যশোরে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ, ধান চাষ ব্যাহত

যশোরে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ, ধান চাষ ব্যাহত

যশোরে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ, ধান চাষ ব্যাহত

সাকিরুল কবীর রিটন

যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের কালিয়াকুন্ডি গ্রামে রাজারকাটা খাল থেকে বারো মাসের খাল পর্যন্ত পানি আটকে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে কয়েকশত বিঘা জমিতে এই বছর বোরো আবাদ করা যায়নি।

চৌগাছা উপজেলার কালিয়াকুন্ডি, রানিয়ালী, মালিগাতি, হাউলী, বেড়েয়ালীসহ আট গ্রামের পানি বের হয় রাজারকাটা খাল দিয়ে। এই পানি চলে যায় বুকভরা বাওড়ে। সেখান থেকে খালের মাধ্যমে চলে যায় কপোতাক্ষ নদে।

২০১৩ সাল থেকে কালিয়াকুন্ডি গ্রামের জুল হোসেন, যশোর সদরের ইসলামপুরের সাদেক হোসেন ও শেখ পাড়ার আল আমিন সেখানে মাছ চাষ করছে। সারা বছর মাছ চাষ করার জন্য তারা কালিয়াকুন্ডির রাজারকাটা খালের মুখে ও বারো মাসের খালের মুখে ব্রিজের নিচে ইট দিয়ে বেঁধে দিয়েছে। এতে খালের পাড়ে আড়াইশত বিঘা জমিতে এখন পানি জমে আছে। ফলে ওই জমিতে বোরোসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করতে পারছে না স্থানীয় মানুষ।

কালিয়াকুন্ডির সুলাইমান হোসেন জানান, খালের পাড়ে তার জমি আছে। আগে এই জমিতে তিনি বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল ফলাতে পারতেন। এখন তারা কোনো আবাদ করতে পারছেন না।

গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুল মুজিদ বলেন, তার গ্রামের অনেক মানুষের জমি রয়েছে খালের পাশে। প্রভাবশালী মহল মাছ চাষ করায় তারা এখন ধান চাষ করতে পারছেন না। অথচ তাদের অন্য কোনো পেশা নেই। চাষ করেই তাদের সংসার চলে। এখন তাদের অনেক সমস্যা। সংসার চলছে না।

স্থানীয় পাশাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, মাছ চাষের জন্য ব্রিজের নিচে বাঁধ দিয়েছে। ফলে এই খাল দিয়ে পানি বের হয়ে যেতে পারছে না। এতে এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে কয়েকবার সালিশ হয়েছে। কিন্তু যারা মাছ চাষ করছে, তারা কথা শুনছে না।

যোগাযোগ করা হলে মাছ চাষি জুল হোসেন বলেন, তিনি ১৫৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। সবটুকু ব্যক্তি মালিকানা জমি। ব্রিজের নিচে বাঁধ দিয়েছেন, তবে সেখান থেকে পানি বের হতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গেলে চাষিরা সেখানে ধান চাষ করতে পারবে।

‘‘গ্রামে আমার একটি প্রতিপক্ষ আছে। তারা আমার নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’’

 

ঢাকা/বকুল



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/36a9tM0