সখীপুরে অপহৃত মাদরাসা ছাত্রী সাতদিনেও উদ্ধার এবং মামলা রেকর্ড হয়নি।
সোমবার, ৭ মার্চ, ২০১৬
জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুর থানায় অপহরণ মামলা করার সাতদিন পার হলেও মামলাটি নথিভূক্ত ও অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল শনিবার মেয়েটির মা ও বড়বোন সখীপুর থানায় এসে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে পুলিশের ব্যর্থতার এ অভিযোগ তোলেন।
মেয়েটির মা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাড়িপাকা গ্রামের সোনালী মিয়ার ছেলে চান মাহমুদ (২৬) বছর দুয়েক আগে অপহৃত মেয়েটির বড় বোনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই চান মাহমুদ তাঁর স্ত্রীকে নানা নির্যাতন করে আসছে বলে অভিযোগ আছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বামীর বেধম পিটুনি খেয়ে দেড় বছরের মেয়েকে নিয়ে রাতেই পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসে। পালিয়ে যাওয়ায় রাতে শ্বশুরবাড়ি ফোন করে চান মাহমুদ স্ত্রীকে খুন করার ও নবম শ্রেণিতে পড়–য়া শ্যালিকাকে
তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরের দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) চান মাহমুদ তাঁর দলবল নিয়ে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে শ্যালিকার
পথরোধ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার
করলে চান মাহমুদ জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। ২৯ ফেব্রুয়ারি মেয়েটির মা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় চান মাহমুদ ও তাঁর পিতাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা করে। ছয়দিন পর গতকাল শনিবার মেয়েটির মা ও প্রতিবন্ধী বড়বোন সখীপুর থানায় এসে জানতে পারে ওই মামলাটি পুলিশ আমলেই নেয়নি।
মেয়েটির বড়বোন ঢাকার একটি কলেজের স্নাতক সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সখীপুর উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (আকলিমা আক্তার) বলেন, গত সোমবার এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমি ও আমার মা তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার হাতে কিছু খরচ দিয়ে যাই। পরের দিন পুলিশ চান মাহমুদের গ্রামে গিয়ে তাঁর পিতা সোনালী মিয়াকে গ্রেপ্তার করলেও পরে অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দিয়ে আসে। এরপর কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলাটি আমলেই নেননি।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও তদন্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম সাদা কাগজে হাতে লেখা অভিযোগটি এখনও রেকর্ড হয়নি স্বীকার করে বলেন, চান মাহমুদের বাবা সোনালী মিয়া মেয়েটিকে উদ্ধারে তিন দিনের সময় নেওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, আজ রাতেই ওই মেয়েটিকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।