বাংলাদেশের জ্বালানি তেলে উড়বে নেপালি বিমান

বাংলাদেশের জ্বালানি তেলে উড়বে নেপালি বিমান

অর্থনীতি ডেক্স : বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেলে উড়বে নেপালের বিমান। এ জন্য নেপাল অয়েল করপোরেশন চুক্তি করেছে একটি বেসরকারি কোম্পানি পেট্রোম্যাক্স নেপাল-এর সঙ্গে। এর ফলে আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বেসামরিক টার্বাইন ফুয়েল (এটিএফ) যাবে সেদেশে।

শনিবার কাঠমান্ডু থেকে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এতে বলা হয়, নেপালের নতুন সংবিধান পাস হওয়ার পর সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগছে নেপাল। যানবাহনগুলো অচল হয়ে পড়ে আছে। এমনকি অভ্যন্তরীণ রুটের বিমানগুলোও জ্বালানি সংকটে উড়তে পারছে না।

শনিবার নেপাল অয়েল করপোরেশনের মুখপাত্র মুকুন্দ ঘিমায়ার বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এটিএফ আমদানি করার জন্য আমরা বেসরকারি কোম্পানি পেট্রোম্যাক্স নেপালের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। ফলে আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিমান উড্ডয়নে ব্যবহৃত এটিএফ পৌঁছাবে নেপালে।

তিনি আরো বলেন, পেট্রোম্যাক্স প্রতিদিন ৪,০০,০০০ লিটার এটিএফ নেপালে নিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। এতে নেপালের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে। আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলোকে জ্বালানি সরবরাহ দেয়া যাবে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেপালে সৃষ্ট সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো নতুন করে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য তৃতীয় কোনো স্টপেজে থামতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে নেপালের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নেপাল অয়েল করপোরেশন অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে লড়াই করছে।

এর আগে তারা সতর্ক করেছিল যে, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো জ্বালানি সরবরাহের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স নেপাল এয়ারলাইন্স সহ ছয়টি এয়ারলাইন্স পরিচালনা হয় নেপালে।

এর আগে গত সপ্তাহে চীনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো পেট্রোলিয়াম আমদানির জন্য চুক্তি করেছে। তবে এ চুক্তির এখনো অনেক কাজ বাকি।

গত ২৪শে সেপ্টেম্বর থেকে সংখ্যালঘু মধেষিরা ভারতের সঙ্গে বীরগঞ্জ সীমান্তে তীব্র আন্দোলন শুরু করে। ওই সীমান্তে ভারতীয় পণ্যবাহী শত শত ট্রাক অপেক্ষায় ছিল।

ভারত বলেছে, আন্দোলনের ওই পরিবেশের মধ্যে তাদের ট্রাক নেপালে প্রবেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য ট্রাকগুলো নেপালে প্রবেশ করছে না।

নেপাল এ ঘটনাকে দেখছে অন্যচোখে। তারা বলছে, এর মধ্য দিয়ে ভারত তাদের ওপর ‘অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা’ দিয়েছে। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লি।

দীর্ঘ সময় এ অবস্থা চলার পর নেপাল সরকার সংকট নিরসনের জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা নেয়।