অ্যাশেজ জয়ের পরও অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন কুক

অ্যাশেজ জয়ের পরও অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন কুক

স্পোর্টস ডেক্স : টেন্ট্র ব্রিজে চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পরও অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংলিশ দলপতি অ্যালিস্টার কুক। অ্যাশেজ শেষ হবার পরও অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে চিন্তা করেছিলেন তিনি। তবে সেই সব চিন্তা থেকে সরে এসেছেন কুক। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা ছিলো অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবো। তবে দলের কোচ ও অন্যান্য স্টাফদের সাথে আলোচনা করে পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

১১তম ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় কুককে। এমনকি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের দলেও জায়গা পাননি তিনি। ফলে ক্ষোভটা অনেক বেশিই ছিলো কুকের মনে। সেই ক্ষোভ থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরিকল্পনা থাকতেই পারে। কিন্তু অ্যাশেজের মতো সিরিজ জয়ের পরও অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছেন কুক, এমন কথায় যে কারো ভুরু কুচকে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু তথ্যটি সত্যি। তথ্যটি নিজেই দিয়েছেন কুক।

তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা ছিলো অ্যাশেজের পরই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবো। অনেক তো হলো। দলের প্রয়োজনে জায়গাটি ছেড়ে দেয়া উচিত বলে মনে হয়েছে। টেন্ট্র ব্রিজে জয়ের পরই চেয়েছিলাম অধিনায়কত্ব ছাড়তে। সেটিও পরে করতে পারেনি। তারপর ভাবলাম সিরিজ শেষে। কিন্তু এবারও তা হচ্ছে না। আরও কিছুদিন অধিনায়কত্ব করতে চাই।’

হঠাৎ করেই অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে কুক বলেন, ‘কোচের সাথে এ বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তার ইচ্ছা আমিই অধিনায়ক থাকি। আমারও মনে হচ্ছে- দলের প্রয়োজনে আমার থাকা উচিত। কিছুদিন পরই মৌসুম শুরু হচ্ছে। আগামি মৌসুমে কি হবে, আমি তা জানি না। তবে দলের সাফল্যের জন্য একজন খেলোয়াড় হিসেবে যা যা করা দরকার তাই করবো। দলকে যেভাবে পরিচালনা করা উচিত সেভাবেই করবো।’

অস্ট্রেলিয়ার উপর পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে খেলেই ৬৯তম অ্যাশেজ সিরিজ জয় ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। দলের সাফল্যে তিনি বলেন, ‘এবারের অ্যাশেজ সিরিজ জয় ছিলো অবিশ্বাস্য। অনেকেই অবাক হয়েছেন আমরা সিরিজ জেতাতে। কারণ কেউ ভাবতেই পারেননি, এবার ইংল্যান্ড সিরিজ জিতবে। কারণ, সিরিজ শুরুর আগে ফেভারিটের তালিকায় ছিলো অস্ট্রেলিয়া। তবে এবার সিরিজ জয়ের পেছনে সবারই অবদান ছিলো। যার যা দায়িত্ব ছিলো, তা সঠিকভাবে পালন করেছে। এই দলটি আরও কিছুদিন এক সাথে খেলতে পারলে, শক্তিশালী দলে পরিণত হবে। এই দলে তরুণ ও প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে অ্যান্ডারসন ও ব্রডের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এদের সংমিশ্রণে খুব দ্রুতই টেস্ট ক্রিকেটে বড় বড় সাফল্য পাবে ইংল্যান্ড, এমনটা প্রত্যাশা আমার।’ সূত্র: ওয়েবসাইট