চাপ কম, ঢাকায় ফেরা এখনো নির্বিঘ্ন

চাপ কম, ঢাকায় ফেরা এখনো নির্বিঘ্ন

টাঙ্গাইলদর্পণডটকম : ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অনেকটাই নির্বিঘ্নে ঢাকা ফিরছেন নগরবাসী। পরিবহন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ থাকলেও মহাসড়ক ও ফেরিঘাটগুলো নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ নেই ঢাকা ফেরত নগরবাসীর।

ঈদের ছুটি শেষে ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে খুলনা থেকে ঢাকায় রওনা হোন ডিভাইন গ্রুপের আইটি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান ‍টিটু। তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘হয়তো ঈদের ছুটির মধ্যেই আমি ঢাকায় ফিরেছি তাই রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি। ফেরিঘাটে লম্বা কোনো জট ছিল না। খুলনা থেকে সন্ধ্যা ৭টায় রওনা করে রাত সাড়ে ৪টায় ঢাকায় পৌঁছে গেছি।’

২৭ সেপ্টেম্বর যশোর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন মুসপানা পাওয়ার কোম্পানির প্রকৌশলী ইব্রাহিম কবীর। অবশ্য তিনি খুলনা-আরিচা-ঢাকা রুটের কোনো বাসে পছন্দের সিট না পাওয়ায় খুলনা-মাওয়া-ঢাকা রুটেই ফিরেছেন রাজধানীতে। তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ঢাকায় আসতে রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি। ফেরিঘাটেও জ্যাম কম ছিলো। সমস্যা হলো ঈদ উপলক্ষে বাস কোম্পানিগুলো খুবই বাজে ধরনের বাস রাস্তায় নামিয়েছে। গাড়িগুলোর ফিটনেস আছে কিনা সন্দেহ। বাস কোম্পানিগুলোর সেবার মান খুবই নিম্নমানের।’

এদিকে ঢাকা ফেরত মানুষের চাপ এখন অনেক কম বলে জানিয়েছে দূরপাল্লার বাস কোম্পানিগুলো। এ বিষয়ে কথা বলা হলে ঈগল পরিবহনের মতিঝিল কাউন্টার ম্যানেজার আনিসুল হক দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ঈদের পর দিন থেকেই ঢাকায় মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু যাত্রীদের চাপ অনেক কম ছিল। ঈদের তৃতীয় ও চতুর্থ দিনও যাত্রীদের চাপ বেশ কম। ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। তবে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের অধিকাংশ বাসের টিকিট বুক হয়ে গেছে।’

ঢাকা-মাওয়া-খুলনা রুটে চলাচলকারী বলেশ্বর পরিবহনের সায়েদাবাদ কাউন্টারের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম মিঠু দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত খুলনা থেকে আমাদের অনেক গাড়িই এসেছে ৫-৬টি সিট খালি নিয়ে। ঈদের পর দিন থেকে আজ পর্যন্ত টিকিট নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। তবে আগামীকাল থেকে আমাদের কোনো গাড়িতেই সিট খালি নাই।’

এদিকে সোমবার বিকেল থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং মাওয়া-কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট দুটিতে বাসের জট বাড়তে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। হানিফ এন্টারপ্রাইজের চালক বেগ শহিদুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আজ সকালে যখন আমি খুলনা গেছি তখন দৌলতদিয়া ঘাটে তেমন কোনো জ্যাম ছিল না। কিন্তু ঢাকা ফেরার সময় আমাকে প্রায় দেড় ঘণ্টার জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।’