টিকা বিরোধী বিক্ষোভে অশান্ত ব্রাসেলস
টিকা বিরোধী বিক্ষোভে অশান্ত ব্রাসেলস
ইউরোপজুড়ে করোনা রোগীর সংখ্যার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে লকডাউন সংক্রান্ত নতুন বিধিনিষেধ বেলজিয়ামেরকে অশান্ত করে তুলেছে। নতুন করে নিয়মের বেড়ায় বাঁধা পড়ার খবর শুনেই ক্ষুব্ধ ইউরোপীয়দের এই একাংশ। সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্রাসেলসের রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ।
আন্তর্জাতিক ডেস্কইউরোপজুড়ে করোনা রোগীর সংখ্যার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে লকডাউন সংক্রান্ত নতুন বিধিনিষেধ বেলজিয়ামেরকে অশান্ত করে তুলেছে। নতুন করে নিয়মের বেড়ায় বাঁধা পড়ার খবর শুনেই ক্ষুব্ধ ইউরোপীয়দের এই একাংশ। সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্রাসেলসের রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
কমপক্ষে ৩৫ হাজার লোক ভিড় করেছিলেন সেন্ট্রাল ব্রাসেলসে। বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক ছিলো না। দূরত্ব-বিধির তো প্রশ্নই নেই। দিনভর বিক্ষোভ দেখানোর পরে তাদের অনেকেই বাড়ির দিকে রওনা হয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় হঠাৎ সহিংসহ চেহারায় রুপ নেয় বিক্ষোভ।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকশো বিক্ষোভকারী পুলিশকে নিশানা করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন। গাড়ি ভাঙচুর করেন। আবর্জনা ফেলার জায়গাগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। কিছু জায়গায় জলকামান দাগা হয়। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের অনেকে জখম হয়েছেন। ঠিক কত জন, তা বলা সম্ভব নয়। বিক্ষোভকারীদের অনেককে আটক করা হয়েছে। আটকের সংখ্যাও সঠিক জানাতে পারেননি ওই আধিকারিক।
ইউরোপের বেশির ভাগ দেশেই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অস্ট্রিয়া, বেলজিয়ামের মতো কিছু দেশ পিছিয়ে রয়েছে। টিকার অভাব নয়, দেশবাসীর একাংশের অনিচ্ছার জন্য টিকাকরণ থমকে রয়েছে এ সব অঞ্চলে। সরকার এত দিন করোনা টিকা নেয়া আবশ্যিক ঘোষণা করেনি। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় টিকা নেয়ায় জোর দিচ্ছে প্রশাসন। এ দিনের বিক্ষোভের কারণ ছিলো এটাই।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম অভিযোগ, টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করতে পারে না সরকার। ‘স্বাধীনতা চাই’স্লোগান তোলেন তারা। ফ্যাসিবাদ-বিরোধী গান ‘বেলা চাও’ গাইতে শোনা যায় অনেককে। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিলো বিশাল ব্যানার। তাতে লেখা, ‘সকলের একসঙ্গে স্বাধীনতা চাই’। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরের সামনে মিছিল করে একত্রিত হন। কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দল থেকে এলজিবিটি কমিউনিটি, সকলেই পতাকা হাতে যোগ দেন।
গত কয়েক সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত বহু দেশে ভ্যাকসিন-বিরোধী মিছিল হয়েছে। শনিবার নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলেছিলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সম্প্রতি জানিয়েছে, এই মহাদেশ এখন কোভিডের হটস্পট হয়ে রয়েছে। তার মধ্যে এ ধরনের বিক্ষোভ আরও সংক্রমণ বাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। ইউক্রেন, রাশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়ার মতো দেশেও হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা নেই। চিকিৎসা ব্যবস্থা বেহাল। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কা, এই শীতে আরও কয়েক লক্ষ প্রাণহানি ঘটবে ইউরোপে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/international/182512/টিকা-বিরোধী-বিক্ষোভে-অশান্ত-ব্রাসেলস