নতুন বছর, নতুন করে শুরু করুন

নতুন বছর, নতুন করে শুরু করুন

নতুন বছর, নতুন করে শুরু করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

বিদায় ২০১৯। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন বছর। নতুন বছর উপলক্ষে অনেকে অনেক পরিকল্পনা থাকে। তাবে শেষ পর্যন্ত কতটুকু বাস্তবায়ন হয় সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

নতুন বছরে নিজেকে সুস্থ রাখার জন‌্য, মানসিক স্বাস্থ‌্যের উন্নতির জন‌্য কিছু পরিকল্পনা করা যেতে পারে। কথায় বলে, স্বাস্থ‌্যই সকল সুখের মূল। শুধু শারীরিকভাবে নয় মানসিকভাবেও তাই সুস্থ থাকতে হবে।

সামাজিক মাধ‌্যমে সময় কম দেয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ‌্যম মানসিক চাপে রাখতে পারে। অন‌্যের কার্যক্রম দেখে উদ্বিগ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বন্ধুর ভালো দেখে খুশি হলেও নিজের অবস্থা নিয়ে আফসোস হতে পারে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মা‌ধ‌্যমে কম সময় ব‌্যয় করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

সঠিক সময়ে ঘুমাতে যায়া

‘আরলি টু বেড অ্যান্ড আরলি টু রাইজ, মেকস আ ম্যান হেলদি অ্যান্ড ওয়াইজ।’ হ‌্যাঁ পাঠক, সুস্থ থাকার জন‌্য পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। আর সেই ঘুমটা হতে হবে সঠিক সময়ে। দেরি করে ঘুমাতে গিয়ে আবার দেরি করে উঠলে সেটা কাজে আসবে না। তাই যথা সময়ে বিছানায় যেতে হবে।

ক্ষতিকর পানীয় এড়িয়ে চলা

অনেকে খাওয়া-দাওয়ার পরে কোমল পানীয় পান করেন। বিশেষ করে তরুণদের আগ্রহ বেশি। এটা স্বাস্থ‌্যের জন‌্য অনেক ক্ষতিকর। তাই এটাকে গুডবাই বলতে পারলে স্বাস্থ‌্যের জন‌্যেও যেমন ভালো হবে তেমনি পকেটটাও খালি হবে না।

শরীরচর্চা

শরীরচর্চা ব্রেনের হ‌্যাপি হরমোনগুলো বাড়িয়ে দেয়। যা মন এবং শরীর দুটোকেই সুস্থ রাখতে কাজ করে। শরীরচর্চার জন‌্য যে জিমে যেতে হবে এমন কিন্তু নয়। একটু হাঁটাহাঁটি, সেটাও উপকারে আসবে। সুযোগ থাকলে সপ্তাহে একদিন সাঁতারও কাটতে পারেন। বেশ উপকারে আসবে।

নিজের প্রতি যত্নশীল

নিজেকে একটু সময় দেন। যারা আপনার ওপর নির্ভরশীল তাদের ভালো রাখার জন‌্য তো আগে নিজেকে ভালো থাকতে হবে। পছন্দের গান শোনা, সিনেমা দেখা, সবুজে চোখ রাখা, কিংবা শখের বাগানে বসে দু’দণ্ড বিশ্রাম নেয়া যেতে পারে। 

আত্মবিশ্বাসী

সবার আগে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। যারা নিজেদের একাকীভাবে তারা সাধারণত হতাশায় ভোগেন। কষ্টের কথা, খারাপ লাগার কথা পরিবারের কারো সঙ্গে শেয়ার করা যেতে পারে। কিংবা কোনো বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে। কথাগুলো এমন কারো সঙ্গে বলতে হবে যে আপনাকে বুঝবে।

খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা

নতুন বছরে ক্ষতিকর অভ‌্যাস ত‌্যাগ করার একটা প্রতিজ্ঞা করা যেতেই পারে। ধূমপান ছেড়ে স্বাস্থ‌্যকর খাবার খেতে হবে। শাক-সজবি, ফলমূল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। ফাস্টফুড খাওয়া কমাতে হবে। 

তথ‌্যসূত্র: মেট্রো



ঢাকা/ইভা/সাইফ



from Risingbd Bangla News https://ift.tt/2SLTyQp