ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আরেকটি আসন পেল বিএনপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আরেকটি আসন পেল বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আরেকটি আসন পেল বিএনপি
 
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরেকটি আসনে জয় পেয়েছে বিএনপি। বুধবার (৯ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের স্থগিত তিন কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের পর বিজয়ী হলেন বিএনপির প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এ নিয়ে মোট ছয়টি আসনে জয় পেল বিএনপি।

ফল অনুযায়ী বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন মোট ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মঈন উদ্দিন মঈন কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।

বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ফলাফলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী বাইন হীরা।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আশুগঞ্জ উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে। সেদিন কেন্দ্রগুলোর ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

সেদিন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মঈন উদ্দিনের চেয়ে ১০ হাজার ১৫৯ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ধানের শীষ প্রতীকে পড়েছিল ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট। আর মঈন উদ্দিনের কলার ছড়ি প্রতীকে পড়েছিল ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট।

তিন কেন্দ্রের মোট ভোটার ১০ হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন হাজার ৮৪০ জন, সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন হাজার ১৫ জন ও বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন হাজার ৭১৭ জন। এই তিন কেন্দ্রে আজ সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।

গণনা শেষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ফলাফল ঘোষণা অনুযায়ী তিন কেন্দ্রে মোট ভোট পড়ে ৪ হাজার ২৮৯টি। এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীকে পড়ে ১ হাজার ২৭৪টি ভোট, কলার ছড়ি প্রতীকে পড়ে ২ হাজার ৮৫৫ ভোট ও বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা সিংহ প্রতীকে পান ১০১ ভোট। এতে বিএনপি প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভুইয়া নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৮ হাজার ৫৭৮ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

ভোট গ্রহণের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হায়াত উদ্যৌলা খান বলেন, ভোট গ্রহণ করার সময় যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয় তার জন্য ৩ হাজার ৮৪০ জন পুলিশ, ১০০ জন র‍্যাব সদস্য ও ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

ভোটের প্রথম প্রহরে আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের সরব উপস্থিতি ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া। ফাইল ফটো

তবে, বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে কমতে থাকে ভোটারদের ভিড়। এ তিন কেন্দ্রের মোট ভোটার ১০ হাজার ৫৭৪ জন। আর আগে থেকেই ১০ হাজার ১৫৯ ভোটে এগিয়ে থাকায় জয় অনেকটা নিশ্চিত ছিল সাত্তারের।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে সোহাগপুর (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য ৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।