টাঙ্গাইলে নদী ভাঙনের কবলে এক গ্রামের শতাধিক পরিবার

টাঙ্গাইলে নদী ভাঙনের কবলে এক গ্রামের শতাধিক পরিবার

বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড়বাসালিয়া গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবার নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। লৌহজং নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙনও শুরু হয়েছে। গত তিনদিনে বড়বাসালিয়া গ্রামের নদীতীরবর্তী অর্ধশতাধিক পরিবার বাড়িঘর সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অন্যরাও বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। লৌহজং নদীর ভাঙনের ফলে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ, স্কুল ও তীরবর্তী বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের বড়বাসালিয়া উত্তর পাড়া থেকে লৌহজং নদীর ভাঙন শুরু হয়ে দক্ষিণ পাড়া হয়ে পৌলী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে আতœীয়-স্বজনের বাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা ও সরকারি খাসভ‚মিতে কোন রকমে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

বড়বাসালিয়া গ্রামের ভাঙনের শিকার আবু সাইদ খান(৬০), দুলাল হোসেন(৪৮), উত্তম কর্মকার(৪০), রতন চন্দ্র সাহা(৬০), বাদল চন্দ্র সাহা(৫০), বাদল মিয়া(৬৫), হাসমত বেপারি(৭০), আব্দুর রহমান(৬৫), হাফিজ উদ্দিন(৪৫), মিয়াচাঁন(৬৫). শীতল(৫০), হযরত আলী মন্ডল(৬২), ধীরেন চন্দ্র সূত্রধর(৬৫) সহ অনেকেই জানান, কিছুদিন আগে লৌহজং নদীর পানি কমতে ছিল, তখনই ভাঙন শুরু হয়। বিষয়টি টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এমি কে জানানো হয়। এপি মহোদয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও কোন প্রতিকার করা হয়নি। এরই মধ্যে টানা বর্ষণে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা আরো বেড়েছে। ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং শতাধিক পরিবার, একটি নির্মাণাধীন ব্রিজ ও স্কুল ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও সরকারি-বেসরকারি কোন সাহায্য পায়নি বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ জানান, ভাঙনের কথা তিনি শুনেছেন। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।