়বে। অসাম্য বৈষম্যের বন্ধনজালে আবদ্ধ নারীরা চিরায়ত অপসংস্কারেও আকণ্ঠ নিমজ্জিত। এক সময় খেলাধুলায় তাদের অংশীদারিত্বও ছিল নগণ্য। যুগের হাওয়ায় তা ধুলায় মিশিয়ে দিয়ে নিজেকে যে মাত্রায় প্রমাণ করে যাচ্ছে সেটা নারী জাতির অবিস্মরণীয় বিজয়।

 

কর্মজীবী নারীরা এখন ক্ষুদ্র পরিবার সামলিয়ে বৃহত্তর সামাজিক আঙিনায় পেশাগত কর্মযোগকেও অপ্রতিরোধ্য করে তুলছে। ভীরু নারীরা আজ সময়ের দুরন্ত আহ্বানে দুঃসাহসিক হয়ে উঠতেও যেন মরিয়া। স্বাবলম্বী হওয়া থেকে আরম্ভ করে শারীরিক সক্ষমতাকে প্রমাণ করা সবই যেন অপার মহিমার সঙ্গে অসম পারদর্শিতাকেও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে। 
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নারীরা আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণের ওপর এক চমকপ্রদ ঘটনা সমসংখ্যককে নতুনভাবে উদ্ভাসিত করা। আপন দক্ষতা আর শক্তিময়তায় আনোয়ারা উপজেলায় বিভিন্ন ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি ‘শাওলিন কুংফুং অ্যান্ড উন্ড একাডেমি’, ‘বাংলাদেশ টাইগার মার্শাল আর্ট’, ‘শাওলিন উন্ড ট্রেনিং সেন্টার’ নামে তিনটি নারী আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। কোনো কঠিন কাজের সামনে কাঁপন ওঠার মতো দুঃসময় নারীকে এখন আর সেভাবে তাড়া করে না।

তা ছাড়া জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু সংস্থা ইউনিসেফের কার্যক্রমে শিশু-কিশোর সেলফ ডিফেন্স ক্লাব, মহিলা অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবসহ আরও কিছু কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণকে জোরালো করা হচ্ছে। আনোয়ারার এমন চমৎকার পরিবেশে ছেলেমেয়ে উভয়ই পাশাপাশি অবস্থান করে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়াও সমতাভিত্তিক সুস্থ পরিবেশকে স্বাগত জানানো। ছেলেময়ের সমান অংশগ্রহণে পোশাক-পরিচ্ছেদেও কোনো বিভেদ নেই। এক রকম পোশাক পরে মানুষের মর্যাদায় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আধুনিক ও উদীয়মান প্রজন্ম তা আগামীর বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনতার আদলে নতুন মোড়কে উন্মোচন তো করবেই।

এ ছাড়াও আছে এনজিও সংস্থার নানামাত্রিক প্রকল্প, যা ছেলেমেয়েকে সমান বিবেচনায় দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়ত সমতাভিত্তিক কর্মযোগ নিরন্তর করেই যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সেলফ ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীরা পারদর্শী  আর শারীরিক সক্ষমতায় নিজেদের তৈরি করে যাচ্ছে। আধুনিক ও প্রযুক্তির নতুন বাংলাদেশের নব অধ্যায়ের শুভ সূচনা তো বটেই। তবে মেয়েদের শাশ্বত কর্মযোগকেও সমানভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যেমন সেলাই, বিউটিশিয়ান হিসেবেও প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করতেও মেয়েরা এগিয়ে থাকছে।

নারী প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের আবেগ-উচ্ছ্বাসেরও কোনো ঘাটতি নেই। পরম আনন্দে, স্বইচ্ছায় উদ্যোগী হয়ে তারা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে নিজেদের যাত্রাকে সাবলীল আর অবারিত করে যাচ্ছে। তাদের আলাপচারিতায় আরও প্রত্যক্ষ হয় ঘর থেকে বাইরে যেতে গেলে পিতা-মাতা-অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। নির্বিঘেœ, নিরাপদে যাওয়া-আসা করা যাবে তো? পথে-প্রান্তরে কোনো বিপত্তির আশঙ্কা নেই তো? তাই নিজের নিরাপত্তায় শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়াও জরুরি। সঙ্গত কারণে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণও সময়ের ন্যায্যতা দাবি করে। তার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার পথে বখাটে ছেলেদের উৎপীড়ন, উৎপাত বহু সময় ধরে ঘটে যাওয়া এক দুঃসহ ঘটনার পালাক্রম।

সেখানে নিজেদের সুরক্ষায় প্রতিপক্ষকে থামাতে আত্মশক্তির বিকল্প অন্য কিছু নয়। এটা শুধু চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং বাংলাদেশের শহর-গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তরে এমন কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে হবে। যাতে সারাদেশের মেয়েদের রাস্তাঘাটে কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যেতে-আসতে কোনো বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হলে প্রতিরোধ করার শক্তিও যেন অন্তর্নিহিত বোধে জিইয়ে থাকে।

 
 

চায়ের সাথে ভুলেও যে ৪ খাবার খাবেন না

চা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। এর প্রশান্তিদায়ক উষ্ণতা এবং অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে শুধু চা হলে জমে না অনেকের, এর সঙ্গে প্রয়োজন হয় অল্পস্বল্প কিছু খাবার। এরকম খাওয়া যেতেই পারে। তাতে ক্ষতির কিছু নেই। 

দুগ্ধজাত পণ্য

 

আমাদের দেশে জনপ্রিয় সব পানীয়ের মধ্যে অন্যতম হলো দুধ চা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চায়ের সঙ্গে দুগ্ধজাত কোনো খাবারই না খেতে। দুগ্ধজাত প্রোটিন চায়ের সূক্ষ্ম গন্ধকে পরিবর্তন করে এবং একে কম উপভোগ্য করে তোলে। যদিও আপনার চায়ে কিছুটা দুধ মেশানো গ্রহণযোগ্য হতে পারে, তবে চায়ের সঙ্গে পনির, দই বা ক্রিম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

 

সাইট্রাস ফল

কমলা, লেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এগুলো চায়ের ট্যানিনের সঙ্গে সংঘর্ষ করতে পারে, যার ফলে একটি তিক্ত বা ধাতব স্বাদ তৈরি হয়। সাইট্রাস ফলের অম্লতা চায়ের সঙ্গে মিলিত হলে পেট খারাপ হতে পারে, যা হজমের অস্বস্তি তৈরি করে। অনেকে চায়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খান, সামান্য লেবুর রসে সমস্যা নেই তবে আস্ত সাইট্রাস ফল চায়ের সঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

 

ঝাল খাবার

চায়ের সঙ্গে পাকোড়া, পুড়ি, সিঙ্গারা ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের খাবার চায়ের সূক্ষ্ম স্বাদকে নষ্ট করতে পারে। সেইসঙ্গে ঝাল জাতীয় খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন এবং চায়ে থাকা ট্যানিনের সংমিশ্রণ গ্যাস্ট্রিক জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চায়ের সঙ্গে যেকোনো ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন কাঁচা শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং লেবু স্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য অপরিহার্য। তবে এগুলো চায়ের সঙ্গে খাওয়া হলে তা আয়রনের মতো নির্দিষ্ট খনিজ শোষণে বাধা দিতে পারে। চায়ে অক্সালেট নামক যৌগ রয়েছে, যা খনিজের সঙ্গে আবদ্ধ হয় এবং তার শোষণকে বাধা দেয়। তাই চায়ের সঙ্গে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় ওটস কতটা কার্যকর?

কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সকালের খাবার না খেয়ে কাজে বেরিয়ে পড়েন। যদিও এই অভ্যাস ভালো নয়। এর কারণে শরীরে হাজারো রোগ বাসা বাঁধতে পারে। শুধু তাই নয়, ওজনও বেড়ে যেতে পারে অনেকটা। এ ক্ষেত্রে ওটস হতে পারে মুশকিল আসান। 

রাতেই ভিজিয়ে রেখে দিতে পারেন ওটস। সকালে পাঁচ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে পুষ্টিকর এ খাবার। সময়ও বাঁচবে আর পেটও ভরা থাকবে অনেক ক্ষণ।

 

 আর কী কী উপকার হবে?

 

» ওটসে সহজপাচ্য ফাইবার রয়েছে। এসব উপাদান ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো।

» ওটসের সহজপাচ্য ফাইবার রক্তে থাকা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সামগ্রিকভাবে হার্ট ভালো রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ওটস কার্যকর।

» ক্যালোরি কম এবং ‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট’ থাকায় স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছেও ওটসের কদর রয়েছে। ফাইবারে সমৃদ্ধ এই খাবার খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে।

সতর্কতা- উল্লেখিত তথ্যগুলো পরামর্শস্বরূপ। ওজন কমাতে আরও ভালো ফল পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও নিয়ম মেনে চলুন।

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭