সখীপুরে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বিরোধ নিস্পত্তি; ভাতা পাবেন সমান হারে
শনিবার, ২৫ মে, ২০১৯
জুয়েল রানা, সখীপুর প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের
সখীপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার ভাতা অংশিদারিত্ব নিয়ে করা অভিযোগের কারণে ২০
মাস বন্ধ থাকার পর তা আবার চালু হয়েছে। গত ২০১৭ সালে উপজেলার লাঙ্গুলিয়া
গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.ওয়ারেছ আলীর স্ত্রী ও সন্তানের করা অভিযোগের
প্রেক্ষিতে এ ভাতা বন্ধ হয়।
উপজেলা সমাজসেবা ও
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ওয়ারেছ আলীর দুই স্ত্রী
আছমা আক্তার ও রুপজানের ঘরে তিন সন্তান শাহিন, শিরিন ও কাঞ্চনকে রেখে ২০০৬
সালে মারা যান। দ্বিতীয় স্ত্রী মোসা. রুপজানের ঘরে কাঞ্চনের জন্মের পর
ওয়ারেছ আলী রুপজানকে তালাক দেন বলে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানেরা দাবি করেন।
রুপজানকে তালাক দেইনি দাবি করে সে ১৫.১০.২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সমান
ভাগ পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেন।
স্বামীর
মৃত্যুর পর স্ত্রী নয়, সন্তানরা মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা ভোগ করতে পারবে
এমন বিধান থাকায় ০৪.০৩.১৮ সালে কাঞ্চন আক্তার তার অংশ পাওয়ার জন্য ইউএও’র
কাছে আবেদন করে। কিন্তু প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানরা কাঞ্চন আক্তার ওয়ারেছ
আলীর সন্তান না বলে দাবি করেন। এক পর্যায়ে তাদের ‘ডিএনএ’ পরীক্ষার জন্য ১৩
মে একটি চিঠি পাঠানো হয়।
সখীপুরে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মো.আমিনুর রহমান গত মঙ্গলবার উভয়
পক্ষকে ডেকে এনে আলোচনা করা হলে প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানরা কাঞ্চন আক্তার
বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেছ আলীর সন্তান বলে স্বীকার করে এবং ভাতার টাকা সমান
ভাবে ভাগ করে নিতে রাজি হয়ে একটি লিখিত দেন।
উপজেলা
সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.মনসুর আহম্মেদ বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রের
প্রক্রিয়া শেষ হলেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.ওয়ারেছ আলীর ভাতার সমস্ত টাকা তারা
পাবেন।
ইউএনও আরো বলেন, তাদের সমঝোতার মাধ্যমে
দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.ওয়ারেছ আলীর ভাতার টাকা এখন
থেকে তারা নিয়মিত পাবেন।