সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতনে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি

সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতনে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি

সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতনে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি

টাঙ্গাইলদর্পন ডেস্ক :

মাদারীপুরের কালকিনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের প্রতিবাদ ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।

রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মাদারীপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি প্রেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মাদারীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম মাওলা আকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব খান শিশির, দৈনিক বিশ্লেষণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জহিরুল ইসলাম খান, দি ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আলী আকবর খোকা, দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি আয়েশা সিদ্দিকা আকাশী, শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালমা বেগম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বক্তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে  ওই সাংবাদিককে নির্যাতনে জড়িত এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদল তালুকদারকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুরে কালকিনির পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদল তালুকদারের সমর্থকরা সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। এ সময় শহিদুল ইসলামকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে কালকিনি থানায় নিয়ে আসে।

এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছোট ভাই সরোয়ার তালুকদার (৩০) ও নাজমুল খান (১৭) নামে দুইজনকে আটকও করা হয়। পরে রাতে চাঁদাবাজির মামলায় শহিদুলকে গ্রেফতার দেখায় কালকিনি থানা পুলিশ।

এরপর শনিবার সকালে শহিদুল ইসলামকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে দুপুরে মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক আফরোজা বেগম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।