পথশিশুদের পাশে একদিন!  ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি

পথশিশুদের পাশে একদিন! ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি



মোহাম্মদ হেলালুজ্জামান :

পথশিশুদের পাশে একদিন!
আলোর পথে, এক সাথে! এই মন্ত্র সঙ্গাটি একত্রিত করেছে কিছু কিশোর-কিশোরী বা ছাত্র-ছাত্রীদের। টাঙ্গাইলের এই যুবক সমাজ ও ছাত্র-ছাত্রীদের দিকে তাকিয়েদেখা যায়, তারা প্রমাণ করে দেখালো, তারাও পারে ভালো কিছু ভাবতে, ভালো কিছু করতে। যাদেও উদ্যেগে এই মহৎ কাজটি সম্পন্ন হলো তারা হলো রাকিব হাসান, শিপলু শিকদার, ফৌজিয়া, নাহিদ, রাসেল,শরিফ, রিফাত, আলি হোসেন,ইকবাল,আলহাদি,আল-আমিন, রুকন, শিপলু, লাতিফুন নাহার, আসাদুল্লাহ, আবিদ, কাওছার আহমেদ, আশিকুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, আমিনুর রহমান, জহির, জাহিদ, মনির, জাকির, সুমন ইসলাম, নিঝুম ও হাবিব।

সর্বশেষে তাদের দলে যোগ দিয়েছে চাকুরীজীবি হেলাল। ইচ্ছা তাদের সাথে যোগ দেবে সমমনা সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। এখানে সবাই রাজা। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার একদল তরুণ-তরুণী মিলে গড়ে তুলেছে এক সামাজিক বন্ধন তাদের নেশা, পেশা বা ধ্যান-জ্ঞান একটাই, আর তা হলো পড়ালেখার পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক নানা কাজ করা। সেই ভাবনা থেকেই এই ঈদে তাদের সকলের ইচ্ছা ছিল, সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা।

পথশিশুদের পাশে একদিন!
অবহেলায় পথের মাঝে যে শিশুরা জীবন যাপন করে, নিজেদের আনন্দের ভাগ তাদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া। স্কুল কলেজের মাসিক খরচের মধ্যে থেকে কিছু বাঁচিয়ে সবাই মিলে পথশিশুদের জন্য ঈদের পোশাক কিনবেন এই সিদ্ধান্ত নিলো। তাদের টিমের লোকেরা টাঙ্গাইল শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে খুঁজে বের করে পথশিশুদের। তাদের মাপ নেয় এবং লিপিবদ্ধ করে। জরিপকালীন সময়ে শিশুদের মুখের হাসি ও নির্মল আনন্দই যেন বলে দেয় তারা পেয়ে গেছে ঈদের আগেই ঈদের আনন্দ। সেই ইচ্ছা তারা সবাই মিলে পূরণ করেছে। সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছে। 

০১ জুন ২০১৯ইং তারিখে টাংগাইল স্টেডিয়ামের পাশে সকাল ১১ টায় শিশু কল্যাণ স্কুলে সকলে উপস্থিত হয়ে বিলিয়ে দিয়েছে ছিন্নমূল অসহায় শিশু, দুঃস্থ নারী ও পুরুষদের মাঝে ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুগ্ম সচিব জনাব এস এম লুৎফুল্লাহ সাহেব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক সহ সমাজের বিভিন্ন মহলের সচেতন নাগরিকবৃন্দ। সমাজের আলোকিত মানুষদের উপস্থিতি ও তাদের প্রেরণা এই আয়োজক কিশোর-কিশোরী বা ছাত্র-ছাত্রীদের মহৎ কাজের প্রতি উৎসাহ আরও বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে।