টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মন্টু এখন কারাগারে

টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মন্টু এখন কারাগারে

গোপালপুর প্রতিনিধি, টাঙ্গাইলদর্পন.কম :
টাঙ্গাইলে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মন্টু এখন কারাগারে
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মন্টু মিয়া এখন কারাগারে।

অভিযুক্ত মন্টু মিয়া উপজেলার ধোপাকান্দি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। ছাত্রীর পিতার দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক মন্টু মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধোপাকান্দি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়াকালীন করতো ওই শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষক মন্টু মিয়ার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।  দুই বছর ধরেই সেই সম্পর্ক ধরে রেখে বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন মন্টু মিয়া। পরে টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে চাঁদ-সূর্যকে সাক্ষী রেখে মুখে মুখে বিয়েও করেন। বয়স হলে পরে কাবিননামা করবেন বলে জানান ওই শিক্ষক। এ অবস্থায় গত শনিবার রাতে মন্টু মিয়া গোপনে ওই ছাত্রীর বাড়িতে রাত যাপনকালে গ্রামবাসী তাকে আটক করে ও গণপিটুনি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী উপজেলার গোপালপুর কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।

এদিকে শিক্ষক মন্টু মিয়াকে বরখাস্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তার স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিছিল সমাবেশ করেছে। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি খুব নিন্দনীয়। মিটিং ডেকে তার বিরুদ্ধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, ‘ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে টাঙ্গাইল জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষক মন্টু মিয়া দুই সন্তানের জনক। বিয়ের নামে প্রতারণা করে নাবলিকা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন।’