সৈয়দ আশরাফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সৈয়দ আশরাফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সৈয়দ আশরাফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের নক্ষত্র, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের নক্ষত্র, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবে আওয়ামী লীগ।

২০১৯ সালের এই দিনে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৮ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই রাজনীতিবিদ।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। যিনি রাজনীতির সততায় জীবন গড়েছিলেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে ভারতের উত্তর প্রদেশের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্র হত্যা করার পর ৩ নভেম্বর কারাগারে সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকেও নির্মমভাবে হত্যা পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যুক্তরাজ্য চলে যান। সেখানেও তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দেশে ফেরেন ১৯৯৬ সালে।

১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। দায়িত্ব পালন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণায়ের প্রতিমন্ত্রীর। ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত শাসনের সময় আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ আশরাফ।

২০০৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করেন। এরপর  জনপ্রশাসনমন্ত্রী করা হয় তাকে।

২০১৬ সালে সম্মেলনে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে স্ত্রী শীলা ঠাকুরের মৃত্যুর পর অনেকটা নিভৃত জীবনের দিকে ঝুঁকে পড়েন সৈয়দ আশরাফ। এরপর ২০১৯ সালের এই দিনে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৮ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই রাজনীতিবিদ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/101784/সৈয়দ-আশরাফের-প্রথম-মৃত্যুবার্ষিকী-আজ