পেশাজীবীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা

পেশাজীবীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা

পেশাজীবীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন একক কোন ব্যক্তিকে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া কিংবা একক কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা নয় বলে মতামত দিয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। এজন্য তারা দেশ ও জাতির সবাইকে এক করতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে রাজনীতিবীদদের সাথে পেশাজীবীদেরও রাজপথে নামতে হবে।

বুধবার রাতে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভায় তারা এসব কথা বলেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত এক পেশাজীবী নেতা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সভায় পেশাজীবী নেতারা গঠনতন্ত্র মোতাবেক একটি শক্তিশালী ও সম্মিলিত পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ গঠনের দাবি জানিয়েছেন। যেন কোনো ব্যক্তি বিশেষ সংগঠনে একাধিপত্য বিস্তার করতে না পারে। বিএনপির নেতৃত্বে  আন্দোলন ও সংগ্রামে অংশ নিতে হলে পেশাজীবী সংগঠনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই বলে তারা মতামত দেন।

সূত্রটি জানায়, সভায় গত ২০ বছরে বিএনপির পেশাজীবী সংগঠনকে কোনো রকম নার্সিং বা রিফর্ম করা হয়নি বলে অভিযোগ করে পেশাজীবী নেতারা বলেছেন, পেশাজীবী সংগঠনের কোনো গঠনতন্ত্রও তৈরি হয়নি। এজন্য সংগঠন থেকে আশানুরূপভাবে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। 

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত আরেক পেশাজীবী নেতা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আগামী ৮ অক্টোবর বড় পরিসরে পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি । ওই বৈঠকের প্রস্তুতি নিতে সভায় আমাদের মতামত নেয়া হয়েছে। আর ৮ অক্টোবরের বৈঠকে এজেন্ডা কি কি হবে সেই বিষয়েও আজ আমাদের মতামত নেয়া হয়। 

আগামী ৮ অক্টোবর কি কি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আপনারা মতামত দিয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ঐক্যফ্রন্ট জোট এবং ২০ দলীয় জোটসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা করতে আমরা মতামত দিয়েছি।

এছাড়া বৈঠকে পেশাজীবী নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা, পেশাজীবী সংগঠনগুলো বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে তাদের মনোবল ও মনোভাব সম্পর্কে তারা বিএনপিকে অবহিত করে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।

মতবিনিময় সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে সভায় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সম্মিলিত পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের শওকত মাহমুদ ও এজেডএম জাহিদ হোসেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার ও ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও অধ্যাপক ডা. আব্দুস সালাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) অধ্যাপক ড.এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকতার হোসেন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম ও অধ্যাপক ড. নাজমুল মনসুর, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস ও ড. এমতাজ হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের হাসান হাফিজ ও ইলিয়াস খান, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া ও জাকির হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ঢাকা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও ওমর ফারুক ফারুকি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট হযরত আলী, সুপ্রিম কোর্ট জাতীয়তাবাদী ফোরামের অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ্যাব’র রিয়াজুল ইসলাম রিজু ও হাসিন আহমেদ, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ্যাব’র হারুনুর রশিদ হারুন এবং অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মো. রফিকুল ইসলাম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিএ্যাব) সাইফুজ্জামান সান্টু ও সাখাওয়াত হোসেন, ডিপ্লোমা এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-ডিএ্যাব’র জিয়াউল হায়দার পলাশ ও সৈয়দ জাহিদ হোসেন, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মোসাম্মৎ জাহানারা খাতুন ও সাহানারা বেগম, জি-নাইন এর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত, জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট রমিজ উদ্দিন ও কামরুল আলম চৌধুরী, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম ও এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের এম আব্দুল্লাহ ও নূরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজের কাদের গণি চৌধুরী ও শহিদুল ইসলাম, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- এম-ট্যাবের একেএম মূসা লিটন ও বিপ্লব উজ্জামান বিপ্লব সহ ডিপ্লোমা এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-ডিএ্যাব’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/এএম

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/politics/176132/পেশাজীবীদের-সঙ্গে-বিএনপির-মতবিনিময়-সভা