সোমবার ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২

Logo
Add Image

সোস্যাল মিডিয়া

বাংলাদেশ বেতারের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে ব্যস্ত কুচক্রী সিন্ডিকেট 

প্রকাশিত: ২০২৫-০৫-০৫ ১৯:৫৪:০৭

News Image

খোন্দকার এরফান আলী বিপ্লব, বিশেষ প্রতিনিধি:
দেশের প্রাচীনতম ও সর্ববৃহৎ শক্তিশালী ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতারের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি কুচক্রী সিন্ডিকেট। বর্তমানে বেতারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে নানা মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি।

 

১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গৌরবোজ্জ্বল বাংলাদেশ বেতারটি আওয়ামী দুঃশাসনের সময় এক ফ্যাসিবাদী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ফ্যাসিবাদের পতনের পর এক নতুন অভিযাত্রায় যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বেতার। এই যাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেতারের বর্তমান মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ। গত বছরের ৫ আগষ্ট খুনি শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলে বাংলাদেশ বেতারকে মব ভায়োলেন্সের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। 

 

৫ আগষ্ট জনরোষের কবলে পড়ে বাংলাদেশ বেতার ঢাকা ও খুলনা ক্যাম্পাসে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষতিগ্রস্ত মুরাল অপসারণ করে সে স্থানে সৌন্দর্য বর্ধন করার জন্যেও তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেইসাথে তিনি ফ্যাসিবাদের কবলে ভেঙে পড়া বেতার প্রশাসনকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত করে বেতারের নিজস্ব স্বকীয়তা ও হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম ও অগ্ৰণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন।যার ফলশ্রুতিতে তিনি বেতারের অনুষ্ঠান ও বার্তায় সময়োপযোগী কনটেন্ট ও আধুনিক সম্প্রচার সংযোজনের প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামী দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের সময় বাংলাদেশ বেতারে চলতো ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতিসহ বদলী ও টেন্ডার বাণিজ্য। 

 

বর্তমানে সৎ ও সুদক্ষ মহাপরিচালকের কর্মতৎপরতায় ঐ কুচক্রী সিন্ডিকেটি তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ায় মহাপরিচালক ও তাঁর সৎ ও দক্ষ স্টাফ অফিসার মোঃ মাহমুদুন নবীসহ বেতার প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। কুচক্রী সিন্ডিকেটটি এই কর্মকর্তাদেরকে ফ্যাসিবাদী কালিমা লেপন করে স্ব স্ব পদ থেকে তাদের সরিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। ফেসবুকে ভুয়া/ফেইক আইডি খুলে সেখানে মনগড়া মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। এমনই একটি ফেক আইডির সন্ধান পান এই প্রতিবেদক। ঐ আইডি থেকে নামে মাত্র যে কয়েকটি পোস্ট দেয়া হয়েছে তা শুধুই মিথ্যা প্রোপাগান্ডা বা গুজব ছড়ানোর জন্য। অসাধু চক্রটি বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য আইডিতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ছবিও পোস্ট করতে দেখা গেছে। ঐ আইডিতে বাংলাদেশ বেতারকে জড়িয়ে একটি পোস্ট দেয় চক্রটি। এরপর ঐ আইডির লেখাটি হুবহু নামসর্বস্ব অনলাইন পত্রিকায় তুলে ধরা হয়।

 

এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, বেতার মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ ২০০৬ সালে সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ে যুক্ত হন। ২০০৭-০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কালেও তিনি প্রেস উইংয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি ফ্যাসিবাদী মনোভাবের না হওয়ায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে প্রেস উইং থেকে প্রত্যাহার করে।

 

অন্যদিকে বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তরের উপবার্তা নিয়ন্ত্রক ও মহাপরিচালকের স্টাফ অফিসার মোঃ মাহমুদুন নবী ২৮ তম বিসিএসের একজন সৎ, দক্ষ, চৌকস কর্মকর্তা। বাংলাদেশ বেতারের বার্তা শাখার এই কর্মকর্তা বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম ও কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থায় সুনামের সাথে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। 

 

ইতিপূর্বে তিনি প্রেষণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে (বিসিটিআই) উপ-পরিচালকের  (প্রশাসন) দায়িত্ব পালনকালে প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্ৰাম তৈরি, বাজেট কোড তৈরিসহ একটি নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তিনি বিসিটিআই-এ কর্মরত থাকতে খুনি হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের দোসর ম,হামিদ গাজী রাকায়েতদেরকে কোন প্রশ্রয় দেননি। ফলে তাদের সাথেও তাঁর দুরত্ব তৈরি হয়। বিষয়টি বিসিটিআই এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী জানেন। ন্যায়, নীতি, সততা ও আপোষহীন মনোভাবের জন্য সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রামে চলে যান। তাঁর প্রমাণিত দক্ষতার কারণে তিনি বিগত চার বছর ধরে মহাপরিচালকের স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করে চলেছেন। অথচ এই পদটিতে কোনোরূপ আর্থিক সংশ্লেষ নেই। 


মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ ও স্টাফ অফিসার মোঃ মাহমুদুন নবী বেতারের অগণিত শ্রোতাদের কাছেও ফ্যসিবাদবিরোধী সৎ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। এ প্রসঙ্গে বেশ কয়েকজন শ্রোতা বলেন তাদের সুনামের ঈর্ষান্বিত হয়ে চিহ্নিত ফ্যাসিবাদী মহল তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে।

 

অভিজ্ঞ মহল ও বেতার সংশ্লিষ্টরা জানান গত আগষ্ট বিপ্লবের পর বিসিএস প্রশাসন ১৩তম ব্যাচের মেধাবী কর্মকর্তা জনাব মাহবুবা ফারজানা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন এবং দক্ষতা ও সুনামের সাথে মন্ত্রণালয়টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিগত সময়ে সরকারি প্রোপাগান্ডার বদনাম ঘুচিয়ে গণমাধ্যমগুলোকে স্বাধীনভাবে চলতে দেয়ার মূল কারিগর তিনি। ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হওয়া সত্ত্বেও তিঁনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁর সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বেই মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদ ও স্টাফ অফিসার মোঃ মাহমুদুন নবীদের মতো সৎ কর্মকর্তারা বেতারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আগামীর পথে।

 

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড: মো: ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত করে গণতন্ত্রায়নের পথে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে বাংলাদেশ বেতারের বর্তমান প্রশাসন সেই কাজে শরিক হওয়ার জন্য জোরালোভাবে কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশ বেতারের মতো দেশের সবচেয়ে বড় গণমাধ্যমে এমন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা জরুরী বলে মনে করছেন দেশের সচেতন সমাজ।
 

Logo
Logo





Logo
Logo

সম্পাদক : আবু তাহের

© ২০১৪-২০২৫ টাঙ্গাইল দর্পণ, অনলাইন নিউজ পেপার ২৪/৭