সখিপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজ্জাক খুন !
বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০১৫
স্টাফ রিপোর্টার :
টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলায় ১৪ই জুলাই প্রকাশ্য দিবালোকে মার্কেটের
মধ্যে খুন হয় রাজ্জাক। উপজেলার ৩নং ওয়ার্ডের কাশেম মিয়ার একমাত্র ছেলে
তিনি। ঘটনার দিনই নিহতের মা বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,
যা আজ বুধবার রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। প্রকাশ্যে এ হত্যা নিয়ে এলাকায় খুবই
চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। টনক নড়েছে সংবাদ মাধ্যম ও স্থানীয় রাজনৈতিক এবং
অরাজনৈতিক সংগঠনেরও। হত্যার দিন থেকেই প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল,
মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচী পালন করতে থাকে বিভিন্ন সংগঠন।
পরিবারের একমাত্র সন্তান তিনি, বাবা
প্রবাসী, সংসারে আরও ছিলেন তার স্ত্রী ও অভাগীনী মা। পেশায় গাড়ী ব্যবসায়
নিয়োজিত ছিলেন তিনি। খুবই ঠান্ডা মেজাজী, বুদ্ধিমান ও সফল ব্যবসায়ীও ছিলেন
তিনি। হঠাৎ সু-কৌশলে এবং প্রকাশ্য দিবালোকে কতিপয় সন্ত্রাসীর প্রাণ হারাণ
তিনি। সকলের সামনেই হয়েছে এ হত্যাকান্ড। থেমে নেই আইনী তৎপরতাও। কিন্তু
এলাকাবাসীর প্রশ্ন একটাই, এদের খুটির জোর কি?? কেনইবা হত্যা করা হলো
রাজ্জাককে?
কেন এ রাজ্জাক হত্যা?
স্থানীয়রা জানান, ফাহিম সুপার মার্কেট (ঘটনাস্থল)-এ একটি গেঞ্জি কেনা-বেচা নিয়ে রাজ্জাক ও রুবেল এর সাথে কথা কাটা-কাটি হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ক্ষীপ্ত হয়ে তার বাবার নির্দেশে বড় ভাই শাহ-আলম ও ভাগিনা নাসিরকে সাথে নিয়ে তাকে চা-পাতি, রড, রানদা দিয়ে রাজ্জাককে কুপিয়ে গুরতর আঘাত করে। তৎক্ষনাৎ রাজ্জাক লুটিয়ে পরে মাটিতে। স্থানীয়রা রাজ্জাককে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেয়ে তাকে জরুরী অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের কর্মরত ডাক্তার রাজ্জাককে মৃত ঘোষনা করে।
স্থানীয়রা জানান, ফাহিম সুপার মার্কেট (ঘটনাস্থল)-এ একটি গেঞ্জি কেনা-বেচা নিয়ে রাজ্জাক ও রুবেল এর সাথে কথা কাটা-কাটি হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ক্ষীপ্ত হয়ে তার বাবার নির্দেশে বড় ভাই শাহ-আলম ও ভাগিনা নাসিরকে সাথে নিয়ে তাকে চা-পাতি, রড, রানদা দিয়ে রাজ্জাককে কুপিয়ে গুরতর আঘাত করে। তৎক্ষনাৎ রাজ্জাক লুটিয়ে পরে মাটিতে। স্থানীয়রা রাজ্জাককে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেয়ে তাকে জরুরী অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের কর্মরত ডাক্তার রাজ্জাককে মৃত ঘোষনা করে।
রাজ্জাকের হত্যার পর বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ:
এমন চাঞ্চল্যকর হত্যার পর পরই বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদের ঝড় পরে। স্থানীয় লোকজন তখনই ক্ষীপ্ত হয়ে হত্যাকারী রুবেল এর নিজস্ব মার্কেট ভবন ও বাসায় ভাংচুর চালায়। কিন্ত ততক্ষণে হত্যাকরীরা পারাপার। আজ বুধবার হাজারো লোকের সমাগমে সখিপুর ফোয়ারা চত্বরে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে এলাকাবাসী। শুধু প্রতিবাদ সমাবেশ-ই নয় স্মারকলিপি ও মানববন্ধনের আয়োজন করে বিভিন্ন মহল। আজ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মেয়র আবু হানিফ আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, বণিক সমিতির সভাপতি ইয়ারুম তালুকদারসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ব্যবসায়ী নেতারা, খুনীদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবীতে ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম ও প্রদান করেন।
এমন চাঞ্চল্যকর হত্যার পর পরই বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদের ঝড় পরে। স্থানীয় লোকজন তখনই ক্ষীপ্ত হয়ে হত্যাকারী রুবেল এর নিজস্ব মার্কেট ভবন ও বাসায় ভাংচুর চালায়। কিন্ত ততক্ষণে হত্যাকরীরা পারাপার। আজ বুধবার হাজারো লোকের সমাগমে সখিপুর ফোয়ারা চত্বরে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে এলাকাবাসী। শুধু প্রতিবাদ সমাবেশ-ই নয় স্মারকলিপি ও মানববন্ধনের আয়োজন করে বিভিন্ন মহল। আজ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মেয়র আবু হানিফ আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, বণিক সমিতির সভাপতি ইয়ারুম তালুকদারসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ব্যবসায়ী নেতারা, খুনীদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবীতে ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম ও প্রদান করেন।
নিহতের ভাই প্রত্যক্ষদর্শী রাজীব,সবুজ
শিকদার ও এম আরবি হাশেম জনান, “আমার ভাইকে ওরা (রুবেল, শাহ-আলম, নাসির)
মার্কেটের ভেতর থেকে কোপাতে কোপাতে দোতলার সিড়ি হয়ে মার্কেটের নিচ পর্যন্ত
নিয়ে আসে। রাজ্জাক বাঁচার জন্য বহু চেষ্ঠা করলেও খুনীরা তাকে রেহাই দেয়নি।
তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।”
খুনীদের বিরুদ্ধে নিহতের স্বজনরা বলেন,
“রাজ্জাককে যে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির দাবি করছি। ভবিষৎতে যেন আর কোন মা সন্তান হারা না হন।”
নিহতের মা জানান, “ আমার একমাত্র সন্তানকে
যারা আমার কোল থেকে কেঁড়ে নিয়েছে আমি ওদের (রুবেল, শাহ-আলম, নাসির) ফাঁসি
চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনিও একজন সন্তানের মা!
যারা আমার কাছ থেকে আমার সন্তানকে কেঁড়ে নিয়েছে তারা যেন রেহাই না পায়।
এটা এক সন্তান হারা মায়ের আকুতিময় আবেদন।”
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দিন-দুপুরে সর্ব্বোলোকে যেভাবে আমার সন্তানকে খুন করা হয়েছে আপনাদের মাধ্যমে এ হত্যার সুষ্ট বিচার দাবি করছি।
কারা এই হত্যাকারী ?
হত্যাকারীরা একই উপজেলার ৭নং ওয়ার্ডের
গান্দিনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বাবা আশরাফ পাহাড়ী (৫৫), দুই ছেলে শাহআলম
(৩০), রুবেল (২৫) ও ভাগিনা নাসির (২৮)।
জানা যায়, বাবা আশরাফ পাহাড়ী (৫৫)
ইতিমধ্যে ৬-৭টি বিবাহ করেছেন। শাহ-আলম ও রুবেল বাবার পৈতিক সম্পতি ফাহিম
সুপার মার্কেটেই ব্যবসা করত এমনকি নাসিরেরও একই মার্কেটে দোকান ছিলো।
এ ব্যাপরে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস আলী বলেন, এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় পুলিশ যথেষ্ঠ
তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী নাসির (২৮) কে গ্রেফতার
করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
সৌজন্যে : দেশবার্তা২৪নিউজডটকম।