ফেরত যাচ্ছে যশোর মেডিকেল কলেজের অর্ধকোটি টাকা

ফেরত যাচ্ছে যশোর মেডিকেল কলেজের অর্ধকোটি টাকা

যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থ-বছরের বই ক্রয় খাতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও অর্থ-বছর শেষে তা ফেরত যাচ্ছে।  নির্দিষ্ট সময়ে দরপত্র আহ্বান না করা এবং লাইব্রেরি সংকটে এ অর্থ কাজে লাগানো গেল না বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।  তবে এ খবরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য চিকিৎসা শাস্ত্র সংক্রান্ত বই ক্রয় করার জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থ-বছরে ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।  এর মধ্যে রাজস্ব খাতের টাকা ৩৫ লাখ ও উন্নয়ন খাতের ১০ লাখ।  বই ক্রয় করার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবু হেনা মোস্তফা মোহাম্মদ মাহবুব উল মওলা চৌধুরী গত মে মাসে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহ্বান করেন।  কিন্তু কঠিন শর্ত দেয়ার কারণে যশোরের কোনো ব্যবসায়ী দরপত্র জমা দিতে পারেনি।  তাছাড়া ঢাকার দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ায় তা স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীর নজরে আসেনি।

এ অবস্থায় গত ২৮ মে ঢাকার অরপিটল ইন্টারন্যাশনাল ও এসএল ট্রেডার্স নামে দুইটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়।  কিন্তু নিয়মানুযায়ী  দরপত্র জমা না পড়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।

এদিকে, গত ৩০ জুন অর্থ-বছর শেষ হয়ে যাওয়ায় এ খাতে বরাদ্দকৃত টাকা খরচ করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়।  ফলে অর্থ-বছর শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৪৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হচ্ছেন অধ্যক্ষ।  তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, তাদের লাইব্রেরি সংকটসহ নানা কারণে নির্দিষ্ট সময়ে বই কেনা যায়নি।  কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বই রাখার জায়গা সমাধান না করে বই কেনার জন্য তাহলে দরপত্র আহ্বান কেনো করা হলো।

শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্তরিকতার কারণেই বই কেনা হলো না।  এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ডা. আবু হেনা মোস্তফা মোহাম্মদ মাহবুব উল মওলা চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, `তাদের পর্যাপ্ত লাইব্রেরি নাই।  তারপরও বই কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো।  কিন্তু নানা কারণে শেষ পর্যন্ত ক্রয় করা সম্ভব হয়নি।