রফতানি হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশের ডিম

রফতানি হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশের ডিম

অর্থনীতি ডেক্স : ইলিশের রাজধানী হিসেবে খ্যাত চাঁদপুর। আর এ সুনাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। আর তাই চাঁদপুরের ইলিশের ডিমের চাহিদা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে। গত কয়েক বছর যাবৎ চাঁদপুরের ইলিশের ডিম বিদেশে রফতানি হচ্ছে। আয় হচ্ছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।

প্রতি বছর এক শ্রেণির ব্যবসায়ী চাঁদপুর বড় স্টেশনে আসে শুধুমাত্র ইলিশের মাছের ডিম ক্রয় করে দেশ-বিদেশে রফতানির জন্য। এবারও তার কমতি হয়নি। প্রজনন মৌসুমের সময় শেষ হতেই ওই ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর আসেন এবং বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রজনন মৌসুমের আগে-পরে এবং প্রজনন মৌসুমের সময় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ধৃত রেখে দেয়া মা ইলিশ ক্রয় করেন।

এসব মাছ চাঁদপুর বড় স্টেশনেই কেটে ডিম সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। আর এসব বের করা ডিম প্লাস্টিকের বক্স ভর্তি করা হয়। পরে প্লাস্টিক ভর্তি করা ডিম বরফ দিয়ে বাক্সে ভর্তি করে ট্রেনে বা বাসে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সি-ফুডে পাঠানো হয়। সেখান থেকে  ইলিশের ডিম প্রক্রিয়াজাত করে আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তান ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হচ্ছে।

মৎস্যব্যবসায়ী মালেক খন্দকার ও মানিক জমাদার জানান, ইলিশের ডিম ক্রয় করার জন্য প্রজনন মৌসুমের শেষে রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর আসেন। তারা প্রতি কেজি ইলিশের ডিম ১৪শ টাকায় ক্রয় করেন। প্রতি বক্সে আড়াই কেজি ডিম থাকে। বক্স প্রতি ইলিশের ডিমের দাম পড়ে ৩ হাজার ৫শ টাকা।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া জানান, প্রজনন মৌসুমে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ধৃত মা ইলিশ বরফ দিয়ে রাখা হয়। প্রজনন মৌসুমের পর একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা নষ্ট হয়ে যাওয়া মাছ থেকে এসব ডিম বের করে বিদেশে রফতানি করেন এবং কিছু বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়।

এদিকে চাঁদপুরের ইলিশ মাছের ডিম দেশ-বিদেশে রফতানির ব্যাপারে সরকারি তদারকি প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।