মহিলা অধিদপ্তরের হেলথ ক্যাম্প ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা সামগ্রী বিতরণে ‘নয়ছয়’

মহিলা অধিদপ্তরের হেলথ ক্যাম্প ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা সামগ্রী বিতরণে ‘নয়ছয়’

মহিলা অধিদপ্তরের হেলথ ক্যাম্প ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা সামগ্রী বিতরণে ‘নয়ছয়’

টাঙ্গাইলে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা প্রকল্পের আওতায় উপকার ভোগীদের জন্য হেলথ ক্যাম্প ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা সামগ্রী বিতরণে ‘নয়ছয়’এর অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মেহেরুন্নেছা মনির বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা প্রকল্পের আওতায় উপকার ভোগীদের জন্য হেলথ ক্যাম্প ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা সামগ্রী বিতরণে ‘নয়ছয়’এর অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মেহেরুন্নেছা মনির বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে ক্যাম্প পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে। অপরদিকে হেলথ ক্যাম্পের সেবা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা সামগ্রী না পেয়েই অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মহিলা অধিদপ্তর কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক শামীম জানান, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৬০০জন উপকার ভোগীদের জন্য এই হেলথ ক্যাম্পের আওতায় চিকিৎসা সেবা প্রদান প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা সামগ্রী বিতরন করা হয়। তবে প্রত্যেককে একটি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়ার কথা থাকলেও সেটির মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় একটি করে লাক্স সাবান দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিজনের জন্য কত টাকা বরাদ্দ রয়েছে তা তিনি সঠিকভাবে জানেন না।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা প্রকল্পের আওতায় উপকার ভোগীদের জন্য সকাল ৯ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। উপকারভোগী মায়েরা তাদের শিশু সন্তান নিয়ে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে হাজির হয়েছেন চিকিৎসা সেবা নিতে। গাদাগাদি করে উপকারভোগী মায়েরা তাদের শিশু সন্তান নিয়ে রেজিস্ট্রি খাতায় নাম লেখাতে ভীর করছেন। কিন্তু অনেকেই আবার চিকিৎসা সেবা না পেয়েই চলে যাচ্ছেন। তবে চলে যাওয়ার সময় তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা সামগ্রী হিসেবে ৪টি ওরস্যালাইন, ৫টি মাস্ক, একটি ৩২ টাকা মূল্যের লাক্স সাবান, ১০ টাকা মুল্যের একটি এনার্জিপ্লাস বিস্কুট, ডানো গুড়ো দুধ একটি।

ক্যাম্প চলাকালীন সময়ে দুইজন ডাক্তার ও দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাক্তার দায়িত্ব পালন করছে। সেবা ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা সামগ্রী না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শহরের থানা পাড়া এলাকার সম্পা বেগম বলেন, আমার ফোন করে শিশু একাডেমিতে ডেকে এনেছে। কিন্তু সেবা তো দূরের কথা, স্বাস্থ্য সামগ্রীও দেয়নি। এতে আমি সময় ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। অপর জন স্বপ্না আক্তার বলেন, ডেকে আনলো স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু মহিলা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তেমন কোন সেবাই পেলাম না।

চিকিৎসা নিতে আসা পৌর এলাকার কালিপুর গ্রামের তানিয়া আক্তার জানান, তিনি গিয়েছিলেন তার শিশু সন্তানের চিকিৎসা নিতে। কিন্তু সেখানে কোন চিকিৎসা না দিয়ে তাদের চারটি স্যালাইন, ৫টি মাস্ক ও একটি লাক্স সাবান দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়। তবে কাউকে কাউকে ৪টি ওরস্যালাইন, ৫টি মাস্ক, একটি ৩২ টাকা মূল্যের লাক্স সাবান, ১০ টাকা মুল্যের একটি এনার্জিপ্লাস বিস্কুট, ডানো গুড়ো দুধ বিতরন করা হয়েছে।

সালমা আক্তার নামের আরেক উপকারভোগী জানান, তার শিশু সন্তানকে কোন চিকৎসা দেওয়া হয়নি। তবে তাকে একটি সাবান, চারটি স্যালাইন ও ৫টি মাস্ক দেওয়া হয়েছে।

হেলথ ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া আফরোজ লুবনা বলেন, সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত চারজন দায়িত্ব পালন করেছি। প্রথম দিন ২০০ জন, দ্বিতীয় দিন ১৫০ জন ও শেষের দিন ১২০ জন রোগি দেখেছি।

জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মেহেরুন্নেছা মনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী জেলা প্রশাসনের সাথে সভা করে নির্বাচন করা হয়েছে। হ্যান্ড সানিটাইরাইজার দাম সর্বনিম্ন ৫০ টাকা। এতো টাকা বরাদ্দ না থাকায় সাবান দেয়া হয়েছে। এছাড়াও চারজন ডাক্তার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছে। সকলকেই স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে। কেউ যদি মিথ্যা বলে তাহলে সে ভুল তথ্য দিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএম

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/182949/মহিলা-অধিদপ্তরের-হেলথ-ক্যাম্প-ও-স্বাস্থ্য-পরিচর্যা-সামগ্রী-বিতরণে-নয়ছয়