দেলদুয়ার-পাকুল্যা সড়কে ডাকাতদের ভয়ে যাত্রীরা চরম আতঙ্কে

দেলদুয়ার-পাকুল্যা সড়কে ডাকাতদের ভয়ে যাত্রীরা চরম আতঙ্কে

দেলদুয়ার প্রতিনিধি, টাঙ্গাইলদর্পন.কম :
 
দেলদুয়ার-পাকুল্যা সড়কে ডাকাতদের ভয়ে যাত্রীরা চরম আতঙ্কে
 
রাত নামলেই দেলদুয়ার-পাকুল্যা সড়ক ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দখলে চলে যায়। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ডাকাত কিংবা ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের। ফলে রাতে এই সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীরা থাকেন চরম আতঙ্কে। এখন উপজেলার মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম দেলদুয়ার-পাকুল্যা সড়কপথ। গাড়ির গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি এবং অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এখন সড়কে চলাচলকারী মানুষদের কাছে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধ্য হয়ে তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ সড়কে চলাচল করছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা বলেন, এ সড়কটিতে প্রতি মাসেই দু’একবার ছিনতাই, ডাকাতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সড়কটিতে একাধিক সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল থামিয়ে নিয়মিত ডাকাতি করে আসছে। দেলদুয়ার-পাকুল্যা সড়কের পাকুল্যা সংলগ্ন-ব্রিজ, পাকুল্যা সংলগ্ন-রবি টাওয়ার, বাথুলি মোর, রত্নাউরী নামক স্থানে ঘটে থাকে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা।

জানা যায়, গত ২৭ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিজানুর রহমান নামে এক ব্রাক ম্যানেজার তার নিজ কর্মস্থল কালিয়াকৈর যাওয়ার পথে দেলদুয়ার-পাকুল্যা সড়কের রত্নাউরী নামক স্থানে পৌঁছলে একদল ডাকাত মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। ব্রাক ম্যানেজার প্রতিরোধের চেষ্টা করলে ডাকাতরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে একটি ডিসকভার মোটরসাইকেলসহ সঙ্গে থাকা ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দেলদুয়ার থানার ওসি একে সাইদুল হক ভূইয়া বলেন, এ সড়কটিতে নিয়মিত পুলিশের টহল চলছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা এসে এ রাস্তায় অঘটন ঘটিয়ে চলে যায়। অনেক চোর-ডাকাত ও ছিনতাইকারীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।