জলবায়ু বাজেট বাস্তবায়নে মনিটরিং কমিটি গঠনের দাবি

জলবায়ু বাজেট বাস্তবায়নে মনিটরিং কমিটি গঠনের দাবি

টাঙ্গাইলদর্পণ নিউজ ডেস্ক :
 
জলবায়ু বাজেট বাস্তবায়নে মনিটরিং কমিটি গঠনের দাবি

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সরকারি-বেসরকারি ও সুশীল সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগে মনিটরিং টাস্কফোর্স-কমিটি গঠন জরুরি বলে মত দিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের ডেইলি স্টার সেন্টারে রোববার ‘বাংলাদেশ জলবায়ু বাজেট ২০১৯-২০ অর্থবছর : সুশীল সমাজ সংস্থার বিশ্লেষণ ও প্রতিফলন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা। একশনএইড বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

বক্তারা বলেন, পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি জলবায়ু বাজেট বাস্তবায়নের যথার্থতা নিশ্চিতে জলবায়ু ও দুর্যোগ বিষয়ক গবেষণা ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এখনও অনেক কম। অপরদিকে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও জলবায়ু সম্পর্কিত সরাসরি বরাদ্দ অত্যন্ত কম। গবেষণাখাতে বরাদ্দ বাজেটও পর্যাপ্ত নয়। ফলে দেখা দিচ্ছে দক্ষতা ও জ্ঞানের অভাব। তাই বাজেট বৃদ্ধি এবং একই সঙ্গে বরাদ্দ দেয়া বাজেটের যথাযথ ব্যবহার পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের পরিচালক ড. সলিমুল হক বলেন, ‘জলবায়ু বাজেট প্রতি বছর বৃদ্ধি পেলেও এর প্রভাব পরিমাপ করা জরুরি। বরাদ্দ বাজেটের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে বাজেট পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাভিত্তিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সম্মিলিত উদ্যোগে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে; যার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আরও কার্যকরী জলবায়ু বাজেট পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।’

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জলবায়ু বাজেট ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সে জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিপদাপন্নতার দু’টি দিক রয়েছে- একটি হলো ভৌগলিক এবং আরেকটি হলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক। অভিযোজনকে এ উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একশনএইড বাংলাদেশের রেজিলিয়েন্স ও ক্লাইমেট জাস্টিস ইউনিটের প্রধান তানজীর হোসেন এবং প্রোগ্রাম কর্মকর্তা লামিয়া হোসেন। এ ছাড়া আরও উপস্থিতি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম. খালিদ মাহমুদ, একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির প্রমুখ।