সখীপুরে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অপসারণ ও নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট স্মারকলিপি জমা
মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০১৬
জুয়েল রানা, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ ও শিগগিরই ওই ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে সংগ্রাম পরিষদ। পরে ওই সংগ্রাম পরিষদ বেলা দুইটায় সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার নলুয়া বাজারে অবস্থিত যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করে।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার নলুয়া বাজারে অবস্থিত যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করে।
সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ডিএম শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান, খন্দকার রফিকুল ইসলাম। পরে বেলা একটার দিকে কর্মসূচি শেষ দিয়ে নয় কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বেলা দুইটায় সখীপুর ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে সংগ্রাম পরিষদের নেতারা স্মারকলিপি জমা দেয়।
এ ব্যাপারে সখীপুরের ইউএনও এস এম রফিকুল ইসলাম স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ওই স্মারকলিপি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ওই ইউনিয়নে ২০০২ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ সমর্থিত খন্দকার বজলুর রহমান চেয়ারম্যান পদে ও ১২জন সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৬ সালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বৃহত্তর যাদবপুরকে ভেঙে ‘যাদবপুর’ ও ‘বহুরিয়া’ নামের দুটি ইউনিয়ন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। সীমানা নিয়ে জটিলতা বিষয়ে ওই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে বহুরিয়া গ্রামের শামসুল হক নামের এক ব্যক্তি উচ্চ আদালতে মামলা করলে ওই দুই ইউনিয়নের নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। (২০১৬ সালের জানুয়ারিতে) উচ্চ আদালতে করা মামলাটি সম্প্রতি খারিজ হয়ে যায়। জনশ্রুতি ও অভিযোগ রয়েছে, ওই পরিষদ বিনা ভোটে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার লক্ষে ওই মামলার পেছনে আর্থিক খরচের যোগান দিয়ে থাকে। মামলাটি খারিজ হওয়ায় ওই চক্র আবারও আপিল করার পাঁয়তারা করছে।
যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান পরিষদ কোনো নির্বাচন ছাড়াই ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় বহাল আছে। পরিষদ থেকে চাঁদা তুলে মামলার খরচ চালানো হচ্ছে। তাই, তাদের অপসারণের লক্ষ্যে ও ওই দুই ইউনিয়নে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও সখীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডিএম শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার কারণে এ দুইটি ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক সব কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। ১৪ বছরে জনপ্রতিনিধিরাও নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন।’
১৪ বছর ধরে থাকা ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুর রহমান বাবুল তাঁদের পরিষদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বাদীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি তবে পরিষদ থেকে ওই মামলার খরচ চালানো হয়না বলে তিনি দাবি করেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে চেয়ারম্যানসহ ওই পরিষদের কোনো সদস্য কার্যালয়ে যাননি। ফলে চারিত্রিক সনদসহ নানা সেবা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে ওই দুইটি ইউনিয়নের জনসাধারণ।
এ ব্যাপারে সখীপুরের ইউএনও এস এম রফিকুল ইসলাম স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ওই স্মারকলিপি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ওই ইউনিয়নে ২০০২ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ সমর্থিত খন্দকার বজলুর রহমান চেয়ারম্যান পদে ও ১২জন সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৬ সালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বৃহত্তর যাদবপুরকে ভেঙে ‘যাদবপুর’ ও ‘বহুরিয়া’ নামের দুটি ইউনিয়ন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। সীমানা নিয়ে জটিলতা বিষয়ে ওই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে বহুরিয়া গ্রামের শামসুল হক নামের এক ব্যক্তি উচ্চ আদালতে মামলা করলে ওই দুই ইউনিয়নের নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। (২০১৬ সালের জানুয়ারিতে) উচ্চ আদালতে করা মামলাটি সম্প্রতি খারিজ হয়ে যায়। জনশ্রুতি ও অভিযোগ রয়েছে, ওই পরিষদ বিনা ভোটে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার লক্ষে ওই মামলার পেছনে আর্থিক খরচের যোগান দিয়ে থাকে। মামলাটি খারিজ হওয়ায় ওই চক্র আবারও আপিল করার পাঁয়তারা করছে।
যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান পরিষদ কোনো নির্বাচন ছাড়াই ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় বহাল আছে। পরিষদ থেকে চাঁদা তুলে মামলার খরচ চালানো হচ্ছে। তাই, তাদের অপসারণের লক্ষ্যে ও ওই দুই ইউনিয়নে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও সখীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডিএম শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার কারণে এ দুইটি ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক সব কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। ১৪ বছরে জনপ্রতিনিধিরাও নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন।’
১৪ বছর ধরে থাকা ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুর রহমান বাবুল তাঁদের পরিষদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বাদীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি তবে পরিষদ থেকে ওই মামলার খরচ চালানো হয়না বলে তিনি দাবি করেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে চেয়ারম্যানসহ ওই পরিষদের কোনো সদস্য কার্যালয়ে যাননি। ফলে চারিত্রিক সনদসহ নানা সেবা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে ওই দুইটি ইউনিয়নের জনসাধারণ।