‘রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করেছে মিয়ানমারের বাহিনী

‘রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করেছে মিয়ানমারের বাহিনী


আন্তর্জাতিক ডেক্স :

মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী দেশটির রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের ধর্ষণ করেছে। তাদের ওপর অন্যান্য যৌন সহিংসতা চালিয়েছে। গত বছর রাখাইনে সরকারি বাহিনীর অভিযানকালে এসব অপরাধ সংঘটিত হয়।
নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

এইচআরডব্লিউর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত রাখাইনের মংডু জেলার অন্তত নয়টি গ্রামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের সদস্যরা ধর্ষণ, গণধর্ষণ, আগ্রাসীভাবে দেহতল্লাশি ও যৌন হামলায় অংশ নেন।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের সদস্যরা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে হামলা চালিয়েছেন। বন্দুকের নলের মুখেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এইচআরডব্লিউ বলছে, রাখাইনে নৃতত্ত্ব ও ধর্মের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের ওপর পদ্ধতিগত হামলা হয়েছে বলে নতুন প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের বিবরণে উঠে এসেছে।

সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ গবেষক প্রিয়াঙ্কা মোটাপার্থ বলেন, নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা চালানোর বিষয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দীর্ঘ ও বিকৃত ইতিহাস রয়েছে। রাখাইনে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো লোমহর্ষক হামলা বর্বরতার নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে। এসব অপরাধ বন্ধ বা জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে সামরিক ও পুলিশ কমান্ডাররা যদি সবটা না করে থাকেন, তবে তাদের আইনগতভাবে দায়ী করা উচিত।

মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া ১৮ জন রোহিঙ্গা নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এইচআরডব্লিউর গবেষকেরা। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এই নারীদের মধ্যে ১১ জনই রাখাইনে যৌন হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন। ১৭ জন নারী ও পুরুষ তাদের নিকট পরিজনের যৌন সহিংসতা শিকার হতে দেখেছেন। এই ১৭ জনের মধ্যে আবার যৌন সহিংসতার শিকার হওয়া কয়েকজন নারী রয়েছেন। সব মিলিয়ে সংগঠনটি ২৮টি ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।