বাদীর সামনেই আসামীকে ছেড়ে দিলেন তদন্ত কর্মকর্তা

বাদীর সামনেই আসামীকে ছেড়ে দিলেন তদন্ত কর্মকর্তা

বিশেষ প্রতিবেদক : প্রবাসীর স্ত্রীকে অপহরণ করে পাচারের মামলায় প্রধান আসামীকে আটক করে বাদীর উপস্থিতিতেই ছেড়ে দিলেন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। শুধু তাই নয়; ওই বাদীর কাছ থেকে যানবাহনের খরচ হিসেবে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও ওঠেছে তার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায়।

অপহৃত খাদিজার ভাই গোলাপ হোসেন বলেন, গত তিন অক্টোবর আমার বোন অপহৃত হয়। সাধারণ ডায়েরি করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পরে ১৫ অক্টোবর খাদিজা আমার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তার অবস্থা জানায়। থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ বলে, মামলা করতে হলে ২০ হাজার টাকা লাগবে। ২৩ অক্টোবর ১০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে মামলা নেয় পুলিশ। এরপরের দিন  তোফাজ্জল দারোগার হাতে ৭ হাজার টাকা তুলে দেই। কিন্তু সে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। ২৮ অক্টোবর বাকি ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, গত ১ নভেম্বর রাতে তোফাজ্জল হোসেন আমার বাবা ও তিন আত্মীয়কে সাথে নিয়ে আসামী ধরতে অভিযান চালায়। মামলার প্রধান আসামী হামিদকে বাড়িতে পেয়েও তাকে হাতকড়া না পরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এসময় হামিদ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আমরা পিছু নিয়ে হামিদকে ধরলেও দারোগা আসেনি। পরে হামিদ নদী সাঁতরে পালিয়ে যায়।

তবে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার প্রধান আসামী হামিদকে আটক করেছিলাম। কিন্তু নামের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সে পালিয়ে গেছে।

গোপালপুর থানার ওসি বলেন, আমি বেশ কিছুদিন থানার বাইরে ছিলাম। তাই দেরিতে মামলা এন্ট্রি হওয়ার কারণ জানি না। অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামীদের আটকে অভিযান চলছে।