কসবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, তদন্ত কমিটি

কসবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, তদন্ত কমিটি

টাঙ্গাইলদর্পন নিউজ ডেস্ক :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

কসবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, তদন্ত কমিটি

নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাাদ এলাকার আইয়ূব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (৩৫), আনোয়ারপুর এলাকার মো. হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসূফ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও এলাকার সুজন (২৪), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২)।

মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে ঢুকছিল। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথাকে আউটারে থাকার সিগন্যাল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু চালক সেই সিগনাল অমান্য করে মূল লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার কোনো দোষ নেই।

এদিকে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কসবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, তদন্ত কমিটি

তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আহতের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সূত্র : জাগোনিউজ২৪.কম

এর আগে ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন মারা যান। পরে মারা যান আরও ৭ জন। নিহতদের মরদেহ শনাক্তের কাজ চলছে।