পশ্চিমবঙ্গে সম্ভাব্য উগ্রপন্থী হামলা নিয়ে মমতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

পশ্চিমবঙ্গে সম্ভাব্য উগ্রপন্থী হামলা নিয়ে মমতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

ওপার-বাংলা ডেক্স : পশ্চিমবঙ্গে সম্ভাব্য উগ্রপন্থী হামলা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকমহল থেকে সমালোচনা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দিল্লি যাওয়ার আগে বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর এসেছে ১৫ আগস্টের আগে উগ্রপন্থীরা রাজ্যকে অশান্ত করতে চাচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তি এদের সহায়তা করছে। আইবি রিপোর্ট বলছে, একটি রাজনৈতিক দলও উগ্রপন্থীদের সঙ্গে আছে। রোববারই রঘুনাথগঞ্জ থেকে ১০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে সিআইডিকে।’ খবর রেডিও তেহরান ।

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপির পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘খাগড়াগড়ের ঘটনায় আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দলের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছি। যে রাজনৈতিক দল উগ্রপন্থীদের সাহায্য করছে, তার নাম করা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়, তাহলে তাকে তার নিজের দলের নাম করতে হয়।’

সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মুহাম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলের নাম করেননি, তাই ধরে নিতে হবে তিনি নিজের দলের কথাই বলতে চেয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘সারা দেশেই এখন রেড অ্যালার্ট রয়েছে। এ সংক্রান্ত কোনো গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে এলে সম্ভাব্য বিপদ মোকাবিলায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হয়। মাইক বাজিয়ে আইবি রিপোর্ট ঘোষণা করতে হয় না।’

বিজেপির রাজ্য প্রেসিডেন্ট রাহুল সিনহা বলেছেন, ‘তার (মমতা) কোনো কাণ্ডজ্ঞান নেই বলেই উনি আইবি’র গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছেন।’

প্রসঙ্গত, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ থেকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নতে। এতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে চলতি সপ্তাহেই নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বড় ধরণের হামলা করতে পারে মাওবাদীরা।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘মাওবাদীদের ৬০ জনের একটি দল জঙ্গলমহলে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। তারা ১৫ আগস্টের মধ্যে যেকোনো সময়ে জঙ্গলমহলের কোনো পুলিশ বা সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালাতে পারে।’

রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সতর্কবার্তা পাওয়ার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি যৌথ বাহিনীকে সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে মাওবাদীরা জঙ্গলমহলের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালালে ২৪ জওয়ান নিহত হয়। এ সময় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় মাওবাদীরা।