
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার
জননিরাপত্তায় গত দুইদিনে ডিএমপি কর্তৃক ১৩৩৪টি টহল টিম ও ১৪২টি চেকপোস্ট পরিচালনা; গ্রেফতার ৩৯৩, মামলা ১১৬।
জননিরাপত্তা বিধান ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মহানগরীতে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ও শুক্রবার (২১ মার্চ) দুইদিনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ১৩৩৪টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। তন্মধ্যে রাতে ৬৮০টি ও দিনে ৬৫৪টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল পেট্রোল টিম ৯৫৮টি, ফুট পেট্রোল টিম ১৪৬টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ২৩০টি। এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ১৪২টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।

গত দুইদিনে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ৩৯৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে ৩৩ জন ডাকাত, ২২ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, চার জন চাঁদাবাজ, ১৮ জন চোর, ৫৫ জন মাদক কারবারি, ৭৩ জন পরোয়ানাভূক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী। অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ১০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, একটি চাপাতি, দুটি চাকু, একটি রামদা, একটি তলোয়ার, একটি কাটার, একটি ক্যারিং ব্যাগ, ২১টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকার ও নগদ পাঁচ লক্ষ ৬২ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে সাত কেজি ২৯০ গ্রাম গাঁজা, ৭৪৯ পিস ইয়াবা, ২০ গ্রাম হেরোইন, ছয় বোতল ফেন্সিডিল, সাত বোতল বিদেশি মদ, সাত ক্যান বিয়ার ও ১৬টি মদের খালি বোতল।

গত দুইদিনে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ১১৬টি মামলা রুজু করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
-ডিএমপি


জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনি বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো অনতিবিলম্বে কার্যকর করার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে প্রধান উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
“সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে যেগুলো এখনি বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলো আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ফেলতে চাই। সে জন্য আমি চাইবো সংস্কার কমিশন আশু করণীয় বা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যায় এমন সুপারিশগুলো দ্রুত আলাদাভাবে আমাদের কাছে পেশ করুক,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
সিনিয়র সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বাধীন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এই কাজকে অমূল্য হিসেবে অভিহিত করে এই প্রতিবেদন যেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য মানুষ পড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো একটি নির্দিষ্ট স্যাটেলাইট ব্যবহারে বাধ্য বলে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেখা যায় না, কমিশনের পক্ষ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যাতে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা এবং আগ্রহী বিদেশিরা দেখতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে সরকার।”
কমিশন প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার হাতে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
-Chief Advisor.GOV

জাতীয়

উগ্রবাদ দমন ও গণতন্ত্রের রক্ষা: তারেক রহমানের বক্তব্যের বাস্তবতা; গাজী সাইফুল
ধর্মীয় উগ্রবাদ বা চরমপন্থা কোনো ধর্মই সমর্থন করে না; বরং প্রতিটি ধর্ম শান্তি, সহনশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করে। তবুও, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থে ধর্মের অপব্যবহার করে উগ্রবাদকে উসকে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যেখানে সব ধর্মের সহাবস্থান ও স্বাধীনভাবে চর্চার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ উগ্রবাদের ছায়ায় আক্রান্ত হয়েছে, যা শুধু রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং গণতন্ত্র ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত ১৯ মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বক্তব্যে বলেন, "চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে।" এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক অবস্থান নয়; বরং যে কোনো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা। ইতিহাসে দেখা গেছে, যখন কোনো দেশে উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তখন সেই দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উগ্রবাদ শুধু একটি নিরাপত্তা ইস্যু নয়, বরং এটি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে দেখা গেছে, উগ্রবাদ দমন তখনই কার্যকর হয়েছে, যখন রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। কিন্তু যখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছু দল বা গোষ্ঠী উগ্রবাদকে প্রশ্রয় দেয় বা ব্যবহার করে, তখনই সংকট আরও গভীর হয়।
বাংলাদেশে অতীতে একাধিকবার ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান দেখা গেছে। ২০০৫ সালে জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালায়, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি সৃষ্টি করেছিল। এরপর ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেয় যে, উগ্রবাদ কীভাবে একটি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে পারে। এসব ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। কিন্তু একবার দমন করা মানেই এর সম্পূর্ণ অবসান হয়েছে—এমনটি ভাবা ঠিক হবে না।
তারেক রহমানের বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য হলো, উগ্রবাদ মোকাবিলায় ব্যর্থতা গণতন্ত্রের অবক্ষয় ঘটাবে। কারণ, উগ্রবাদ শুধু সহিংসতা সৃষ্টি করে না; এটি মুক্তচিন্তা, মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে, উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে কেবল নিরাপত্তার সংকটই তৈরি হয় না; বরং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং নাগরিক অধিকারের ওপরও ব্যাপক হুমকি তৈরি হয়।
এই প্রেক্ষাপটে, তারেক রহমানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা এবং ভারতের ন্যারেটিভ প্রতিস্থাপনের প্রসঙ্গ টেনে সমালোচনা করা এক ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। কারণ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলা করা কোনো নির্দিষ্ট দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নয়; বরং এটি প্রতিটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য। ভারতের মতো দেশেও উগ্রবাদী চরমপন্থার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যেমন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ বা মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের মাধ্যমে। ঠিক তেমনি, বাংলাদেশকেও তার নিজস্ব বাস্তবতায় উগ্রবাদ দমনে কার্যকর ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে, কিছু রাজনৈতিক শক্তি উগ্রবাদ দমনের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে। এটি গণতন্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে সকল পক্ষকে উগ্রবাদবিরোধী অবস্থান নিতে হবে। শুধু সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার দায়িত্ব নয়; বরং রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও সাধারণ নাগরিকদেরও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উগ্রবাদ নির্মূলে কেবল সামরিক বা আইনি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়; এর জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ধর্মের প্রকৃত বার্তা প্রচার, শিক্ষার প্রসার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নও গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ সমাজকে উগ্রবাদের ফাঁদ থেকে রক্ষা করতে হলে তাদের মাঝে যুক্তিবাদী ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে।
তারেক রহমানের বক্তব্য উগ্রবাদ দমনের জন্য একটি সময়োপযোগী বার্তা বহন করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া জরুরি। একে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা বা রাজনৈতিক স্বার্থে অপপ্রচার চালানো কেবল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে, যা রাষ্ট্রের সার্বিক অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকর। বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে নিতে হলে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। উগ্রবাদ দমনে ব্যর্থতা শুধুমাত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, বরং এটি গণতন্ত্র ধ্বংসের অন্যতম কারণ হতে পারে। তারেক রহমানের বক্তব্য এ কারণেই প্রাসঙ্গিক এবং যৌক্তিক। উগ্রবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐক্য ও জাতীয় স্বার্থে একযোগে কাজ করাই হবে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।
রাজনীতি

ইসরায়েলি জনগণের বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি
প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনের গাজায় নতুন করে অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরায়েলের রাস্তায় নেমেছেন ইসরায়েলি জনগণ। বিক্ষোভকে ঘিরে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ করা হয়। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এসময় জেরুজালেম ও তেল আবিব থেকে পুলিশ কমপক্ষে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। খবর- দ্য গার্ডিয়ান
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় এখনও হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ৫৯ জনের পরিণতি নিয়ে ভাবছে না। জিম্মিদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, হামাসের হাত থেকে সমস্ত বন্দিকে উদ্ধার না করে নতুন করে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ভুল করেছেন। দ্রুত এই অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। একইসঙ্গে তারা নেতানিয়াহুর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। এরই জেরে রনেনকে সরিয়ে দেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে রনেন একটি তদন্তও শুরু করেছিলেন। রোনেন বার’কে বরখাস্তের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওঠে। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বরখাস্তের পক্ষে মত দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
জানা গেছে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বার’কে বরখাস্ত করার প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে এ বিক্ষোভ শুরু হয় মঙ্গলবার। তবে গাজায় প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়ে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও জোরালো হতে থাকে। হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলের রাস্তায় নেমেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে তারা তীব্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বুধবার হাজার হাজার মানুষ জেরুজালেমের মধ্যাঞ্চলে নেতানিয়াহুর সরকারি বাসভবনের কাছের সড়কগুলোতে অবস্থান নেন। তাঁদের অনেকের হাতে ছিল পতাকা এবং গাজায় এখনও জিম্মি থাকা মানুষদের সমর্থনে লেখা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড। ‘এখনই জিম্মি মুক্তির চুক্তি করুন’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন লোকজন।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এখনও গাজায় অন্তত ৫৯ ইসরায়েলি জন বন্দি আছেন, যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে নতুন করে গাজায় অভিযান চালানোয় জীবিত জিম্মিদের মেরে ফেলা হবে বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর অধিকাংশ বন্দিকেই হস্তান্তর করেছে হামাস। সকলে ফিরে আসার আগেই নেতানিয়াহু নতুন করে আক্রমণ শুরু করায় বিরক্ত দেশের একটি বড় অংশের মানুষ। সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষাও করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ মানুষ চান, যুদ্ধ বন্ধ করে জিম্মিদের প্রত্যার্পণ নিয়ে আরও বেশি আলোচনা চালাক সরকার।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, নেতানিয়াহু সরকার দেশের গণতন্ত্রকে আঘাত করেছে। আয়োজকেরা বলছেন, বিক্ষোভ কর্মসূচি যেভাবে গতি পাচ্ছে, তাতে আগামী দিনগুলোতে আরও বেশি বিক্ষোভ হতে পারে। যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখতে বিদেশি সরকারগুলোর আহ্বান উপেক্ষা করে সম্প্রতি আকাশ ও স্থলপথে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে গত জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গেছে।
আন্তর্জাতিক

গাজায় বর্বর হামলায় দুই দিনে ঝরলো ৯৭০ ফিলিস্তিনির প্রাণ
গাজায় যুদ্ধ বিরতির কথা থাকলেও সে কথা রাখেনি ইহুদীবাদী ইসরায়েল। তারা বিভিন্ন ভাবে আবারও বর্বর হামলা চলমান রেখেছে। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন গাজায়। জানা গেছে, সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৯৭০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।
বুধবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৯৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫৭৭ জনে পৌঁছায়। এরপর বুধবার দুপুরের দিকে এই সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৫৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে সোমবার রাত থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই ভঙ্গুর চুক্তির পর এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ইসরাইলি হামলা বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, গাজায় নিযুক্ত জাতিসংঘের একটি ভবনে বুধবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় সেখানে সংস্থাটির অন্তত একজন বিদেশি কর্মী নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এর আগে কয়েক মাসের আলোচনার পর মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ চুক্তির আওতায় ৩৮ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রাথমিক এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাতারের দোহায় বিবদমান পক্ষের সঙ্গে কাতার ও মিসরের আলোচনা চলছিল। সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার রাতের হামলার পর যুদ্ধবিরতির আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে।
দেড় মাস ধরে আলোচনা চললেও যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইসরায়েল রাজি হচ্ছিল না। ইসরায়েল ও তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছিল, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়িয়ে গাজায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হোক।
কিন্তু হামাস বলে আসছিল, মূল চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে হবে। এর আওতায় ইসরায়েলি সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। এর পরই বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেবে তারা।
হামাস এখনো মূল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে চায় বলে গতকাল জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র আবদেল লতিফ। তিনি রয়টার্সকে বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে এখনো তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। এখনো তাঁরা মূল চুক্তি পুরোপুরি কার্যকরের পক্ষে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে এমন নৃশংস হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।
বুধবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৯৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫৭৭ জনে পৌঁছায়। এরপর বুধবার দুপুরের দিকে এই সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৫৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে সোমবার রাত থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই ভঙ্গুর চুক্তির পর এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ইসরাইলি হামলা বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, গাজায় নিযুক্ত জাতিসংঘের একটি ভবনে বুধবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় সেখানে সংস্থাটির অন্তত একজন বিদেশি কর্মী নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এর আগে কয়েক মাসের আলোচনার পর মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ চুক্তির আওতায় ৩৮ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রাথমিক এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাতারের দোহায় বিবদমান পক্ষের সঙ্গে কাতার ও মিসরের আলোচনা চলছিল। সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার রাতের হামলার পর যুদ্ধবিরতির আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে।
দেড় মাস ধরে আলোচনা চললেও যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইসরায়েল রাজি হচ্ছিল না। ইসরায়েল ও তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছিল, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়িয়ে গাজায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হোক।
কিন্তু হামাস বলে আসছিল, মূল চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে হবে। এর আওতায় ইসরায়েলি সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। এর পরই বাকি জিম্মিদের ছেড়ে দেবে তারা।
হামাস এখনো মূল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে চায় বলে গতকাল জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র আবদেল লতিফ। তিনি রয়টার্সকে বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে এখনো তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। এখনো তাঁরা মূল চুক্তি পুরোপুরি কার্যকরের পক্ষে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে এমন নৃশংস হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।
আন্তর্জাতিক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করবে: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করবে এবং কোনো দাবির কারণে ভোট বিলম্বিত হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন ড. কমফোর্ট ইরো।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং এই তারিখগুলো পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তিনি ব্যাখ্যা করেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সীমিত সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে বড় পরিসরে সংস্কার চাইলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনের মধ্যে আয়োজন করা হবে।
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলটিকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে দলের যেসব নেতা হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।
এ ছাড়া জাতিসংঘের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে গত জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় সম্ভাব্য অপরাধের কথা উল্লেখ করার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো হতে পারে বলেও জানান ইউনূস। তিনি বলেন, এটি একেবারে আলোচনার মধ্যে রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরো জানান, ঐকমত্য কমিশন বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সরকারের নীতিমালা নির্ধারণে গৃহীত জুলাই চার্টার চূড়ান্ত করার জন্য আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নেতা আতাউল্লাহর গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানান এবং এটিকে শরণার্থী শিবিরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকারের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তারা রাখাইন রাজ্যের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বাড়ানোরও আহ্বান জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ঢাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা করছে এবং আসন্ন বিশেষ জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ড. কমফোর্ট ইরো বাংলাদেশ ও তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মোকাবিলায় তার সংস্থার সমর্থনের কথা জানান।
অধ্যাপক ইউনূস আলোচনা শেষে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়, তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মূলত ভারতীয় গণমাধ্যম থেকেই আসছে।
অধ্যাপক ইউনূস আলোচনা শেষে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়, তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মূলত ভারতীয় গণমাধ্যম থেকেই আসছে।
জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ মার্চ) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
ওই প্রশ্নকারী বলেন, মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান হুমকি ও একটি ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তবে তিনি (তুলসী) মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি দায়ী করেননি- ইউনূস সরকারও এসব উদ্বেগকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছে, এগুলোকে অসত্য বলে অভিহিত করেছে।
এছাড়া গতকালও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খিলাফতপন্থী বিশাল একটি র্যালি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রশ্নকারী। ওই সাংবাদিক আরও বলেন, মার্কিন সরকারের চলমান উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বিবেচনা করছে?
জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমরা যেকোনো দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি সহিংসতা বা অসহিষ্ণুতার যেকোনো ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই। আমরা এটাই দেখছি। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। এবং এটাই অব্যাহত থাকবে।
আন্তর্জাতিক

সংস্কার না হলে আবারও স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসবে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে 'রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বললেন, বিদ্যমান কাঠামোর সংস্কার দরকার। তবে সেটি হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, রাজনৈতিক, সুশাসনসহ সব বিষয় মাথায় রেখে। সংস্কার না হলে স্বৈরতন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। এতে আবারও দুঃশাসন ফিরে আসবে।
আলী রীয়াজ বলেন, বিগত ১৬ বছরে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দুর্বল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সঠিক গণতন্ত্রের চর্চা না থাকার কারণে দুর্বল ও ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে দেয়নি। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে আমাদের বিচার বিভাগকে। ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কেন সংস্কার করতে হবে, কারা তুলেছে এ সংস্কারের প্রস্তাব। এটা মূলত এসেছে জনগণের কাছ থেকে, তাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ থেকে এসেছে। এখন কাঠামোগত বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া স্বৈরতন্ত্রের মোকাবিলা করা যাবে না। বারবার ফিরে আসবে। তাই সংস্কারের প্রস্তাব বা সংস্কার দরকার বলে জানান তিনি।
এ সময় আলী রিয়াজ আরও যোগ করে বলেন, আমরা দেখেছি নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। আবার বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, এটা গণতান্ত্রিক নয়। বিচারহীনতা থেকে বেরিয়ে আসতে সংস্কার। সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। সবার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়েই জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার।
আলী রীয়াজ বলেন, বিগত ১৬ বছরে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দুর্বল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সঠিক গণতন্ত্রের চর্চা না থাকার কারণে দুর্বল ও ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে দেয়নি। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে আমাদের বিচার বিভাগকে। ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কেন সংস্কার করতে হবে, কারা তুলেছে এ সংস্কারের প্রস্তাব। এটা মূলত এসেছে জনগণের কাছ থেকে, তাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ থেকে এসেছে। এখন কাঠামোগত বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া স্বৈরতন্ত্রের মোকাবিলা করা যাবে না। বারবার ফিরে আসবে। তাই সংস্কারের প্রস্তাব বা সংস্কার দরকার বলে জানান তিনি।
এ সময় আলী রিয়াজ আরও যোগ করে বলেন, আমরা দেখেছি নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। আবার বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল, এটা গণতান্ত্রিক নয়। বিচারহীনতা থেকে বেরিয়ে আসতে সংস্কার। সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। সবার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়েই জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার।
জাতীয়

দেশের বৃহত্তম যমুনা রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রমত্ত্বা যমুনার বুকে নির্মিত সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে স্বপ্নের যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে স্পেশাল ট্রেন পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ স্টেশনে পারাপারের মধ্য দিয়ে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সেতুটি উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। ৪.৮ কিলোমিটার মূল সেতু পার হতে উদ্বোধনী ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে সময় নেয় তিন মিনিট ২১ সেকেন্ড।

জানাগেছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনে চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি ও জাইকার সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান, জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাইকার কর্মকর্তা এবং সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ প্রকল্পের ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি(জাইকা)। জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের ৭ হাজারেরও বেশি কর্মীর টানা চার বছরের পরিশ্রমে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। সেতুটিতে ৫০টি পিলার ও প্রতি দুই পিলারের মাঝে একটি করে মোট ৪৯টি স্প্যান রয়েছে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার হলেও দুদিকে ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।

যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম জানান, সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হয়েছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
তিনি জানান, নির্মিত এ সেতুটি ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে সেটা আর থাকবে না। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে।
পরিবহন খরচও কমে যাবে। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ওপর চাপও অনেকটা কমে আসবে। উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন পণ্য সহজেই ঢাকাসহ সারাদেশ রপ্তানি করা সম্ভব হবে। প্রকাশ, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন প্রমত্ত্বা যমুনা নদীর ওপর যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ শুরু হয়।
তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে থাকে।
গতি কমের কারণে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা করা হয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি করপোরেশন, জেএফই এবং টিওএ করপোরেশন এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণকাজ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে আসার পর সেতুটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু’ পরিবর্তন করে ‘যমুনা রেলসেতু’ করা হয়।


জাতীয়

নির্বাচন জরুরি, স্থিতিশীলতার স্বার্থে দায়িত্ব হস্তান্তর প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে যত দ্রুত সম্ভব একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা জরুরি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হলে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।’
রোববার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, নির্বাচন বিলম্বিত হলে গণতন্ত্রের পরিপন্থী শক্তির উত্থান ঘটে। তাই আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে অতি দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
তিনি আরও বলেন, ‘বিলম্বিত নির্বাচনের কারণে দেশে ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে। একই সঙ্গে উগ্র ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলোও এই পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে দ্রুত নির্বাচন অপরিহার্য।
বিএনপি মহাসচিব জানান, তাদের দল সংস্কারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছি, যখন কেউ এই বিষয়ে কথা বলেনি। আজ যে সংস্কার প্রস্তাব উঠে আসছে, তার সঙ্গে আমাদের দেওয়া প্রস্তাবের খুব বেশি পার্থক্য নেই।
দেশের বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই হত্যা, খুন, ধর্ষণের সংবাদ দেখতে পাই, যা আমাদেরকে পীড়িত করে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, যা একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কর্মীরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে আসছে। এই অস্থিরতা নিরসনে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যত দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদে আসবে, তত দ্রুত দেশ পরিচালনায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।
এছাড়াও এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, নির্বাচন বিলম্বিত হলে গণতন্ত্রের পরিপন্থী শক্তির উত্থান ঘটে। তাই আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে অতি দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
তিনি আরও বলেন, ‘বিলম্বিত নির্বাচনের কারণে দেশে ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে। একই সঙ্গে উগ্র ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলোও এই পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে দ্রুত নির্বাচন অপরিহার্য।
বিএনপি মহাসচিব জানান, তাদের দল সংস্কারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছি, যখন কেউ এই বিষয়ে কথা বলেনি। আজ যে সংস্কার প্রস্তাব উঠে আসছে, তার সঙ্গে আমাদের দেওয়া প্রস্তাবের খুব বেশি পার্থক্য নেই।
দেশের বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই হত্যা, খুন, ধর্ষণের সংবাদ দেখতে পাই, যা আমাদেরকে পীড়িত করে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, যা একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কর্মীরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে আসছে। এই অস্থিরতা নিরসনে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যত দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদে আসবে, তত দ্রুত দেশ পরিচালনায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।
এছাড়াও এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়

আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবনের সাজা বহাল রেখেছে আদালত।
আজ (রোববার) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের আপিল খারিজ করে এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু উপস্থিত ছিলেন। আদালতকক্ষে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট। এখন সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ মামলার শুনানি শেষ করার পর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য বিচারিক আদালতের নথি) এবং মামলায় দোষী সাব্যস্ত আসামিদের দায়ের করা আপিল কুরিয়া অ্যাডভাইসারি ভাল্ট (অর্থাৎ রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে) হিসেবে রেখেছিলেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে আবাসিক হলে ছাত্রলীগের একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এতে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।’ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসাবে নথিভুক্ত হয়।
জাতীয়

সানায় বড় ধরনের ইঙ্গো-মার্কিন বিমান হামলা: ২৫ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। শনিবার রাতের ওই হামলায় অন্তত ২৫ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
ইয়েমেনে সশস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগর দিয়ে ইসরাইলি জাহাজ চলাচলের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী ওই হামলা চালাল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরব উপত্যকার এই দরিদ্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অত্যধিক প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের’ হুমকি দেয়ার পর এ হামলা হলো।
ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব স্থানে হামলা হয়েছে তার প্রত্যেকটি বেসামরিক স্থাপনা। এটি বলেছে, হামলায় প্রাথমিক হিসাবে নয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও অপর নয়জন গুরুতর আহত হয়েছে। পরে ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন নিহতের সংখ্যা ২৫ ও আহতের সংখ্যা ২২ জন বলে এক সংশোধনীতে জানিয়েছে।
ইয়েমেনের বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, শুধু সানায় আঘাত হেনেই ইঙ্গো-মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো ক্ষান্ত হয়নি বরং দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সা’দা প্রদেশের রাজধানী এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় ধামার প্রদেশের রাজধানী ও আনাস জেলায়ও হামলা চালিয়েছে।
ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, হামলার মাধ্যমে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশন লঙ্ঘন করার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধ করেছে।
এর আগে শনিবারই ট্রাম্প এক এক্স বার্তায় ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্ত ও শক্তিশালী সামরিক হামলার’ নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী স্রেফ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হেনেছে। ট্রাম্পের এক্স বার্তায় বলা হয়, “আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত অত্যধিক প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ করে যাব।”#
আন্তর্জাতিক

কক্সবাজার কেবল পর্যটন শহরই নয়, অর্থনীতিরও কেন্দ্র: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বললেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতিরও কেন্দ্র। আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।
নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই উল্লেখ করে পারস্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা ব্যবসা করতে পারলে সকলের ভাগ্য বদলে যাবে। কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।
এ সময় পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বায়ুশক্তির (বায়ুপ্রবাহের শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন) সম্ভাবনা সম্পর্কে খোঁজ নেন তিনি।
নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই উল্লেখ করে পারস্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা ব্যবসা করতে পারলে সকলের ভাগ্য বদলে যাবে। কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।
এ সময় পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বায়ুশক্তির (বায়ুপ্রবাহের শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন) সম্ভাবনা সম্পর্কে খোঁজ নেন তিনি।
জাতীয়

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে উখিয়ায় ক্যাম্প পরিদর্শনকালে জানিয়েছেন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার শিকার হয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামে বাংলাদেশে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে এসেছেন। এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এখন বিশ্বের সহায়তা প্রয়োজন। তারা বাড়ি ফিরতে চায়, মিয়ানমার তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এই সংকটের প্রধান সমাধান।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এটি তাদের অধিকার, তারা বঞ্চনার শিকার। আর ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা আরও ভালো পরিবেশ চায় ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে।
এই কারণে আমাদের মানবিক সহায়তার মধ্যে খাবারের রেশন কমাতে হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যত দেশ সম্ভব আমি কথা বলব, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং এর থেকে আরও খারাপ পরিস্থিতি না আসে। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে জোরালো আওয়াজ তুলবো। কারণ সম্মানের সঙ্গে এখানে বসবাসের জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার শিকার হয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামে বাংলাদেশে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে এসেছেন। এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এখন বিশ্বের সহায়তা প্রয়োজন। তারা বাড়ি ফিরতে চায়, মিয়ানমার তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এই সংকটের প্রধান সমাধান।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এটি তাদের অধিকার, তারা বঞ্চনার শিকার। আর ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা আরও ভালো পরিবেশ চায় ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে।
জাতীয়

শাসক নয়, বিএনপির নেতা কর্মীদের জনগণের সেবক হতে হবে
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন, তারেক রহমানের নির্দেশ আমাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। শাসক নয়, বিএনপির নেতা কর্মীদের জনগণের সেবক হতে হবে। ৩১ দফার কথা তুলে ধরতে হবে।সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে ধানের শীষের জন্য ভোট চাইতে হবে। নিজেদের মধ্যে মারামারি ও কলহ করা যাবেনা। সন্ত্রাস, ইভটিজিং, মাদক কিশোর গ্যাং, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।আমাদের নেতা তারেক রহমান যা চায় বিএনপি'র প্রতিটি নেতাকর্মীর সমর্থকদের তাই করতে হবে। শুক্রবার বিকালে (১৪ মার্চ ২০২৫) পুরান বাজার ও মসজিদ সংলগ্ন ট্রাক রোডে চাঁদপুর পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, এই ১নং ওয়ার্ড ২০১৪ সালে আরজু মারা গেছে, এখানে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে আমি ক্যাম্পিং করতে এসেছি, সেদিন বিএনপি ছাত্রদল যুবদল আমাকে বাঁচিয়েছে।।আমরা নিজেরা নিজেরা মারামারিতে লিপ্ত হবো না। কারো কোন জায়গা জমি দখল চাঁদাবাজি করা যাবেনা। এই ওয়ার্ড বিএনপির ঘাঁটি।তারেক রহমান যা চায় আপনাদের তা করতে হবে।তারেক রহমান চায় আপনারা মানুষের কাছে যাবেন ৩১ দফার কথা তুলে ধরবেন। আমরা যদি তারেক রহমানের কথা না শুনি তাহলেই আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, নবীন প্রবীণদের সমন্বয়ে কমিটি করতে হবে যাতে আগামী দিনে এই ওয়ার্ড আরো শক্তিশালী হয়।যাতে অন্যান্য ওয়ার্ড গুলো এই ওয়ার্ডকে দেখে শিখে।বিগত ১৫ বছর আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছি।আগামী দিনে যদি সেই নির্বাচনের জন্য কালক্ষেপন করে। তাহলে আপনাদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল। সম্মেলন শুভ উদ্বোধন করেন চাঁদপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আক্তার হোসেন মাঝি।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. হারুনুর রশীদ।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন, শরীফ উদ্দিন আহমেদ পলাশ। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বেপারী। চাঁদপুর পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিছ বেপারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম তালুকদার ও সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুলহাস জুয়েলের যৌথ পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন খান বোরহান, নজরুল ইসলাম বেপারী, আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাঝিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আক্তার হোসেন মাঝি মো. আনিছ বেপারীকে পুনরায় সভাপতি, মো. আসলাম তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক, কামাল মজুমদারকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, জাহাঙ্গীর মুন্সিকে যুগ্ম সম্পাদক ও সুমন বেপারীকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করেন।
সবশেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আক্তার হোসেন মাঝি। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলহাজ্ব মো. সেলিম খান, জেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আনা মিজি, ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মফিক বেপারী, বিএনপি নেতা মহসিন পাটোয়ারি, বিএনপি নেতা মৎস্য ব্যবসায়ী সুমন খান, রতন গাজী,সফিক বেপারি, বিএনপি নেতা গোলাম হোসেন, জাকির হোসেন গাজী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সদর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি জিসান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি যুবদল ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এবং বিএনপির সমর্থকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়

বাংলাদেশের সংস্কার ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সংহতি প্রকাশ
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আজ (শুক্রবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের জনগণকে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংস্কার ও রূপান্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতিসংঘ সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছেন। আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বৈঠকের পর জাতিসংঘের এক বার্তায় বলা হয়, বৈঠকে সংস্থাটির মহাসচিব ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের চলমান পরিবর্তন ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন। মহাসচিব বাংলাদেশের সংস্কার ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্যও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান মহাসচিব।
পরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
আজ দুপুর ১টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁরা কক্সবাজারে পৌঁছান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
জাতীয়

ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে আবার নিষেধাজ্ঞা দিল ওয়াশিংটন
মার্কিন সরকার ইরানের তেলমন্ত্রী মোহসেন পাকনেজাদসহ তার দেশের কয়েকটি তেল ট্যাংকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসব ট্যাংকারের সাহায্যে ইরানের জ্বালানি তেল রপ্তানি করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর কাছে চিঠি পাঠানোর কয়েক দিনের মাথায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
ট্রাম্পের চিঠিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ বৃহস্পতিবার তেহরানের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন।
কিন্তু যেদিন ওই চিঠি তেহরানের কাছে পৌঁছেছে বলে জানানো হলো সেদিনই নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ওয়াশিংটন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাকনেজাদের পাশাপাশি চীনের কাছে ইরানি তেল বিক্রিতে জড়িত তিনটি তেল ট্যাংকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তিনি ওই তিন তেল ট্যাংকারের নামও ঘোষণা করেন যাতে কোনো দেশ এসব ট্যাংকারের সঙ্গে লেনদেন না করে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, পাকনেজাদ তেল বিক্রির শত শত কোটি ডলার অর্থ সমরাস্ত্র তৈরি করে তা রপ্তানি করার কাজে ব্যবহার করার জন্য ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন।
আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার এই পদক্ষেপকে ইরানের প্রতি আমেরিকার চরম বৈরি আচরণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। #
আন্তর্জাতিক

মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুটি আর নেই, প্রধান উপদেষ্টার শোক
বাংলাদেশের মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া আট বছর বয়সী শিশুটি আছিয়া মারা গেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। শোক বার্তায় বলা হয়, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে বলা হয়, "অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি আজ দুপুর ১ টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। (ইন্নালিল্লাহি....রাজিউন)। সিএমএইচের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।"
শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা শিশু আছিয়া মাগুরা শহরে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। সেদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (পিআইসিইউ) থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে পিআইসিইউতে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।#
আলোচিত খবর

‘ইহুদিবাদী সেনারা সিরিয়ার ভূখণ্ডে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে’
ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর অধিকৃত গোলান মালভূমির "বাফার জোন" দখলকারী ইসরাইলি সেনারা সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে।
ইসরাইল গোলান মালভূমির বাইরে সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে চলেছে, বিশেষ করে দামেস্ক থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে হারমন পর্বতের সিরিয়ান অংশ দখল করে নিয়েছে। আল-কায়েদার সাবেক নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবু মোহাম্মদ আল-জুলানির হাতে সিরিয়ার রাজধানীর নাটকীয় পতনের কয়েকদিন পরে দখল করে নেয়।
হারমান পর্বত দখলের বিষয়ে ইসরাইল কাটজ বলেন, "প্রতিদিন সকালে যখন আল-জুলানি দামেস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে চোখ খুলবেন, তখন তিনি ইসরাইলি বাহিনীকে হারমনের চূড়া থেকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখবেন এবং মনে রাখবেন যে, গোলান এবং গ্যালিলির বাসিন্দাদের যেকোনো হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা এখানে এবং দক্ষিণ সিরিয়ার সমগ্র নিরাপত্তা এলাকায় আছি।"
মঙ্গলবার হারমন পর্বতে একটি নতুন ইসরাইলি সামরিক ফাঁড়ি পরিদর্শনের সময় ইসরাইল কাটজ একথা বলেন। তিনি বলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী "সীমাহীন সময়ের জন্য সিরিয়ায় থাকতে প্রস্তুত।"
আরবি ভাষায় জাবাল আল-শেখ নামে পরিচিত হারমন পর্বত, সিরিয়া-লেবানন সীমান্তের উপরে উঁচু তুষারাবৃত পাহাড়ের চূড়ার একটি বিশাল গুচ্ছ। এখান থেকে দামেস্কের শহরতলীর পাশাপাশি ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমি দেখা যায় যা ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের সময় ইসরাইল সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে নেয়।#
আন্তর্জাতিক
