কোরবানির ঈদে ঘাটতি এবার ১০ লাখ গরু

কোরবানির ঈদে ঘাটতি এবার ১০ লাখ গরু

জাতীয় ডেক্স : আসছে ঈদে কোরবানির জন্য ১০ লাখ গরু ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ করায় আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সংকট হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোরবানির সময় ৭০ লাখ গরু দরকার, আমাদের আছে ৬০ লাখ।

‘মন্ত্রিসভা ও একনেকের সভায় গরু নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে চাহিদা মোতাবেক যাতে গরু উৎপাদন করা হয় সে ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’

ভারত সরকার নিষিদ্ধ করায় বর্তমানে বাংলাদেশে গরু রফতানি বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের গরুর মাংসের বাজারে। বিভিন্ন মার্টেকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

এ প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতে গরু নিধন নিষেধ, সেজন্য তারা বলেছে গরু রফতানি করবে না। আমাদের বিজিবি প্রধান বলেছেন, গরুর জন্য যেন কেউ বর্ডারে (সীমান্ত) না যায়।

পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বমুখীতার বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যখন বৃষ্টি হয় তখন কাঁচা তরকারির দাম কিছু বেড়ে, আবার অনেকগুলো কমে।

‘আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। দেশীয় উৎপাদনকারীরাও এর সঙ্গে দাম মেলায়। এরপরও আমাদের যা চাহিদা তারচেয়ে বেশি পেঁয়াজ মজুদ আছে।’

মন্ত্রী বলেন, আমরা ভালোভাবে রোজার মাস অতিক্রম করেছি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক ছিল।

‘ঈদুল আজহার আগে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক থাকবে’ আশাবাদ ব্যক্ত করে তোফয়েল আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসার পরিকল্পনা করেছি। পণ্যের যা চাহিদা তার চেয়ে বেশি মজুদ আছে।

‘কোরবানি ঈদের সময়ও বাজার নিয়ন্ত্রিত থাকবে, পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক থাকবে। দু-একটি আইটেমের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ে-কমে। সেটাও স্থিতিশীল হয়ে যাবে’ বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।