মুঠোফোন ও ইন্টারনেট এর অপব্যবহারে আজ তরুণ প্রজন্ম ও সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংসের সম্মুখীন : বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন

মুঠোফোন ও ইন্টারনেট এর অপব্যবহারে আজ তরুণ প্রজন্ম ও সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংসের সম্মুখীন : বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন


বিশেষ প্রতিবেদন : বিশ্বে বর্তমানে মুঠোফোন, ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি এক অলৌকিক পরিবর্তন আনায়ন করিয়াছে। আজ এর ব্যবহার ছাড়া মানব সভ্যতা ভাবা দুষ্কর। আজ অনেক দেশ এ খাতে ব্যবসা বাণিজ্য করে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও এই খাত থেকেও তাদের জিডিপির প্রায় ৭% অর্জন করে। যদিও বাংলাদেশে বর্তমানে জিডিপির প্রায় ৪ ভাগ এ খাত থেকে অর্জিত হয়। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ কোটি। যদিও বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবমতে বাংলাদেশের ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীর সংখ্যা  ১ কোটি ২০ লক্ষ। মুঠোফোন হ্যান্ড সেটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি প্রায় এবং সিম/রীম এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ২০ লক্ষ। এই বিপুল জনসংখ্যা দেশের তথ্য প্রযুক্তি যদি সকলের জন্য নিশ্চিত করা সম্ভব হতো এবং সহজলভ্য করা হতো তাহলে এ খাত থেকে বাংলাদেশেও ৭.৫% জিডিপি অর্জন করা সম্ভব ছিল। কিন্তু বাজারে এখনও অসম প্রতিযোগিতা আইন তৈরি না হওয়ার কারণে মুষ্টিমেয় প্রতিষ্ঠান মনোপলি ব্যবসা পরিচালনা করছে। আবার মুঠোফোন, ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য আজ অবদি কোন সুষ্ঠ নীতিমালা বা আইনী কাঠামো না থাকার কারণে এর অপব্যবহার দিন কে দিন বেড়েই চলছে। যদিও তথ্য প্রযুক্তি আইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু এই আইন সম্পর্কে দেশের ৯৯% জনগণই জানে না।  ইন্টারনেটে যেহেতু অজ¯্র অপব্যবহার করার ব্যবস্থা রয়েছে মানুষের সহজাত প্রক্রিয়া হচ্ছে অপসংস্কৃতির দিকে ঝুকে পড়া। 

তাই তারা সহজেই ঐ সকল অপসংস্কৃতি লুফে নিচ্ছে। বিশ্বে মুঠোফোনের আগমন ঘটে ১৯৪০ সালে। বাংলাদেশের মুঠোফোন ও ২এ প্রযুক্তি ৯০ দশকে সীমিত আকারে ও ব্যয়বহুল হওয়ায় এর সহজলভ্যতা সাধারন মানুষের মধ্যে ছিল না। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে এর সহজলভ্যতা এতটাই হয় যে, সাধারন থেকে অতি সাধারন মানুষের হাতেও মুঠোফোনের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। প্রথম মুঠোফোনের ব্যবহার ছিল শুধু মোবাইল টু মোবাইল কথা বলার মধ্যেই সীমিত ছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে 3G প্রযুক্তি বাজারে আসলে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে মানুষ ইন্টারনেটের ব্যবহার করার ফলে সরাসরি কথা বলা থেকে শুরু করে Facebook, WhatApp, Mozilla Firefox,YouTube, Imo, Google, Skype-সহ নানা ডাটা ব্যবহার করা শুরু করে। এই প্রযুক্তি বাজারে আসার পূর্বে সরকার, অথারিটি, অপারেটর বা এই সংশ্লিষ্ট খাতে কোন সংস্থা এর ব্যবহার, আচার ও বিধি জনগণকে না জানানো এবং সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকার কারণে এর অপব্যবহার দিন কে দিন বেড়েই চলছে। যদিও এর ব্যবহার যদি সঠিক তথ্য প্রযুক্তি খাতে ব্যবহৃত হতো তাহলে রাষ্ট্র এই খাত থেকে উপকৃত হতো। আগামী জাতিও এটি ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। আমাদের তরুণ প্রজন্ম, কিশোর-কিশোরী এমনকি বয়স্ক বৃদ্ধ আবালিতাও এর অপব্যবহারের দিকে ঝুকে পড়ে। যা কিনা ভয়াবহ মরণনেশার চাইতে ভয়াবহ। দিনের বেশির ভাগ সময় অনেক ছেলে-মেয়ে এই সকল সাইট ব্যবহার করার ফলে তারা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে Facebook সবচাইতে একটি ভয়াবহ সাইট। বিশ্বের অন্যান্য দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইডি খুলতে সঠিক তথ্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এসব সাইটে আইডি চালু করার জন্য তেমন কোন কিছুরই প্রয়োজন হয় না। ফলে Facebook-এর ৯৯% সাইট-ই ফেক আইডি। এর মাধ্যমে একদিকে ছেলে-মেয়েরা যেমন অসামাজিক কার্যকলাপের দিকে ঝুকে পড়েছে আবার কতিপয় যুবক এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতিকারীর সাথে যোগাযোগ এর মাধ্যমে তারা জঙ্গী খাতায় নাম লিখিয়েছে। এতে করে আজ সমাজ, রাষ্ট্র যেমন হুমকির সম্মুখীন তেমনি দুশ্চিন্তা গ্রস্ত। প্রতিটি পরিবারে আজ এ নিয়ে দেখা যায় হর হামেসায় গোলযোগ লেগে আছে। আমরা বেশকিছু স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে পরিদর্শন করিয়াছি। সেখানে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর চিত্র আমাদের সামনে এসেছে। গত ১০ এবং ১১ জুন ২০১৬ মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবকদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে প্রায় হাজারেরও বেশী অভিভাবক উপস্থিত ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ফলাফলে হতাশা ব্যক্ত করলে প্রায় ১০০% অভিভাবকেই একমত হন যে, তাদের ছেলে-মেয়েরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সারারাত অবধি ব্যস্ত থাকার ফলে তাদের পড়া-লেখায় মনোযোগ, সাথে সাথে খাওয়া-দাওয়া রুচিতেও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। নিয়মিত স্কুল কলেজেও আসা এই সকল ছেলে-মেয়েদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। আর এলেও শরীর অবসাদ গ্রহস্থ থাকায় ক্লাসে মনযোগ দিতে পারছে না। 
এই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ ছেলে-মেয়েদের হাতে মুঠোফোন না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে অভিভাবকগণ বলেন, না দিয়েই উপায় কি? একদিকে এর মাধ্যমে সহজইে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। অন্যদিকে তাদের কাছে না দিলে তারা সংসারে অসান্তি সৃষ্টি করে। তাহলো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা সারা রাত অব্দি Facebook, WhatApp, YouTube, Imo, Google, Skype- এসকল সাইট ব্যবহার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সকালে বিদ্যাকেন্দ্রে এসে তারা ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারে না।

মাসিক, টিউটোরিয়াল, সাপ্তাহিক, দ্বিবার্ষিক পরীক্ষার খাতাগুলি খুললেই লক্ষ্য করা যায় ৯০% ছেলে-মেয়ে এ সকল পরীক্ষায় ফলাফল নি¤œ মানের যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। যদিও জাতীয় পরীক্ষার ফলাফল অনেক ভালো দেখা যায় কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এ সকল ছেলে-মেয়ে দিন কে দিন মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ অভিভাবকই স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট সম্পর্কে ওয়াকিবহল নয়।

এই সুযোগে ছেলে-মেয়েরা বাবা-মার সামনে মুঠোফোন ব্যবহার করলেও বাবা-মা বুঝতে পারে না আসলে তার সমনে কত ভয়াবহ জিনিস নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে। আর এর ফলেই কতিপয় তরুণ বিপথগামী হয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধন করছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে কম্পিউটার, তথ্য প্রযুক্তি পাঠ্যপুস্তুকে থাকলেও তা যেন গৃহস্তের গরুর কেতাবেই রয়েগেছে। এর ব্যবহার এবং অপব্যবহার ও আইন সম্পর্কে বিদ্যাকেন্দ্রগুলি ছেলে-মেয়েদের পাঠদান না করানোর, প্রচারণা না চালানো এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা না শেখানোর ফলেই ছেলে-মেয়েরা সকলের সামনে বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে। এর দায় রাষ্ট্র, সমাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এড়াতে পারে না।

আর এই খাতে সবচাইতে দায়ী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অপারেটরগুলি। তারা যেখানে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ব্যবসা পরিচালনা করার কথা থাকলেও, তা না করে উল্টো রাতের বেলা মুঠোফোন ইন্টারনেট ব্যবহারে নানা ধরনের লোভনীয় অফার এবং বিজ্ঞাপন প্রচার করার ফলে ছেলে-মেয়েরা কখন রাত আসবে তার অপেক্ষার প্রহর গুনে। ফলে আমরা মনে করি এই সকল অপারেটরদের এই সমস্ত কান্ড জ্ঞানহীন, লোভনীয় অফার ও বিজ্ঞাপন প্রচার করার ফলে রাষ্ট্রে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা নামিয়ে এনেছে। যদিও আমাদের দেশে এ সকল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন রয়েছে কিন্তু তাদের দুর্বলতা, সক্ষমতা, আন্তরিকতা, দুর্নীতি ও অদ্যক্ষতার কারণে এ সকল অপারেটর দিক কে দিন ভোক্তাদের কথা চিন্তা না করে, রাষ্ট্রের কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র তাদের ব্যবসার কথা ভাবার ফলে আজ আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমান সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে এবং অনেক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছে কিন্তু এই উন্নয়ন যাদের উপর রেখে যাওয়ার কথা তারা আজ ধক্ষংসের সম্মুখে। তাই আমরা মনে করি এই আগামী তরুণ প্রজন্মকে যদি না রক্ষা করা যায় এবং সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন না আনা যায় তাহলে কোন উন্নয়নই কাজে আসবে না বলে আমরা মনে করি। সম্প্রতি বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের বার্মিহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবিলি সেন্টার ফর ক্যারেক্টার অ্যান্ড ভার্চ্যুসের এক প্রকল্পের অংশ হিসাবে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী সস্তান আছে এমন ১ হাজার ৭০০ অভিভাবকের ওপর জরিপ চালানো হয়। ৫৫ শতাংশ অভিভাবকই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। গবেষক ব্লেয়ার মরগ্যান বলেন, কিছু কিছু তথ্য বেশ চমকপ্রদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালোবাসা, সাহসিকতা এবং দয়ার মতো নৈতিক গুনাবলির প্রসার হয় উল্লেখ করলেও সন্তানের চারিত্রিক উন্নয়নে এর ইতিবাচক প্রভাব মানতে অনীহা প্রকাশ করেন জরিপে অংশ নেওয়া অভিভাবকেরা।  চলতি  বছরের শুরুতে বিবিসি  রাউন্ডের এক গবেষণায় দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগের মধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার সর্বনিম্ন বয়স ১৩ বছর হলেও ১০ বছর বয়সেই অ্যাকাউন্ট খুলছে অনেকে। নতুন এই জরিপে ফলাফল মা-বাবার দুশ্চিন্তার কারণ বটে। জরিপে অংশগ্রহণকারী অভিভাবকদের ৯৩ শতাংশ নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করেন। তবে এদের মাত্র ১৫ শতাংশ ধারণা, ফেসবুকের মতো ওয়েবসাইটগুলো তরুনদের চরিত্রগঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ৪০ শতাংশ বলেছেন, তাঁদের সন্তানের উপর সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোর নীতিবাচক প্রভাব নিয়ে তাঁরা খুবই চিন্তিত। 

তবে ৭২ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তাঁরা দিনে অন্তত একবার হলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ইতিবাচক কিছু দেখেন। মাসে অন্তত একবার দেখেছেন এমন  কোনো ইতিবাচক বিষয়ের উল্লেখ করতে বলা হলে তাঁদের উত্তরগুলো ছিল এমন-
* কৌতুকবোধ (৫২%)     * সৌন্দর্যের কদর (৫১%)
* সৃজনশীলতা (৪৪%)    * ভালোবাসা (৩৯%)
* সাহসিকতা (৩৯%)
এই জরিপের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ব্লেয়ার মরগ্যান বলেন, সোস্যাল মিডিয়া নিশ্চয় বন্ধ হয়ে যাবে না। তাই আমরা এই সম্পর্কগুলো নিয়ে আরও বেশী গবেষণার মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়ার অপকারিতা কমিয়ে এনে সুফল বাড়াতে পারব বলে মনে করি। তাই আমরা মনে করি এই মরণব্যাধী শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বেই মহামারি আকারে ধারন করছে। সকল সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সমাজের সকল স্তরের জনগণকে আকাশ সংস্কৃতি অপব্যবহারের প্রতি সামাজি আন্দোলন গড়ার উদাত্ত আহ্বান জানাই। আমাদের সংগঠনও ব্লেয়ার মরগ্যানের  বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেন।

আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কতিপয় পরামর্শ দেওয়া অত্যন্ত জরুরী বলে আমরা মনে করি এবং সেই মানবতার কারণেই আজকের এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন।

১.    মুঠোফোন, ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার বিধি ও নীতিমালা তৈরি করা সময়ের দাবী।
২.    তথ্য প্রযুক্তি আইন সম্পর্কে স্কুল, কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, হাট-বাজার সকল জায়গায় ব্যাপক প্রচারণা চালানো।
৩.    ইন্টারনেটে ভালো দিকগুলো সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালানো। যাতে করে এই খাত ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্ম ঘরে বসেই অনেক অর্থ আয় করতে পারে। তার নিশ্চয়তা যে রয়েছে তা সরকারকে উদ্যোগী হয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪.    এই খাতে বাংলাদেশের ৩টি মন্ত্রণালয় রয়েছে। কিন্তু তাদের সক্ষমতায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। এই ৩টি মন্ত্রণালয়কে একিভূত করে আরো দক্ষ জনশক্তি দিয়ে এই খাত পরিচালনার জন্য আমাদের আহ্বান থাকবে।
৫.    ঋধপবনড়ড়শ-এর সকল ফ্যাক আইডি বন্ধ করতে হবে এবং ঋধপবনড়ড়শ ব্যবহারকারীদেরকে নজরদারীদে রাখার জন্য অনুরোধ রইল।
৬.    স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তথ্য প্রযুক্তির বিষয়ের সাথে তথ্য প্রযুক্তি আইন ও তথ্য প্রযুক্তি নীতিমালা অন্তর্ভূক্ত করে এর অপব্যবহারের না করে এর ভাল দিকগুলি কি কি ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্ম তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারে তার ব্যাপক প্রচারণা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৭.    যে সকল প্রতিষ্ঠান এই খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন তাদেরকে অবশ্যই সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে হবে।
৮.    রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও গনমাধ্যম গুলিকে এর ভাল-মন্দ দিক প্রচারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে।
আমাদের সামনে এখনো অগনতি চ্যালেঞ্জ পড়ে আছে। সারা বিশ্বে যখন ৫এ চালু করার চিন্তা করছে সেই সময়ে এখনো আমরা ৪এ চালু করতে পারি নাই। সারা দেশকে এখনো ডওঋও-এর আওতায় আনা সম্ভব হয় নাই। এই প্রযুক্তি চালুর পূর্বেই আমরা যেই তরুণ প্রজন্মের উপর ভবিষ্যৎ আশা করি তারাই আজ বিপথগামী হয়ে গেছে। তাই আগামীতে বিশ্বের যত প্রযুক্তি চালু হবে সে সকল প্রযুক্তি বাংলাদেশে চালুর পূর্বেই এ নিয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রচারণা চালুর ব্যবস্থা করতে হবে। তাই আমরা দেশের রাষ্ট্র প্রধান থেকে শুরু করে অতি সাধারন মানুষ সহ সকলের প্রতি আহ্বান জানাই আসুন আমরা আগামী দিনের তরুণ সমাজকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন অপসংস্কৃতিমুক্ত ও জঙ্গীবাদ বিহীন একটি সভ্য উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি।