কর্মবিরতি স্থগিত, বুধবার থেকে ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা

কর্মবিরতি স্থগিত, বুধবার থেকে ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা

শিক্ষাঙ্গণ ডেক্স : দাবি-দাওয়া মেনে নেয়া হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন আশ্বাসের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং শ্রদ্ধা রেখে চলমান মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। সে হিসেবে বুধবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেন ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম
মাকসুদ কামাল। বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতি আমরা আস্থাশীল। তিনি আমাদের দাবিসমূহ নিজে দেখবেন এবং পূরণ করার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পূর্ণ
আস্থা এবং শ্রদ্ধা রেখে আামাদের চলমান মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনকে স্থগিত ঘোষণা করেছি।’

কর্মবিরতির প্রত্যাহার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের চলমান কর্মবিরতির আন্দোলন স্থগিত, প্রত্যাহার নয়। এ স্থগিতও আমাদের আন্দোলনেরই একটা অংশ। পাশাপাশি কোন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বা কোন আমলার কূটকৌশলের কারণে আমাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব হয়, অথবা খণ্ডিতভাবে আমাদের দাবি-দাওয়াসমূহ মেনে নেওয়ার প্রক্রিয়া করা হয় তাহলে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কোনোভাবেই তা গ্রহণ করবে।’

মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমরা আমাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়সমূহ প্রধানমন্ত্রীকে বোঝাতে পেরেছি। আমাদের দাবিসমূহ ন্যায্য। সুতরাং খণ্ডিতভাবে যদি আমাদের দাবিসমূহকে মানা হয় অথবা বিলম্ব করা হয় তাহলে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঐ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অথবা এর সাথে সংশ্লিষ্ট যারা থাকবে তাদের ব্যপারে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ফেডারেশনের সভায় নির্ধারণ করবেন।’

শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে দাবিসমূহ নিষ্পত্তি করতে হবে উল্লেখ করে এ শিক্ষক নেতা বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে দাবিসমূহ নিষ্পত্তি করতে হবে। যদি না করা হয় তাহলে আমরা মনে করবো আমাদের দাবি-ধাওয়া এবং আমাদেরকেও সেখানে অবহেলার চোখে দেখা হয়েছে।’

আগামী ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা আশা করি এসময়ে আমাদের দাবিসূহ মেনে নেয়া হবে। যদি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে
আমরা পরবর্তী সভায় (আগামী ফেব্রুয়ারি) আমাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।

এর আগে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফেডারেশনে সদস্য এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।