‘শাহরুখ থাকেন ভারতে মন পাকিস্তানে’

‘শাহরুখ থাকেন ভারতে মন পাকিস্তানে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে ভারতে সর্বস্তরে ক্ষোভ বাড়ছে। রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও লেখক-শিল্পী-শিক্ষাবিদদের কটাক্ষ করতে ছাড়তে না নরেন্দ্র মোদির সরকারের মন্ত্রী ও বিজেপির নেতারা। আক্রমণ আসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ থেকেও। তোপ থেকে বাদ পড়েনি বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় শাহরুখকে ‘দেশদ্রোহী’ অভিহিত করে বলেছেন, ‘শাহরুখ থাকেন ভারতে, আর তার মন পাকিস্তানে।’ তবে এ কথা বলার পর নিজ দলসহ বিভিন্ন দল থেকেও তিনি সমালোচিত হচ্ছেন।

কৈলাসের পর বিতর্কিত কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী শাহরুখকে ‘পাকিস্তানি দালাল’ অভিহিত করে তাকে দেশ ত্যাগের দাবি তুলেছেন।

তিনি বলেন, ‘শাহরুখ খান পাকিস্তানের একজন এজেন্ট। কারণ তিনি পাকিস্তানি বিশ্বাস ও চেতনার প্রতিফলন ঘটান। ওকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দাও, এমন লোকের অবশ্যই ওই দেশে চলে যাওয়া উচিত।’ সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপের সময় এ কথা বলেন তিনি।

দেশে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণের প্রতিবাদে জাতীয় পুরস্কার ফিরিয়ে প্রথমে প্রতিবাদের পথ দেখিয়েছিলেন সাহিত্যিকেরা। তারপর সেই পথে পা বাড়ান চিত্র-পরিচালক, শিক্ষাবিদ এমনকি শিল্পমহলও। অসহিষ্ণুতার প্রশ্নে মুখ খোলেন শাহরুখ খানও। প্রতিবাদ জানাতে প্রয়োজনে পদ্মশ্রী ফেরাতেও রাজি আছেন তিনি। শাহরুখের ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা কৈলাস শাহরুখকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘১৯৯৩ সালে যখন মুম্বই বিস্ফোরণ হয় কিংবা ২০০৮ সালে জঙ্গিরা মুম্বইতে হামলা চালিয়েছিল তখন শাহরুখ কোথায় ছিলেন? যখন একের পর এক দুর্নীতিতে দেশের টাকা লুঠ হচ্ছিল, তসলিমা নাসরিনের ওপর মৌলবাদীরা হামলা চালিয়েছিল, এ আর রহমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, কাশ্মিরে গণহত্যা চালানো হয়েছিল তখন কিন্তু এই বিশিষ্টজনেরা মৌন ছিলেন।’

তথ্যসূত্র : বাংলাট্রিবিউন।