টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে স্কুল ছাত্র পঞ্চম শ্রেণী পাশ করে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে স্কুল ছাত্র পঞ্চম শ্রেণী পাশ করে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার :  অবাস্ত মনে হলেও বাস্তব ঘটনা ঘটিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বাথুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা। কোন রকমে পঞ্চম শ্রেনী পাশ করা ছাত্রকে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি না করে দুর্নীতির মাধ্যমে সরাসরি অষ্টম শ্রেনীতে ভর্তি করে তিনি এই আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র আলোচনার ঝড় উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামের সাইজ উদ্দিনের ছেলে সজিব সিকদার ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৩ পেয়ে দেলদুয়ার অ্যাফেক্্ট্ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে পাশ করে। সজিব সিকদারকে উক্ত স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য বলা হলেও তার অভিভাবক রাজি হয়নি। তাকে সরাসরি অষ্টম শ্রেনীতে ভর্তি করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু অ্যাফেক্্ট্্ স্কুল কর্তৃপক্ষ অনৈতিক কাজটি না করলেও বাথুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সজিব সিকদারকে সরাসরি অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করেন। ভর্তি রশিদের ক্রমিক নং-১৩৭১ এবং ভর্তির তারিখ চলতি বছরের ৯ জানুয়ারী। ভর্তি অনুযায়ী সজিব সিকদারের শ্রেণী রোল-১৪৪। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে চলতি এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণের জন্য শর্তসাপেক্ষে স্বপদে বহাল হন। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।

এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণী পাশ করা ছাত্রকে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করা যায় না। কোন শিক্ষক ভুল করে করতে পারেন। অষ্টম শ্রেণীর শ্রেণী শিক্ষক নুসরাত জাহান মনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সজিব সিকদারকে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করতে আমি বাধ্য হয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রোকেয়া খাতুন বলেন, আমাদের দেশে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার বিধান নেই। আমি তদন্ত করে বিষয়টি দেখব।

দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদত হোসেন কবির বলেন, এ ধরণের কাজ কেউ করে থাকলে অবশ্যই তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।