মোবাইল ব্যাংকিং এর ভবিষ্যৎ, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাপ্তি : আমাদের ভাবনা

মোবাইল ব্যাংকিং এর ভবিষ্যৎ, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাপ্তি : আমাদের ভাবনা

মোবাইল ব্যাংকিং এ কমিশন কমানোর দাবিতে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:৩০ মিনিটে ২২/১ তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের ২য় তলায় কনফারেন্স হলে “মোবাইল ব্যাংকিং এর ভবিষ্যৎ, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাপ্তি : আমাদের ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, রাজেকুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় নেতা, বাসদ, প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ঈমাম ফিরোজ, ড. মেজর (অবঃ) হাবিবুর রহমান, এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, আইন উপদেষ্টা, বিএমপিসিএ, এ্যাড. ইসরাত হাসান, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিএমপিসিএ, হারুন অর রশীদ খান, সভাপতি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন, খন্দকার মজিবুর রহমান, সিঃ এক্সিকিউটিভ, ষ্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, মোঃ জান্নাতুল ইসলাম রাহাত, সাংবাদিক, ডেইলী অবজারভার, মোঃ রেজাউল করিম, সাংবাদিক, নিউজ নেক্সট বাংলাদেশ, মোঃ কাজী সোহাগ, সাংবাদিক, দৈনিক মানবজমিন, মোঃ আব্দুল মজিদ, সিনিয়র করেস্টন্ডেন্ট, বৈশাখী টিভি, মোঃ ইব্রাহিম, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী, মোঃ শফিকুর রহমান, সভাপতি, মোবাইল ব্যাংক রিচার্জ এসোসিয়েশন, আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব এ্যাড. আবু বকর সিদ্দিক।

সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যয় না কমালে প্রান্তিক অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে পড়বে এবং এর তদারকির জন্য একটি আলাদা সংস্থা গঠন না করলে এ খাতে শৃঙ্খল আসবে না।
বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যয় আমাদেরকে সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছে। যেখানে ডাক বিভাগের মাধ্যমে টাকা পাঠালে খরচ পড়ত বছরে ৯২ কোটি টাকা সেখানে বিকাশের মাধ্য পাঠাতে খরচ পড়ছে ৪৬৪২ কোটি টাকা। এ অর্থ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ব্যয কররে দেশ উপকৃত হত।

ড. মেজর (অবঃ) হাবিবুর রহমান বরেন, স্মার্ট কার্ড সরকার প্রদানের যে ব্যবস্থা করেে তা দিয়ে যদি অর্থ লেনদেন করত তাহলে জনগণের উপকার হত।

বাংলাদেশে পথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয় ২০১১ সালে। শুরুতে মানুষ এ সেবা বুঝে হোক আর না বুঝে হোক তা লুপে নেয়। যে উদ্দেশ্যে এই মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করা হয় তা হলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে মোবাইল ব্যাংকিং এর আওতায় আনা। বর্তমানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% লোক ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত। আর এসকল জনগোষ্ঠিকে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যেই মোবাইল ব্যাংকিং এর যাত্রা শুরু হয়।

মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কি কি করা যেতে পারে-
মোবাইল আর্থিক সেবার চারটি পর্ব আছে- ১। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির কাছে টাকা পাঠানো।     ২। মোবাইল ইন্সুরেন্স। ৩। মোবাইল ক্রেডিট ৪। মোবাইল সেভিংস।

বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি নিকট টাকা পাঠানো ছাড়া আর কোন কাজই ব্যাংকি খাতে ব্যবহার হচ্ছে না। ভোক্তা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতা এর সকল কিছুই হতে পারত কিন্তু তা হচ্ছে না। এ সেবার মধ্যে রয়েছে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, রেলের টিকিট, বাসের টিকিট ক্রয় ও বিল পরিশোধ ইত্যাদি।

বর্তমানে দেশে মোবাইল লেনদেনের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিকাশ।
মোবাইল ব্যাংকিং এ সনদ প্রাপ্ত ব্যাংক এর সংখ্যা ২৯টি, কার্যক্রম শুরু করেছে ১৮টি, কার্যক্রম শুরু করেনি ১১টি, মোট এজেন্টের সংখ্যা ৫ লাখ ৭৭ হাজার। প্রতিদিন লেনদেন হয় প্রায় জুলাই, ২০১৬ইং তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংক এর হিসাব অনুযায়ী দৈনিক লেনদেন হয় ৬০৫ কোটি টাকা। এর ৮০ ভাগই হয় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে।    মোবাইল ব্যাংকিং এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি।
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা অনেকগুলির মাধ্যমে করতে হয়।
প্রথমত     :- মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার,   দ্বিতীয়ত     :- .ডিস্ট্রিবিউটর
তৃতীয়ত:- এজেন্ট/রিটেইলার,   চতুর্থত  :- বিক্রয় কর্মী,  পঞ্চমতম :- বাংলাদেশ ব্যাংক,   ষষ্ঠতম :- এনবিআর, সপ্তমতম    :- বিটিআরসি।
এতগুলো মাধ্যম ব্যবহার করার সাথে এর ব্যয় এত বেশি হয় যে এর ব্যয় ভার বা কমিশন গ্রাহক পরিশোধ করার পরে তার অনেক টাকা ব্যয় হয়ে যায়। যেমন বিকাশ এর মাধ্যমে যেহেতু লেনদেন বেশি হয় তাই আমরা এর কমিশনের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখা যাবে যে, কোম্পানী কমিশন কেটে নেয় ১.৮৫% আবার বেশির ভাগ রিটেইলার নেয় ২% করে। দেখা যায় যে, যদি একজন গ্রাহক মোবাইল টু মোবাইল ক্যাশ আউট করে তাহলে তার কাছে থেকে ১০,০০০/- টাকার লেনদেনের জন্য কমিশন গুনতে হয় ২০০/- টাকা। আর ৫০,০০০/- টাকার লেনদেন করলে ব্যয় করতে হয় প্রায় ১০০০/- এক হাজার টাকা। এ বিশাল ব্যয় করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি প্রকৃত পক্ষে কতটুকো লাভবান হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যেখানে ব্যাংক এর মাধ্যমে লেনদেন করলে সিটির মধ্যে কোন সার্ভিস চার্জ লাগে না বা সিটির বাইরে ব্যয় করলে ৫০ হাজার টাকা স্থানান্তর করলে কমিশন লাগে ২৩ টাকা যেখানে মোবাইল ব্যাংকিং করলে ব্যয় হয় ১০০০ টাকা। বাংলাদেশে একসময় প্রান্তিক পর্যায়ে লেনদেনের মাধ্যম ছিল ডাক বিভাগ। যার মাধ্যমে অল্প খরচে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে লেনদেন করা সম্ভব ছিল। আজও সেই ডাক বিভাগ রয়েছে। কিন্তু তার কোন কার্যংক্রম নেই বললেই চলে। যদি ডাক বিভাগকে প্রযুক্তির আওতায় এনে ব্যাংকিং এর ব্যবস্থা করা যেত তাহলে অল্প খরচে যেমন প্রান্তিক জনগোষ্ঠি লেনদেন করতে পারতেন অন্যদিকে ডাক বিভাগও একটি লাভজনক ও সচল বিভাগে পরিণত হবে। মোবাইল ব্যাংকিং এর সেবা সাধারণত একটি ম্যাসেজের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়, যেই ম্যাসেজের খরচ পড়ে মাত্র ০.২৫ পয়সা। সেখানে কি উদ্দেশ্যে, কাদের স্বার্থে এ বিশাল সার্ভিস চার্জ নেওয়া হচ্ছে তা আমাদের কাছে মোটেও বোধগম্য নয়। সরকার যদি সত্যিকার অর্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এ সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে থাকে তাহলে অবশ্যই এর সার্ভিস চার্জ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যে আনতে হবে। নতুবা এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি প্রান্তিক পর্যায়ের অর্থনীতি ধ্বংসের সম্মুখীন হয়ে পড়বে। এর ফলে এক শ্রেণির শোষক ও বর্জুয়াদের হাতে অর্থ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা এটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য হুমকি বলে আমরা মনে করি।  বর্তমান বিশ্বে সকল দেশেই মোবাইল ব্যাংকিং এর সার্ভিস চার্জ কমিয়ে আনা হচ্ছে। সম্প্রতি শ্রীলংকা তার অন্যতম উদাহরণ।

বাংলাদেশ মোবাইল ব্যাংকিং এর বর্তমান অবস্থা :
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। বিশ্বে আমরা দ্বিতীয় বা তৃতীয়। অথচ বিশ্বে মোবাইল ফোন ১৯৪০ সালে এলেও আমাদের দেশে আসে ১৯৯৬ সালে। তারপরও আমরা মোবাইল ব্যাংকিং এ আমরা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছি। এর কারণ হিসেবে আমরা যা লক্ষ্য করেছি তা হল-
১.    সাধারণ মানুষ কত আয়-ব্যয়ের হিসাব কষে না।
২.    সহজে ঘরে বসে টাকা পাওয়া যায়।
৩.    টাকা লেনদেন করতে কোন প্রকার জবাবদিহিতা করতে হয় না। নিজের একাউন্টও করতে হয় না।
৪.    ব্যাংকে গেলে নানা জটিলতা তৈরী হয়। ২০ হাজার টাকা তুলতে গেলেও ভোটার আইডি কার্ড জমা দিতেক হয়।
৫.    পকেটে নগদ টাকা না রেখে মোবাইলে টকা জমা ও উত্তোলন করা যায়।
৬.    খরচ বেশি হলেও সজলভ্য হওয়ায় তা গায়ে লাগে না।

মোবাইল ব্যাংকিং এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা কারা :
মোবাইল অপারেটরদের নিয়ন্ত্রক সংখ্যা যেহেতু বিটিআরসি তাই এর নিয়ন্ত্রক সংস্থাও হবার কথা বিটিআরসি। কিন্তু বিটিআরসি যেহেতু অর্থ লেনদেনের সক্ষমতা নেই তাই ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইনে বলা আছে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন হবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির। অর্থাৎ একজনের হিসাব থেকে অন্যজনের হিসাবে যাবে। দু’একটি ব্যাংক এ নিয়ম কিছুটা মানলেও অন্য কেউই তা মানে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যার কাছে টাকা পাঠানো হচ্ছে তার কোন একাউন্ট থাকে না। এজেন্ট বা অন্য কারো হিসাবে যা একদিকে যেমন অন্যায় আবার অন্যদিকে তা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।

মোবাইল ব্যাংকিং এর নিরাপত্তা :
ব্যাংগুলিতে টাকা লেনদেনে এত কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে তার কারণ যাতে করে কেউ অনৈতিকভাবে অর্থায়ন করতে না পারে। এর ঠিক উল্টো চিত্র পাওয়া যাবে মোবাইল ব্যাংকিং এ। যার কিছু বক্তব্য আমরা পূর্বেই প্রদান করেছি। এজেন্ট দেবার বেলা কোন নিয়ম নীতি মানা হয়নি। যত্রতত্রভাবে যেখানে সেখানে এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার এজেন্টকে দেখভাল করার জন্য এই খাতের কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থারই জনবল বা কার্যক্রম নেই। মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যাংক বা সংস্থাগুলির বিক্রয় প্রতিনিধি থাকলেও তাদের কাজ একমাত্র টাকা রিচার্জ করা। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যেসকল কারণে সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে তারও অনেক ভুলত্রুটি থাকায় আমরা লক্ষ্য করলাম গত ২১ শে মে চট্টগ্রামে পুলিশ পরিদর্শক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, দুইজন এজেন্ট একই নামে ১২০ টি অন্যজনের সিম নিবন্ধন করে তাদের বিকাশ একাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই অজাচীত পন্যের আঙ্গুলের ছাপ দ্বারা নিবন্ধিত সীম দিয়ে হ্যাক করে বিভিন্ন একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করছে এক শ্রেণির অসাধু চক্র। আর এই ফাঁদে পড়ছে কিছু নিরীহ ব্যক্তি। যাদেরকে বিকাশ ইতমধ্যে নোটিশ দিয়ে হ্যাক করা অর্থ ফেরৎ চেয়ে নোটিশপত্র জারি করেছে। যদি এখনই নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি এই খাতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করতে পারেন তাহলে আসল উদ্দেশ্যই ব্যহত হবে। সিআইডি ২০১৪ সালের জুনের এক প্রতিবেদন থেকে লক্ষ্য করা যায় যে, মোবাইল ব্যাংকিং এ ৪৫৮ টি ঘটনার অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ১৬৯টি অপহরণ, ২৩টি চাঁদাবাজি, ১৫৫টি জালিয়াতি, ৪৩টি প্রতারণা ও ১০টি অন্যান্য। এছাড়াও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। যা সাধারণত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে মানুষ করে না। মোবাইল ব্যাংকিং এ প্রতারিত হলে মানুষ কোথায় অভিযোগ করবে তা তাদের জানা নেই। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশের নিয়ম হচ্ছে যে খাত যত সম্প্রসারণশীল সে খাত তত দুর্নীতিপরায়ণ হয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে যেভাবে হ্যাক করে ব্যাংক থেকে, এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করছে তাতে করে বোঝা যায় মোবাইল ব্যাংকিং এর ভবিষ্যত নিরাপত্তা কতটুকু নিরাপদ হতে পারে। মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশে ৫ বছর ধরে চলছে। এর মধ্যেই এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এর ব্যবহার অত্যন্ত সহজ ও কষ্টবিহীন হবার ফলে মানুষ এটা দ্রুতই গ্রহণ করছে। ভবিষ্যতে এর ব্যবহার যখন ডেবিট ক্রেডিট কার্ডের মত হবে আবার ওয়ালেটের কাজ করবে তখন এর ব্যবহার আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে নিরাপত্তা ও এর ব্যয় সাশ্রয়ী না হলে এর ভবিষ্যত অনেকটাই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে পরিণত হবে।