চাদরে শীতের বাহারী ফ্যাশন

চাদরে শীতের বাহারী ফ্যাশন

মডেল : সনি রহমান, সাদিয়া আফরিন। পোশাক : কাপড়ি বাংলা
লাইফস্টাইল ডেক্স : শীতে চাদর বা শাল মুড়ি দেয়ার রেওয়াজ নতুন নয়। প্রকৃতিতে জড়িয়েছে কুয়াশার চাদর আর মানুষ শরীরে জড়িয়েছে তুলার বা পশমের চাদর। আর এই চাদরই বতর্মান সময়ের ফ্যাশনের একটি অনুসঙ্গ। এক সময় চাদর কবিদের ফ্যাশন হলেও বতর্মানে কবি নন এমন অধিক মানুষই নিত্যদিনের ফ্যাশন হিসাবে ব্যবহার করছেন সেই চাদরকেই।

বর্তমানে চাদরের ফ্যাশনে এগিয়ে আছে তরুণ প্রজন্ম। রঙবেরঙের চাদর প্রয়োজনের পাশাপাশি হয়ে গেছে ফ্যাশনের একটি অংশ। তাই শুধু মেয়েদের জন্য নয় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ছেলেদের চাদরেও এসেছে বৈচিত্র্য। দেশি খাদি ও আদিবাসী শাল বেশ জনপ্রিয় ছেলেদের কাছে। টি-শার্ট, ফতুয়া কিংবা পাঞ্জাবির সাথে মিলিয়ে পড়তে পারেন নজরকাড়া এসব চাদর।

সিল্ক, খাদি, পশমি সুতা, মোটা সুতি ইত্যাদি কাপড়ের উপর নির্মিত হচ্ছে আমাদের দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোর শীতের চাদর। বিভিন্ন মোটিফের চাদরে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশিয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। থাকছে নানা রকম সেলাই ও নকশার কাজ । এছাড়াও জরি, পুঁতি, চুমকি ও পাথরের করা চাদর ও রয়েছে তরুণীদের চাহিদার তালিকায়। শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের অনেক ফ্যাশন হাউস সংগ্রহে রেখেছে বিখ্যাত কবিদের কবিতার চরণ, চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্মের নকশা করা চাদর। এসব চাদরের ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে আবহমান গ্রামবাংলার দৃশ্য ও স্লোগান।


দেশি চাদর ছাড়াও বিদেশি চাদরের চাহিদা রয়েছে আমাদের দেশে। বিশেষ করে কাশ্মীরি পশমিনা চাদর জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে আমাদের দেশেও এখন তৈরি হচ্ছে পশমিনা চাদর। এছাড়াও লুদিয়ানা, জয়পুরি, চায়নিজ, বার্মিজ ও ইরানি চাদর হতে পারে শীতের অন্যতম ফ্যাশন। তবে আপনি চাইলে একরঙা চাদরে নিজের ইচ্ছেমতো নকশা করে ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শীতের ফ্যাশনে আপনার ব্যাক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

আমাদের দেশিয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে পাবেন পছন্দসই নানা রকম চাদর। রঙ, দেশাল, নিত্য উপহার, আড়ং, বাংলার মেলাসহ অন্যান্য হাউসগুলোতে মিলবে বাহারি ডিজাইনের এসব চাদর। এছাড়াও ঢাকার নিউমার্কেট, গাউসিয়া, বঙ্গবাজার থেকেও কিনতে পারেন। সাধারণ মানের শালের দাম পড়বে ৪’শ থেকে ১৫০০ টাকা। ফ্যাশন হাউসগুলোয় কটন ও খদ্দের শালের দাম পড়বে ৫’শ থেকে ১৫০০ টাকা। কাশ্মীরি শাল মিলবে ৬’শ থেকে ৫ হাজার টাকায়।