এবারের কিছু ঈদ স্পেশাল রেসিপি শুধু আপনাদের জন্য

এবারের কিছু ঈদ স্পেশাল রেসিপি শুধু আপনাদের জন্য

দেখতে দেখতে রমজান মাস শেষ হয়ে এলো। কেনাকাটা এরই মধ্যে আমরা গুছিয়ে এনেছি। এবার রান্নার প্রস্তুতি:

ছানার পোলাও
যা যা লাগবে: ছানা ১ কাপ, কর্নফাওয়ার ১ টেবিল চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, বেসন ১ টেবিল চামচ, জাফরান রং আধা চা চামচ, সিরার জন্য চিনি ২ কাপ, পানি ৪ কাপ, ভাজার জন্য তেল।

প্রস্তুত প্রণালী:

১ কাপ ছানা কাটের পিঁড়িতে হাত দিয়ে খুব ভালভাবে মেখে নিন। এবার ছানার সঙ্গে বেসন কর্নফাওয়ার ও ময়দা মেশান। আবারও হাত দিয়ে খুব মিশিয়ে নেবেন।
জাফরান রং মিশিয়ে নিন। মাঝারি আকারের ছিদ্রযুক্ত ঝাঁঝরিতে করে মেশানো ছানা আবারও মাখান। এতে করে ছিদ্র দিয়ে নানা আকারের হয়ে ছানা প্লেটে পড়বে।

এবার সেগুলো গরম তেলে ভেজে তুলুন।

চিনির সিরায় ডুবিয়ে রাখুন আধাঘন্টা। চিনির সিরা থেকে তুলে প্লেটে পেস্তা বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন।
বন্ধুরা, ঈদে মজাদার মিষ্টি আইটেমের মধ্যে থাকতে পারে এই জর্দাটাও।

যা যা লাগবে: আনারস কুচি ২ কাপ, পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, গোলাপ জল ২ চা চামচ, কেওড়া ২ চা চামচ, মাওয়া ৪ টেবিল চামচ, জর্দার রং সামান্য, এলাচ ৪ টি।

সাজানোর জন্য পেস্তাবাদাম, মাওয়া এবং ছোট মিষ্টি।

প্রথমে চাল সেদ্ধ করে ভাত রান্না করে ঠাণ্ডা করে নিন। কুচানো আনারস ঘিয়ে ভাজুন।
এবার অন্য একটি পাত্রে ঘি দিয়ে ভাতগুলো ছাড়ুন। এরপর চিনি, ঘি, এলাচ, গোলাপ জল, কেওড়া ও জর্দার রং দিয়ে চুলায় বসান।

চিনি শুকিয়ে এলে পাত্রের নিচে তাওয়া দিয়ে আনারসগুলো দিয়ে দমে রাখুন। আধাঘণ্টা পর  ওপরে মাওয়া পেস্তাবাদাম কুচি এবং ছোট ছোট মিষ্টি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

নওয়াবি বিরিয়ানি

উপকরণ: বাসমতি চাল ৩২৫ গ্রাম, খাশির মাংস(ছোট টুকরো করে কাটা) আধা কেজি, পেঁয়াজ কুচি ৩টি, আদা রসুন বাটা আধা চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়া ১ চা চামচ, শুকনা মরিচ ৩টি, দারচিনি ১ টুকরো, দই আধা কাপ (ফেটানো), এলাচ ৩টি, গোল মরিচ ৫টি, লবঙ্গ ৫টি, শাহীজিরা আধা চা চামচ,  হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, জাফরান সামান্য সঙ্গে আধা কাপ দুধ, ধনে বা পুদিনাপাতা কুঁচি ১ চা চামচ, আলুবোখারা, কিসমিস, বাদাম, শুকনো ফল, ঘি, লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালী: পাত্রে ঘি গরম করে আলুবোখারা, কিসমিস, বাদাম, শুকনো ফল একটু লবণ দিয়ে ভেজে তুলুন।

এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নিন।

দই, আদা পেঁয়াজ-রসুন-পেস্ট, হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মাংস মেরিনেট করে রাখুন। একটি পাত্রে ঘি গরম করে মাংস দিয়ে রান্না করুন।

এবার অন্য একটি পাত্রে ঘি গরম করে গোটা মশলাগুলো কিছুক্ষণ ভেজে চাল দিন। এখন লবণ দিয়ে পরিমাণ মতো গরম পানি দিয়ে পোলাও রান্না করুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন পোলাও কিছুটা কম সেদ্ধ হয়।

বড় একটি পাত্রে প্রথমে কিছু পোলাও তারপর মাংস দিয়ে একটু একটু গরম মসলার গুঁড়া দিন, এভাবে কয়েকটি লেয়ার করুন। জাফরান ভেজানো দুধ দিয়ে দিন। সবশেষে ভাজা আলুবোখারা, কিসমিস, বাদাম, শুকনো ফল দিন এবার ২০ মিনিটের জন্য চুলার আচঁ কমিয়ে পাত্রের মুখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।

নওয়াবি বিরিয়ানি সার্ভিং ডিশে তুলে ওপরে ধনে বা পুদিনাপাতা কুঁচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

নওয়াবি বিরিয়ানির সঙ্গে একটি কাবাব হলে নওয়াবি ভোজটা জমবে। দেখে নিন বিফ কাবাবের রেসিপি।

বিফ কাবাব
উপকরণ: গরুর কিমা ১ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ৪ চা চামচ, পাউরুটি ৪ পিস, টমেটো কেচাপ ৪ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, গরম মসলা বাটা ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, দুধ আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, তেল ১ কাপ কাঠি প্রয়োজন মতো।

প্রণালী: দুধে পাউরুটি ভিজিয়ে নরম হলে কিমার সাথে মিশিয়ে নিন। বাকি সব মসলা দিয়ে ভাল ভাবে মেখে একঘণ্টা রেখে দিন। মুঠি মুঠি করে মুঠো কাবাব তৈরি করে কাঠির সাথে গেঁথে নিন।

এবার পাত্রে তেল গরম করে কাবাব লাল করে ভাজুন। গরম গরম সস এবং সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন।

গরমের সময় ঈদ হচ্ছে এসব খাবারের সঙ্গে চাই একটি ঠাণ্ডা পানীয়। তৈরি করুন সবার পছন্দের বোরহানি।

বোরহানি

উপকরণ
মিষ্টি দই - ২ কাপ, টক দই - ২ কেজি, কাঁচা মরিচ কাটা - ২ চা চামচ, পুদিনা পাতা বাটা - ২ চা চামচ, সরিষা বাটা - ২ চা চামচ, বিট লবণ - ২ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো (পাতলা বা ঘন যেমনটি করতে চাইবেন), চিনি - ২ টেবিল চামচ, লবণ - ২ চা চামচ, সাদা গোল মরিচের গুঁড়া - ২ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালী
কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা, একসাথে বেটে নিন। বিট লবণ পাটায় গুঁড়া করে করে নিন। উপকরণগুলো একসাথে অল্প পানি দিয়ে গুলে দই-এর মধ্য দিন। এবার মিষ্টি দই, টক দইসহ সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।

বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।