৭ দিনে এক কোটি মানুষকে যেভাবে টিকা দেয়া হবে

৭ দিনে এক কোটি মানুষকে যেভাবে টিকা দেয়া হবে

৭ দিনে এক কোটি মানুষকে যেভাবে টিকা দেয়া হবে

যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না এমন ব্যক্তিরা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে কেন্দ্রেই নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ

জার্নাল ডেস্ক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ৭ আগস্ট থেকে সাত দিনের জন্য দেশের প্রত্যেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে করোনার টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। এ সাত দিনে প্রায় ১ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। খবর বিবিসি বাংলার

সপ্তাহব্যাপী এই টিকা কর্মসূচীতে গ্রাম পর্যায়ের মানুষজন, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি এবং নারীদের অগ্রাধিকারের দেয়া হবে। এছাড়া যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না এমন ব্যক্তিরা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে কেন্দ্রেই নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবেন। ২৫ বছর বয়স থেকে টিকা দেয়া হবে।

কিভাবে চালানো হবে কর্মসূচী?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলছেন, সারাদেশে ৪৬০০টি ইউনিয়ন আছে। প্রতিটি ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্র এবং ৩টি বুথ থাকবে। প্রতিটি বুথে ২০০ করে মোট ৬০০ জনকে প্রতিদিন টিকা দেয়া হবে। কেন্দ্র হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি কোন স্কুল, মাদ্রাসা অথবা যেখানে জায়গা আছে এরকম প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করার কথা বলেছি। এটা তারা স্থানীয়ভাবে নির্ধারণ করবেন।

‘এখানে শিশুদের টিকা কর্মসূচীর মডেল অনুসরণ করা হবে। বছরব্যাপী যেসব স্বাস্থ্যকর্মী শিশুদের টিকা দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকেন তারা সহায়তা করবেন।’

অনলাইনে নিবন্ধন ছাড়াও টিকা পাওয়া যাবে

গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে টিকা দেয়ার গণকর্মসূচী শুরু হয়। তবে গণ-টিকাদান কর্মসূচীর শুরু থেকে নিবন্ধন নিয়ে নানা জটিলতা, টিকার ঘাটতি এসব কারণে এক পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়। অনেকেই টিকা নিতে আগ্রহীও ছিলেন না। কিন্তু করোনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি এবং তা গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে যাওয়ার পর টিকার ব্যাপারে অনেকেরই আগ্রহ বেড়েছে। তাই কর্মসূচী সহজ করার জন্য যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না তারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নিজের এলাকার টিকা কেন্দ্রে গেলে সেখানেই নিবন্ধন করে টিকা নেয়া যাবে। 

সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও টিকা নেয়া যাবে।

তবে সেব্রিনা ফ্লোরা বলছেন, এখনো পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে টিকা দেয়া হচ্ছে না কিন্তু ধরুন কোন কেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগ বা বিদ্যুৎ চলে গেল, এরকম সময় টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের যাতে ফেরত যেতে না হয় সেজন্য স্থানীয়ভাবে কর্মকর্তারা ঠিক করবেন কিভাবে তা দেয়া যায়।

যারা ইতিমধ্যেই অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু তারিখসহ এসএমএস পাননি তারাও সরাসরি নিজের এলাকার কোন কেন্দ্রে টিকা কার্ডটি নিয়ে গেলেই টিকা দিতে পারবেন।

তবে ডা. ফ্লোরা বলছেন, সরকারের চেষ্টা থাকবে যতটা সম্ভব অনলাইনে নিবন্ধন নিশ্চিত করা যাতে করে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে সকল তথ্য থাকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সহজ হয়।

বয়স্ক ব্যক্তি নারীদের অগ্রাধিকার

এই কর্মসূচী চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত। তবে প্রথম দুই ঘণ্টা শুধুমাত্র নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা টিকা পাবেন। বাকিদের পরে দেয়া হবে, তবে সে সময় যদি কোনা বয়স্ক ব্যক্তি ও নারী টিকা নিতে আসেন তাদের ফেরানো হবে না।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের দরকার অনুযায়ী সময় ও স্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবার কথা বলা হয়েছে। ধরুন কোন চরাঞ্চল থেকে কেউ আসবেন। তাদের পৌঁছানোর জন্য সময় লাগতে পারে। সেজন্য স্থানীয়ভাবে কর্মকর্তারা সময় বাড়ানো বা স্থান নির্ধারণ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/169304/৭-দিনে-এক-কোটি-মানুষকে-যেভাবে-টিকা-দেয়া-হবে