আয়লানের মৃত্যু : দুই পাচারকারীর কারাদণ্ড

আয়লানের মৃত্যু : দুই পাচারকারীর কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  গত বছর সেপ্টেম্বরে বাবা-মায়ের সঙ্গে ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে সাগরে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল তিন বছরের ছোট্ট শিশু আয়লান কুর্দিসহ আরো পাঁচজনের। অবৈধভাবে সাগর পথে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছে শরণার্থীরা। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ পথে প্রাণ হারাচ্ছে বহু শরণার্থী। এ নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই কারো।

তবে সাগরতীরে আয়লানের মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা মৃতদেহের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বিশ্ব জুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এতে টনক নড়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের। আয়লানের মৃত্যুর পর মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। আর ওই অপরাধেই দুই সিরীয় পাচারকারীকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত।

ওই দুই সিরীয় শরণার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে অবৈধভাবে  নৌকায় করে  তাদের ইউরোপে পাঠাত। এমন অভিযোগ ওঠার পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। পরে ওই অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে তাদের অবহেলায় আয়লানের মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে তারা।

ওই দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন আয়লানের বাবা আবদুল্লাহ কুর্দি। তিনি সিরিয়ায় ফিরে গেছেন। জীবনের ঝুঁকি থাকার পরেও বহু শরণার্থী আজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ হয়তোবা ভালোভাবেই ইউরোপে পৌঁছাতে পারছে আবার অনেকে সাগরে ডুবে প্রাণ হারাচ্ছে। ২০১৬ সালের প্রথম দু’মাসে ৪শ ১৮ জন শরণার্থী নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছে।