গোপালপুরের সোনামুই, শিমলা পাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পী শিল্পীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন

গোপালপুরের সোনামুই, শিমলা পাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পী শিল্পীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন

মোঃ নূর আলম গোপালপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দুর্গা পুজাকে সামনে রেখে মৃৎশিল্পী  শিল্পীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন কারনে শিল্পটি আজ ধংসের মুখে। আগের দিনের মত হাড়ি, পাতিল, খোলা, মাটির টব এগুলো না চললেও বিশেষ করে পুজা উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরীর কাজে মৃত্তিকা শিল্পীদের চলছে ব্যস্ত সময়।এক সময় মাটির জিনিস পত্র প্রতিটি ঘরে ঘরে জায়গা ছিল। এখন তা আর নেই। কারন প্রথিবী উন্নয়নের চরম শিখায় পৌঁছে যাবার ফলে মেলামাইন, সিরামিক, ষ্টেইনলেস সহ নামি দামি জিনিস পত্র তৈরী হচ্ছে। তাছাড়া বৈদ্যুতিক চুলা রাঁধুনির কাছে জায়গা পাওয়ায় মাটির হাড়ির কদর কমেছে অনেক হারে। তাছাড়া মানব দেহ ও ঝুঁকিপুর্ন পরিবেশের সৃস্টিতে প্লাষ্টিকের ব্যবহার অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে কদর কমেছে মৃত্তিকা শিল্পের।
উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের শিমলা পাড়া গিয়ে এমন মাটির তৈরী জিনিস পত্র তৈরী করতে দেখা যায়। সেখানে মৃত্তিকা শিল্পী কৃষ্ণা রাণী নিপুন কারুকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, আগের দিনের মতো আর হাড়ি পাতিল চলে না। ধর্মীয় উৎসব এলে ধুপদানি, পঞ্চ প্রদীপ, ঘোড়া, চেরাগ, মাটির পুতুল,মাটির তৈরী বিভিন্ন ফল ইত্যাদি তৈরীর কাজে একটু ব্যস্ত সময় কাটে। তারপর আবার বসে সময় কাটাতে হয়। কষ্টে দিনকাল গেলেও জীবিকা নির্বাহের জন্য এসব কাজ আমাদের করতে হয়।
প্রবীণ শিক্ষক আঃআজিজ মাষ্টার বলেন, মাটির হাড়ি পাতিল গ্লাশ ইত্যাদি বাসন পত্র শতভাগ স্বাস্থ্য সম্মত। এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদের মাটির জিনিস পত্রে প্রতি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তাতে একদিকে কিছু মানুষের জীবিকা নির্বাহে সহযোগিতা করবে। অপরদিকে মাটির জিনিস পত্র ব্যবহার করার ফলে অনেক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এসব আসবাব পত্র পরিবেশ দুষন হবে না, জলবায়ু ভারসাম্য রক্ষার কাজে সাহায্য করবে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সেভেন স্টার সমবায় সমিতির সম্পাদক রেজাউল করিম মৃত্তিকা শিল্প কে ধরে রাখার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।