নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন ‘র্যাবের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়নি’
রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭
ডেক্স নিউজ : নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যাবের মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হলেও সার্বিকভাবে বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারি কৌঁসুলি ওয়াজেদ আলী খোকন আদালতের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে রোববার দুপুরে এসব কথা জানান।
আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, “র্যাব একটি শৃঙ্খলিত বাহিনী। এই বাহিনীর অনেক সুনাম ও সুখ্যাতি এই দেশে আছে। সন্ত্রাসবিরোধী থেকে আরম্ভ করে জঙ্গি দমন, মাদক নির্মূলসহ বিভিন্ন অর্জন রয়েছে এই বাহিনীর। কিন্তু এদের যে কয়েকজন ব্যক্তি এই ঘটনার জন্য জনসাধারণের সঙ্গে মিশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, এর সমস্ত দায়দায়িত্ব তাদের। তারা উচ্চাভিলাষী জায়গা থেকে ঘৃণ্যতম অপরাধটি সংঘটিত করেছেন। তাদের দ্বারা র্যাবের মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হলেও সার্বিকভাবে র্যাব বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়নি।”
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, “র্যাবের যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাদের তিরস্কৃত করেছেন আদালত। ওই সব পদে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।”
২৬ আসামির ফাঁসি
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের দুই মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ আসামির ফাঁসির রায় দেন আদালত।এ মামলার বাকি নয় আসামির হয়েছে দশ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সোমবার সকাল ১০টায় এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, চাকরিচ্যুত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা, মেজর আরিফসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি নয় আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সাত খুনের দুটি মামলার অন্য আসামিরা হলেন— র্যাব সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) পুর্ণেন্দু বালা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন, সিপাহি আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।
এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন— নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম ও শাহজাহান, সানাউল্লাহ সানা, জামাল উদ্দিন, র্যাবের করপোরাল লতিফুর রহমান, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সি, আল আমিন শরিফ, আব্দুল আলী, তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।