নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন চাই-মুসলিম লীগ

নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন চাই-মুসলিম লীগ


নবাব সলিমুল্লাহর ১০২ তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার : জনগণ বিশ্বাস করে যে, সর্বজন গ্রহণযোগ্য স্বাধীন একটি নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালন না করলে দেশের কোনো পর্যায়েরই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হবে না। নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়ে জাতিকে আশান্বিত করেছেন। প্রধান রাজনীতিবিদ মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনগণের চাহিদা অনুযায়ী একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিশ্বাস করে।

 

আজ বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভি.আই.পি লাউঞ্জে মুসলিম লীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১০২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তাগন উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডাঃ এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন,  নবাব সলিমুল্লাহ ছিলেন বিশাল মনের মানুষ। তার অর্ধেকের বেশী সম্পদ মুসলমান জাতির কল্যানে দিয়ে গিয়েছেন। পাঠ্যপুস্তকে ভুলের সমালোচনা করে জনাব চৌধুরী বলেন, এই ধরনের ভুলের জন্য অন্য যে কোন দেশে দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা পদত্যাগ করতেন। বর্তমানে যাকে গণতন্ত্র বলা হচ্ছে তা গণতন্ত্র না। তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আমরা শন্তি চাই, গণতন্ত্র চাই। সরকারের মত সকল দলের দলের সভা সমাবেশ করার অধিকার চাই।



দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.আই ইসলাম মিলন ও প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুরের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বি.এম এল সভাপতি এএইচ এম কামরুজ্জামান খান, জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূর হোসেন কাশেমী, মুসলিম লীগ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এডঃ বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা, বিকল্প ধারা সহ-সভাপতি নেতা শাহ মোহাম্মদ বাদল, মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের,মুসলিম লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম, মুফতি কারামত ফরাজী, আব্দুর রশিদ খান চৌধুরী, বি.এম.এল মহাসচিব এডঃ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা রিদওয়ানুল বারী, মহিলা মুসলিম লীগ সভানেত্রী ডাঃ হাজেরা বেগম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, এডঃ জসীম উদ্দিন ফকির, অধ্যাপক জাকির হোসেন, শফিকুল ইসলাম, নুরুল আলম প্রমুখ।



নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নবাব সলিমুল্লাহ দিশাহীন জাতিকে আলোর সন্ধান দিয়ে নিজে নিঃস্ব হয়েছেন। তিনি কখনও সংঘাতের রাজনীতি চাননি করেননি। পূর্ব বাংলার তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তিনি সংঘাতের রাজনীতির পথে হয়ত হাটতে পারতেন, কিন্তু তা না করে তিনি দরিদ্র অশিক্ষিত মুসলমান জাতির শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে জাতিকে যোগ্য করে গড়ে তোলার কাজে মনোযোগী ছিলেন। জাতি হিসাবে বাংলাদেশীদের যত অর্জন তার সিংহ ভাগই তার এই দুরদর্শী সিদ্ধান্তের ফসল। দুঃখের সাথে বলতে হয় এ মহান নেতার এ অবদানকে আমরা স্মরণ করি না। নেতৃবৃন্দ জাতীয় পাঠ্যসূচীতে নবাব সলিমুল্লার জীবনি অন্তভূক্তির জোর দাবী জানান।