বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিট ১৯-২০ নভেম্বর মালয়েশিয়াতে

বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিট ১৯-২০ নভেম্বর মালয়েশিয়াতে

bangladesh-global-summit-19-20-held-in-malaysia
বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করার প্রয়াসে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন (আয়েবা)’র উদ্যোগে ১৯-২০ নভেম্বর ২০১৬ কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিট। মালয়েশিয়ার রাজধানীতে চলতি বছর অনুষ্ঠিতব্য ২ দিনব্যাপী এই সামিটে ৬ টি মহাদেশের শতাধিক দেশে বসবাসরত বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন সহ প্রায় ৭০ টি বাংলাদেশ মিশনের সহযোগিতায় পৃথিবীর নানা প্রান্তের প্রবাসী বাংলাদেশীদের এই মহামিলনমেলাকে সর্বাত্মক সফল করতে প্যারিসে অবস্থিত আয়েবা সদর দফতর থেকে প্রশাসনিক সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। 

অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন (আয়েবা) মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ কর্তৃক গতকাল শুক্রবার প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের বাইরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এযাবতকালের সবচাইতে বড় এই প্রবাসী মহাসমম্মেলন তথা বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে ইতিমধ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব আবদুল রাজ্জাককে। আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিরা হচ্ছেন মালয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। মালয়েশিয়া সরকারের ৪ টি গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদেরও বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিটে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। 

তাঁরা হচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফাহ আমান, মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট জায়েম, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রী নাজরি আবদুল আজিজ এবং নারী, পরিবার ও কমিউনিটি উন্নয়ন মন্ত্রী রোহানি আবদুল করিম। ১৯ নভেম্বর শনিবার সকালে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর একই দিন বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে বিষয়ভিত্তিক একাধিক সেমিনার এবং প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, যাতে অংশ নেবেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত হাই-প্রোফাইল এক্সপার্ট বাংলাদেশীরা। ২০ নভেম্বর রবিবার সামিটের দ্বিতীয় ও শেষ দিবসে বিশেষ ওয়ার্কিং সেশন ছাড়াও মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পীদের অংশগ্রহনে থাকবে জমকালো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ‘বাংলাদেশ নাইট’। সামিট ভেন্যুতে ২ দিনই আয়োজন করা হয়েছে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ বিষয়ক এক্সক্লুসিভ শো-কেস (প্রদর্শনী), যাতে বাংলাদেশ রপ্তানী।