হোটেলে কলেজ ছাত্রীর সাথে খালুর কান্ড!
সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭
বিশেষ প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রী ভায়রাজিকে রাঙ্গামাটিতে নিয়ে দুইদিন হোটেলে আটকে রেখে একাধিবার ধর্ষণ করেছে আপন খালু ফরিদ হাওলাদার (৩২) নামের দুই সন্তানের জনক। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ লম্পট খালুকে আটক করেছে। লম্পট ফরিদ উপজেলার সবুজ নগর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, গত ১৬ মে সকালে উপজেলার দাউদখালী গ্রামের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৬) তার চাচাতো বোন (১৩) কে নিয়ে স্থানীয় দধিভাঙ্গা বাজারে কেনাকাটা করতে আসে। এসময় আপন খালু মঠবাড়িয়া বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী ফরিদ হাওলাদার মোবাইল করে কলেজ ছাত্রীকে মঠবাড়িয়া বাজারে আসতে বলে।
কলেজ ছাত্রী তার চাচাতো বোনকে নিয়ে মঠবাড়িয়া বাজারে আসলে খালু ফরিদ একটি হোটেলে তাদের নাস্তা খাওয়ায়। সেখানে বসে ফুঁসলিয়ে কৌশলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দুই বোনকে বাসযোগে ওইদিনই ফরিদ রাঙ্গামাটিতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হোটেলে দুইদিন আটকে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লম্পট ফরিদ কলেজ ছাত্রী আপন ভায়রাজিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চাচাতো বোনকে ফরিদ কৌশলে হোটেলের অন্য একটি রুমে আটকে রাখে। পরে তাদের দুই বোনকে গত ১৯ মে বাসে করে পুনরায় মঠবাড়িয়া নিয়ে এসে পাতাকাটা এলাকায় ফরিদের খালু বাড়িতে রেখে ফরিদ চলে যায়।
পরে খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রীর নানু ওই বাড়ি থেকে তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে কলেজ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ফরিদকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফরিদকে আটক করে।